বেসরকারি খাতে শ্লথগতি, বেকারত্ব সমস্যা আরও গভীর হচ্ছে দেশে

সরকারি খাতের ৫ শতাংশ কর্মসংস্থানের বিপরীতে ৯৫ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বাংলাদেশের বেসরকারি খাত বর্তমানে চরম সংকটে। এ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে চার বছরের সর্বনিম্ন ৭ শতাংশে, যা ব্যবসার সম্প্রসারণের গতি শ্লথ করে দিচ্ছে। মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৪ শতাংশ কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছেন, ফলে শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব আরও বেড়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট (অক্টোবর ২০২৪) প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে। ২০১৩ সালে দেশে মোট বেকারের ৯.৭ শতাংশ ছিল উচ্চশিক্ষিত তরুণ, যা ২০২২ সালে বেড়ে ২৭.৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
অর্থনীতির গড় প্রবৃদ্ধি দীর্ঘদিন ধরে ৬.৫ শতাংশ থাকলেও অনেক স্নাতক চাকরি খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। এর মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি মজুরি বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
চাকরির বাজারে অস্থিরতা
চাকরির বাজারেও এ অস্থিরতা স্পষ্ট। দেশের বৃহত্তম চাকরি অনুসন্ধান পোর্টাল বিডিজবসের তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আগস্টে চাকরির বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা বেড়ে যায়—জুলাইয়ের সাড়ে ছয় হাজার থেকে আগস্টে আট হাজার ৮৮৮-এ পৌঁছায়। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে সেপ্টেম্বরে তা কমে সাত হাজারে নেমে আসে। এরপর জানুয়ারিতে এ সংখ্যা আবার আট হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে যায়।
বিডিজবসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহিম মাশরুর বলেন, "নিয়োগ উৎসাহিত করতে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য বিশেষ অফার চালু করেছিলাম।"
তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান নতুন কর্মসংস্থান তৈরির পরিবর্তে কেবল শূন্য পদ পূরণেই নিয়োগ দিচ্ছে। "বিনিয়োগের আগ্রহ কমে যাচ্ছে, ফলে নতুন চাকরি সৃষ্টি সীমিত হয়ে পড়ছে," বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি ধারাবাহিকভাবে কমছে, যা ব্যবসা সম্প্রসারণের ধীরগতির আরও একটি ইঙ্গিত।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতির কারণে কোম্পানিগুলো সম্প্রসারণের পরিবর্তে কার্যকরী মূলধনের জন্য সঞ্চিত তহবিল ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।
"ব্যবসাগুলো এখন টিকে থাকার লড়াই করছে। কিছু শ্রমিক নতুন চাকরি পেলেও ধীরগতির অর্থনীতির কারণে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না," বলেন তিনি।
এ মন্দার প্রভাব অর্থনীতির প্রায় সব খাতেই পড়েছে, তবে রপ্তানিমুখী কিছু শিল্প ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং ভালো রপ্তানি আয় করছে।
চাপে আইটি ও উৎপাদন খাত
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল জানান, ২০২২ সালের আগে বেসিসের ২৫০০ সদস্য কোম্পানিতে প্রায় এক লাখ আইটি স্নাতক কর্মরত ছিলেন।
কিন্তু স্থানীয় সফটওয়্যার বাজার সংকুচিত হওয়ায় এখন সে সংখ্যা ৭০-৮০ হাজারে নেমে এসেছে। "সরকারি ক্রয় কার্যত বন্ধ, আর বেসরকারি খাত ভালো সময়ের অপেক্ষায় আইটি বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছে," বলেন তিনি।
বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, "প্রতি বছর ২০ হাজারের বেশি আইটি স্নাতক চাকরির বাজারে প্রবেশ করছেন, কিন্তু শিল্প তাদের অর্ধেকেরও বেশি কর্মসংস্থান দিতে পারছে না।"
অনেকে আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঝুঁকছেন বা নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করার চেষ্টা করছেন, জানান সোহেল।
তিনি আরও বলেন, কিছু রপ্তানিমুখী কোম্পানি আইটি খাতে নিয়োগ দিচ্ছে, তবে বৈশ্বিক প্রযুক্তি বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
দেশের বৃহত্তম ইস্পাত নির্মাতা বিএসআরএম-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির আলীহুসাইন বলেন, "উচ্চ ঋণের খরচ, ব্যয় সংকোচন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে নতুন বিনিয়োগের পরিবেশ মোটেও অনুকূল নয়।"
তিনি জানান, সরকারের কৃচ্ছতা নীতি ও বেসরকারি খাতের সংকটের কারণে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দেশে ইস্পাতের চাহিদা প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে।
আমির বলেন, বাংলাদেশের মতো ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে, যেখানে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি, সেখানে নির্মাণ খাত লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। কিন্তু খাতটির মন্দার কারণে অনেকের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে।
"সমস্ত ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ পরিকল্পনা স্থগিত রয়েছে। যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলোর মধ্যেও খুব কমসংখ্যক প্রকল্প নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারছে," বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সিরামিকস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন জানান, তার খাতে প্রায় ৮ লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে, যেখানে প্রতিবছর কর্মী সংখ্যা গড়ে ৮-১০ শতাংশ বাড়ত। তবে, সাম্প্রতিক ছয় মাসে কিছু প্রাথমিক স্তরের নিয়োগ হলেও প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
গ্যাস সংকটের কারণে কিছু কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে, আবার কিছু নতুন গ্যাস-নির্ভর কারখানা উৎপাদন শুরু করেছে।
খরচ কমাতে কর্মী সংখ্যা কমাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো
ব্যবসায়িক অনিশ্চয়তার কারণে খরচ নিয়ন্ত্রণের তাগিদ বেড়েছে। পাশাপাশি, প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের ফলে মানবসম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনার দিকে প্রতিষ্ঠানগুলো আরও মনোযোগী হচ্ছে, বলেন আন্তর্জাতিক ব্যবসা ফোরাম অফ বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন রশিদ।
এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রশিদ বলেন, সিনিয়র পদে অভ্যন্তরীণ প্রোমোশনের মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও মুদ্রাস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান খরচ ও সম্পদের ঘাটতির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো সংকটে রয়েছে।
বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় নিয়োগদাতা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ৫ আগস্টের পর তাদের ১.৪৫ লাখ কর্মীর সঙ্গে আরও ৩,০০০ জনকে যুক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল।
অন্যদিকে, আবুল খায়ের গ্রুপ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নতুন প্রকল্প স্থগিত রেখেছে, জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও লিগ্যাল বিভাগের গ্রুপ প্রধান শেখ শাবাব আহমেদ।
চাকরির বাজারের স্থবিরতা কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আরও দুর্বল করছে
বিডিজবসের একজন পরিচালক প্রকাশ রায় বলেন, "কর্মসংস্থান হ্রাসের সুনির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই, তবে সামগ্রিকভাবে বলা যায়, চাকরির বাজার গতি হারিয়েছে। নতুন বিনিয়োগের অভাবে গত ছয় মাসে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি খুবই কম হয়েছে।"
"অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে—অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন, কিন্তু নতুন চাকরি পাচ্ছেন না। একইসঙ্গে, শূন্য পদগুলোও পূরণ করা হচ্ছে না, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলছে," তিনি ব্যাখ্যা করেন।
চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী পিএচপি ফ্যামিলি ১৬টিরও বেশি শিল্প খাতে ৩৫,০০০-এর বেশি কর্মসংস্থান করেছে। গোষ্ঠীটি ইতোমধ্যে পতেঙ্গায় তাদের বে টার্মিনাল প্রকল্প থেকে প্রায় ৩০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে।
পিএচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, "প্রতি বছর আমরা নতুন প্রকল্প চালু করে নতুন ও অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করি। তবে গত বছর, বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর, আমরা নতুন কোনো নিয়োগ দিতে পারিনি। বরং, আমাদের লাভজনক উদ্যোগগুলোর একটিতে ৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে।"
"আমাদের ইস্পাত কারখানাও চাহিদা সংকটের মুখে পড়েছে। ইস্পাতের বাজার চাঙ্গা না থাকায় উৎপাদন তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত রয়েছে। এখনো শ্রমিকদের বসিয়ে রেখে বেতন দিচ্ছি, তবে কতদিন এটি চালিয়ে যেতে পারব, তা অনিশ্চিত," তিনি বলেন।
এদিকে, ২০টিরও বেশি উদ্যোগ থাকা দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজও (কেএসআরএম গ্রুপ) নতুন নিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে।
কবির গ্রুপের সিইও মেহরুল করিম টিবিএসকে বলেন, "দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে, যার ফলে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি সীমিত হয়েছে। গত ছয় মাসে আমরা ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। শূন্যপদ সৃষ্টি হলে কিছু নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তবে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। তবে, এখনো আমাদের কোনো কর্মী ছাঁটাই করতে হয়নি।"
দেশের শীর্ষস্থানীয় সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার সিমেন্টও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নতুন কোনো নিয়োগ দিতে পারেনি।
আরএমজি খাত তুলনামূলক স্থিতিশীল
তবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক খাত তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। বৈশ্বিক অর্ডার বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কর্মসংস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
২০২৪ সালে প্রায় ৬০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) নতুন প্রায় ১০০ সদস্য পেয়েছে, যা শ্রমিক ও নির্বাহীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
"অনেক কারখানা স্থিতিশীল অর্ডারের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে, যা কর্মসংস্থান বজায় রাখার নিশ্চয়তা দিচ্ছে," বলেন রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিজিএমইএ-এর সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
তবে পোশাক শিল্পের সহায়ক খাত—স্পিনিং ও টেক্সটাইল মিলগুলো—সংকটের মুখে পড়েছে। গত এক বছরে এ খাতে কর্মসংস্থান প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে।
"গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, আমদানিকৃত সুতার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা এবং বিক্রি হ্রাসের কারণে টেক্সটাইল মিলগুলো টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে," বলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর সহ-সভাপতি সালেউদ জামান খান।
"আমাদের হিসাবে এ খাতে প্রায় ১০ লাখ কর্মসংস্থান রয়েছে, তবে বর্তমানে কর্মসংস্থানের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে," যোগ করেন তিনি।
বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল জানান, ভারতীয় সুতা বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে অভ্যন্তরীণ মূল্যের তুলনায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
"আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে আসছি, যা পূর্ববর্তী (আওয়ামী লীগ) সরকার খুলে দিয়েছিল। শুধু ২০২৪ সালেই ভারত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২.৭ বিলিয়ন ডলারের সুতা আমদানি হয়েছে, যার ফলে স্থানীয় পর্যায়ে প্রায় ১ লাখ কর্মসংস্থান হারিয়ে গেছে। অনানুষ্ঠানিক আমদানি এ সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে," বলেন তিনি।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমছে
প্রিমিয়ার সিমেন্টের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, নতুন কর্মসংস্থান শিল্পের প্রবৃদ্ধির ওপর নির্ভরশীল। "অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বিদ্যমান শিল্পগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। ফলে উদ্যোক্তারা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন, যা প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে। এর ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না," বলেন তিনি।
ইস্ট কোস্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আজম জে চৌধুরী বলেন, নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ন্যায্য মূল্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারকে দ্রুত কর্মসংস্থান তৈরির জন্য এ দুটো নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় প্রশাসনিক কাজের গতি শ্লথ হয়ে গেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি খাতের মধ্যে পর্যাপ্ত সমন্বয় না থাকায় বিনিয়োগের পরিবেশ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা জরুরি।
হুমায়ুন রশীদ বলেন, "রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখা কঠিন করে তুলেছে।"
উদ্যোক্তারা জানান, তারা বিনিয়োগ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে নির্বাচন ও একটি স্থিতিশীল সরকার গঠনের অপেক্ষায় রয়েছেন।