Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
August 28, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, AUGUST 28, 2025
পুরুষবিহীন গ্রাম উমোজা ও পল নিনসনের ক্যামেরায় আফ্রিকার গল্প

ফিচার

সিএনএন
31 July, 2023, 01:10 pm
Last modified: 31 July, 2023, 01:11 pm

Related News

  • ১০০ বছরে লাইকা: ছোট্ট এক জার্মান ক্যামেরা যেভাবে চিরতরে বদলে দিয়েছিল ফটোগ্রাফির ইতিহাস
  • উশুতে মেডেল পেলে চাকরি মিলবে, তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সান্ত্বনারা
  • ছবিতে দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবহনের অনন্য শিল্পকর্ম
  • উনিশ শতকের ঢাকায় ফটোগ্রাফি
  • নুসরাত, সুমাইয়ারা ছিল কোচিং ক্লাস শুরুর অপেক্ষায়...

পুরুষবিহীন গ্রাম উমোজা ও পল নিনসনের ক্যামেরায় আফ্রিকার গল্প

যৌন সহিংসতা ও নির্যাতন থেকে বেঁচে ফেরা, পরিবারে বঞ্চনার শিকার, সেই সাথে বাল্যবিবাহ বা যৌনাঙ্গচ্ছেদের মতো ঘটনা থেকে পালিয়ে আসা মেয়েদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করতে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে উমোজায়।
সিএনএন
31 July, 2023, 01:10 pm
Last modified: 31 July, 2023, 01:11 pm
২০১৭ সালে পল নিনসন তার ক্যামেরার সাহায্যে উমোজার নারীদের গল্প তুলে ধরেন। ছবি: পল নিনসন ভিয়া সিএনএন

কেনিয়ার সাম্বুরু কাউন্টির গ্রাম উমোজা। এটি বাকি সব আদিবাসী গ্রামগুলোর মতোই, আশেপাশে আছে তৃণভূমি ও বসতিগুলো কুঁড়েঘরের। স্থানীয় সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ীই চলে জীবনযাপন। পার্থক্য একটিই, উমোজায় কোন পুরুষ নেই।

কিসোয়ালী ভাষার শব্দ 'উমোজা' অর্থ একতা। আক্ষরিক অর্থেই এখানের বসবাসকারীদের মধ্যে একতা বিদ্যমান। সাম্বুরুতে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার কবলে পড়া নারীদের জন্য ১৯৯০ সালে গ্রামটির প্রতিষ্ঠা। এটি এখন সব বয়সী নারীদের আবাসস্থল। যৌন সহিংসতা ও নির্যাতন থেকে বেঁচে ফেরা, পরিবারে বঞ্চনার শিকার, সেই সাথে বাল্যবিবাহ বা যৌনাঙ্গচ্ছেদের মতো ঘটনা থেকে পালিয়ে আসা মেয়েদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করতে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে উমোজায়।

ঘানার ফটোগ্রাফার পল নিনসন প্রথমে একটি ব্লগ পোস্ট থেকে উমোজার নারীদের সম্পর্কে জানতে পারেন। ২০১৭ সালে এই গ্রামের ছবি তোলার জন্য কেনিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। উমোজায় যাওয়ার কারণ হিসেবে নিনসন জানান, তিনি অনুভব করেছিলেন যে, নারীদের গল্পগুলো একটি আফ্রিকান দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলা দরকার। নারীদের সাথে কোন যোগাযোগ না করেই গ্রামের অবস্থান জেনে তিনি তার সফর শুরু করেন। 

উমোজার প্রথমদিকের কয়েকজন সদস্য সাম্বুরুর বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছেন। তাদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। বর্তমানে স্ব-নির্ভর গ্রামটিতে ৫০টি পরিবারের বসবাস। নারী এবং তাদের সন্তানদের নিয়েই প্রতিটি পরিবার গঠিত। পুরুষ শিশুদের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত গ্রামে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানকার সব বাসিন্দাকেই নারীর অধিকার এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিষয়ে পড়ানো হয়। 

হাসিমুখে থাকা এই নারীর জীবনে আছে করুণ ইতিহাস। ছবি: পল নিনসন ভিয়া সিএনএন

নিনসন জানান, উমোজায় (ছবি তুলতে) ঢুকতে পারা ছিল কঠিন এক কাজ। তবে নিজের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করার পর নারীরা তাকে স্বাগত জানায়। আর নিজেদের ছবিগুলো দেখে তারা 'খুব, খুব খুশি' ছিলেন। নিনসন জানান, সেখানের বাসিন্দারা পরিমিত জীবনযাপন করেন। নারীরাই উপার্জন করেন। 

উমোজা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে 'মাসাই মারা ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভ' অবস্থিত। অনেক পর্যটক এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য দেখতে আসেন। উমোজা পরিদর্শন করতে ইচ্ছুক পর্যটকদের ছোট অংকের প্রবেশমূল্য দিতে হয়। তারা সম্বুরু নারীদের হাতে তৈরি পুঁতির গহনা এবং অন্যান্য কারুকাজ কিনতে পারেন। 

কমিউনিটি স্টোরিটেলিং

'ভিলেজ উইথ নো ম্যান' নিনসনের কয়েকটি ফটোগ্রাফি সিরিজের একটি। এই ফটোগ্রাফার জানান, তিনি এমন ছবি তুলতে যান, যা 'সামাজিক, পরিবেশগত বা রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায় এবং মানুষকে পদক্ষেপ নিতে, চিন্তাভাবনা করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে উদ্বুদ্ধ করে।'

নিনসন আফ্রিকান দেশগুলো ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন এই ভেবে যে, তিনি এই মহাদেশের একেবারেই অপ্রকাশিত কিংবা স্বল্প প্রকাশিত গল্পগুলো তুলে আনতে চান। এই ফটোগ্রাফি সিরিজের নাম তিনি দিয়েছেন 'কমিউনিটি স্টোরিটেলিং'। 

ইথিওপিয়ার বিখ্যাত লালিবেলা চার্চের সামনে একজন পুরোহিত। ছবি: পল নিনসন ভিয়া সিএনএন

নিনসন বলেন, কোন ঘটনা না গল্প বর্ণনায় আমাদের (আফ্রিকানদের) দুর্বলতা আছে। আর আফ্রিকা যেভাবে বিশ্বের কাছে চিত্রিত হয়েছে, তা বহিরাগতদের মাধ্যমে এই মহাদেশের গল্প প্রচারের ফলাফল।
    
ঘানা, কেনিয়া এবং ইথিওপিয়ার আশেপাশে তোলা ছবিগুলোর মাধ্যমে নিজের পোর্টফোলিও ভারি করেন নিনসন। এরপর ২০১৯ সালে তিনি নিউইয়র্কে যান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অব ফটোগ্রাফিতে পড়তে। সেখানে তিনি গল্প বলার প্লার্টফর্ম 'হিউম্যানস অব নিউ ইয়র্ক' এ ব্র্যান্ডন স্ট্যান্টনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। 

সিএনএনকে স্ট্যান্টন বলেন, ২০১৬ সালে ঘানায় একসঙ্গে কাজ করা শুরুর পর তিনি নিনসনের প্রতিভা ও সংকল্পে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। নিনসনের বিশ্বাসই তার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক। স্ট্যান্টন তাকে আধ্যাত্মিক উপদেষ্টা হিসেবেও বর্ণনা করেন।

আফ্রিকার বৃহত্তম ফটোগ্রাফি লাইব্রেরি

নিনসন জানান, নিউইয়র্কে পড়াশোনার সময় থেকে আফ্রিকানদের লেখা কিংবা আফ্রিকানদের নিয়ে লেখা ফটোবুক জমা করা শুরু করেন তিনি। যে বইগুলো আফ্রিকায় পাওয়া যায় না। 

ঘানায় পাঠানোর জন্য নিনসন যত বেশি সম্ভব বই কেনার সিদ্ধান্ত নেন। একসময় তার অ্যাপার্টমেন্টে সেগুলো রাখার জায়গা হতো না। পরবর্তীতে, স্ট্যান্টন ও হিউম্যানস অব নিউইয়র্কের সহায়তায় নিনসন প্রায় ১০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেন এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঘানার রাজধানী আক্রা-তে ‍উদ্বোধন করেন আফ্রিকার বৃহত্তম ফটোগ্রাফি লাইব্রেরি 'ডিকান সেন্টার'। 

লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন স্ট্যান্টন। তিনি বলেন, নিনসনের ডিকন সেন্টার নির্মাণ করতে দেখা অনেকটা 'অবাস্তবের' মতো। স্ট্যান্টন বলেন, নিনসন খুব সহজে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করেছে। তার কাছে আসা মানুষদের দেখলে মনে হয় তারা ঘানার ভবিষ্যত কোন নেতার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। নিনসন এত সফলভাবে ডিকন সেন্টার চালু করেছে যে, এটি তার অভিজাত ফটোগ্রাফার হওয়ার সত্তাকে ছাপিয়ে গেছে।  

পল নিনসনের ফটোগ্রাফিক লাইব্রেরি ডিকান সেন্টার। ছবি: সিএনএন

নিনসন জানান, তিনি এরই মধ্যে আফ্রিকান গল্পকারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তাদেরকে ফটোবুকের বিশাল লাইব্রেরিতে বিনামূল্যে প্রবেশের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং ছবি প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মানুষদের একে অপরের সাথে এবং তাদের চারপাশের বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করাই নিজের লক্ষ্য বলে জানান নিনসন। তিনি বলেন, আগামী বছর আবারো উমোজায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে আমার। 

এই ফটোগ্রাফার বলেন, 'আমি গল্প বলার শক্তিতে বিশ্বাস করি। এতে মানুষদের একত্রিত করার এবং বিশ্বকে নতুন এবং অপ্রত্যাশিত উপায়ে দেখতে সাহায্য করার ক্ষমতা আছে।'

Related Topics

টপ নিউজ

ফিচার / আফ্রিকা / ফটোগ্রাফি / পুরুষবিহীন গ্রাম / উমোজা / কেনিয়া / বিচিত্র গ্রাম

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে দুই উপদেষ্টা
  • সরকারের গঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান, নতুন করে ৫ দফা ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের
  • প্রতিবেশী দেশের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবস্থান দেখে সমস্যা সমাধান করা হবে: ফাওজুল কবির খান
  • মব করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে: আদালতে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল 
  • যে দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা
  • এস আলমের লুটপাট যেভাবে একটি শীর্ষ ব্যাংককে সাফল্যের চূড়া থেকে সংকটে নামিয়ে আনল

Related News

  • ১০০ বছরে লাইকা: ছোট্ট এক জার্মান ক্যামেরা যেভাবে চিরতরে বদলে দিয়েছিল ফটোগ্রাফির ইতিহাস
  • উশুতে মেডেল পেলে চাকরি মিলবে, তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সান্ত্বনারা
  • ছবিতে দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবহনের অনন্য শিল্পকর্ম
  • উনিশ শতকের ঢাকায় ফটোগ্রাফি
  • নুসরাত, সুমাইয়ারা ছিল কোচিং ক্লাস শুরুর অপেক্ষায়...

Most Read

1
বাংলাদেশ

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে দুই উপদেষ্টা

2
বাংলাদেশ

সরকারের গঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান, নতুন করে ৫ দফা ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

3
বাংলাদেশ

প্রতিবেশী দেশের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবস্থান দেখে সমস্যা সমাধান করা হবে: ফাওজুল কবির খান

4
বাংলাদেশ

মব করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে: আদালতে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল 

5
বাংলাদেশ

যে দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা

6
অর্থনীতি

এস আলমের লুটপাট যেভাবে একটি শীর্ষ ব্যাংককে সাফল্যের চূড়া থেকে সংকটে নামিয়ে আনল

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net