আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, নিশ্চিহ্ন করতে হবে: আসিফ মাহমুদ

গণহত্যা চালানোর জন্য আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে তারুণ্যের উৎসব আয়োজনে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, 'বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে লিগ্যালি এবং সোশ্যালি [ট্রুথ কমিশন কিংবা বিশ্বের যেসব স্থানে এমন নজির আছে তাদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে] আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।'
আসিফ আজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে শুধু নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে 'আওয়ামী লীগ নির্মূলের' বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
তিনি লিখেছেন, 'আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়,রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এটাই আমার ব্যক্তিগত অবস্থান। এখন সেটা করার প্রসেস কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।'
তিনি আরও লেখেন, 'পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে এমন নজির আছে। আমার চোখের সামনে ওদের গুলিতে ভাইদের শহীদ হতে দেখেছি। গুমের শিকার হয়েছি, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছি।'
এই উপদেষ্টা লিখেন,'আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের চিন্তাও আসা অসম্ভব। বিস্তারিত না বলায় আমিও ঠিকভাবে বুঝাতে পারিনি, কিছু কিছু মিডিয়াতেও বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। বিচারের পূর্বে এই প্রশ্নই অবান্তর।'
তিনি বলেন,'তবে এই প্রশ্নের একটা স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে হবে, তা যদি না হয় তবে আজ বা কাল আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে। আওয়ামী লীগ, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, তাতে কি জামাতের রাজনীতি করা আটকাতে পেরেছে? এটা যদি ইন্টিগ্রেটেড প্রসেসের মধ্য দিয়ে না হয় তাহলে সম্ভব হবে কি না প্রশ্ন থেকে যায়। ১৬ বছরে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীর সংখ্যা অনেক।'
তিনি আরও বলেন, 'অনেকেই বলছেন অন্যায় না করলে ক্ষমা চাইবে কেন? অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে যে কোনো ফরম্যাটে জড়িত থাকার কারণে, ফ্যাসিস্ট অ্যানাবলার কিংবা সুবিধাভোগী হিসেবেই ক্ষমা চাইতে হবে। এবং এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে স্বচ্ছ, উন্মুক্তভাবে এবং ধাপে ধাপে।'
আসিফ লিখেছেন, 'নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে লিগ্যালি এবং সোশ্যালি [ট্রুথ কমিশন কিংবা বিশ্বের যেসব স্থানে এমন নজির আছে তাদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে] আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।'