ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: মেয়র নিয়ে আন্দোলনে বন্ধ সকল নাগরিক সেবা, অচল নগর ভবন

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তার সমর্থক কর্মচারীরা। কর্মবিরতির কারণে নগর ভবনসহ ডিএসসিসির সব আঞ্চলিক কার্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার (২১ মে) ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নগর ভবন পুরোপুরি তালাবদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। ফলে গত কয়েকদিন ধরে নগর ভবনের ভেতরের সব সেবা বন্ধ আছে। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, জমি হস্তান্তরসহ কোনো সেবা পাচ্ছেন না নাগরিকেরা।
নগর ভবনের বাইরের আটটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
প্রশাসক আরও জানান, 'মশক নিধনের সব ক্যামিকেল নগর ভবনের স্টোরে আটকে আছে। ফলে কয়েকদিন ধরেই মশা নিধনের কাজ বন্ধ। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গাড়িগুলোর জ্বালানি অনুমোদনও নগর ভবন থেকে নিতে হয়। সেখানেও কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্জ্য অপসারণ বন্ধ রয়েছে।'
তিনি বলেন, 'নগরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত এসটিএস-এ [সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন] বর্জ্য জমে যাচ্ছে, তা ল্যান্ডফিলে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।'
প্রশাসক জানান, 'আজ থেকে বাইরের কার্যালয়গুলোও বন্ধ। ফলে আমরা কোনো নাগরিক সেবা দিতে পারছি না।'
আন্দোলন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই কার্যকর হবে।
ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে নগর ভবনে অচলাবস্থা চলছে।
বুধবার সকাল ১১টার পর বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীরা নগর ভবনে অবস্থান নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। তারা ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবি জানান।
তারা বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
নগর ভবন বন্ধ করে দেওয়ায় কার্যত সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখেছেন ডিএসসিসির কর্মচারীরা।
যেসব সংগঠন সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলো হলো: স্ক্যাভেঞ্জার অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, পরিবহন চালক ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজ কল্যাণ সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমাজ কল্যাণ সমিতি।