‘ঝাড়ি কম দিস ভাই, আমি তো বয়সে তোর বড়’

টেস্ট অধিনায়ক বলে কথা। ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার ফরম্যাটের অধিনায়ক হলে তো দায়িত্বও বেশি থাকে। আর বেশি দায়িত্বে বেশি কথা খরচ। হ্যাঁ, এই বেশি কথা খরচ করতে গিয়ে বকাঝকাও করেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। কেবল জুনিয়র ক্রিকেটারদেরই নয়, সিনিয়র ক্রিকেটাররাও ছাড় পান না মুমিনুলের হাত থেকে।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকেও ঝাড়ি দেন মুমিনুল হক। আর কেউ নন, তামিম নিজেই এমনটা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ওপেনারের মজার এই অভিযোগ স্বীকারও করে নেন মুমিনুল হক। জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলকালীন মুমিনুলও জানিয়েছিলেন, মাঠে তিনি এখন ঝাড়ি মারেন।
শনিবার রাতে মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার, লিটন দাসকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে আড্ডা দেন তামিম। লাইভের এক পর্যায়ে যোগ দেন তাইজুল ইসলামও।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার ফাঁকে মুমিনুলের অধিনায়কত্বের বিষয়টিও উঠে আসে। এ সময় তামিম বলেন, 'তুই যেভাবে নিজের নেতৃত্ব দেখাচ্ছিস, মাঝে মাঝে এক-দুইটা ঝাড়ি আমাদেরও দিয়ে ফেলিস। নেতৃত্ব উপভোগ করছিস, ভালো, উপভোগ কর। কিন্তু ঝাড়ি-টারি কম দিস ভাই, বয়সে তো আমি তোর বড় (হাসি)।'
তামিমের পুরো অভিযোগ অবশ্য মেনে নেননি মুমিনুল। টেস্ট অধিনায়ক জানান, কেবল তামিমকেই ঝাড়ি দেন তিনি, অন্যান্য সিনিয়রদের নয়। মুমিনুল বলেন, 'একমাত্র ঝাড়ি কিন্তু আপনাকেই মারি। এটা নির্ভর করে, যখন কোনো বাজে শট খেলেন, তখন মারি। যখন আপনি অ্যালাও করেন, তখন মারি আর কি।'
তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের তিনজন অধিনায়ক। সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মুমিনুলের কাঁধে। টেস্ট অধিনায়ককে তামিম প্রশ্ন করেন, 'মুমিনুল, তোর কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। সবচেয়ে সম্মানের খেলা টেস্ট ক্রিকেট। আমার মনে হয় তুই একদম আদর্শ ব্যক্তি, টেস্ট দলটার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। আমাদের টেস্টে ফলাফল ভালো না হলেও দলকে কিভাবে উজ্জীবিত রাখার চেষ্টা করিস?'
উত্তরে মুমিনুল বলেন, 'আমি যখন অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব পাই, আমার মনে হয়েছিল অধিনায়কত্ব করার এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। কারণ, আমার কাছে তখন চার জন খেলোয়াড় ছিল, যারা প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছে। তারপর তিন-চার জন জুনিয়র খেলোয়াড় বর্তমানে খুব ভালো অবস্থায় আছে। পেসার আছে, ভালো ভালো স্পিনার আছে। আমি চিন্তা করলাম, আমার জন্য এটা চ্যালেঞ্জ নয়, এটা ভালো সুযোগ হবে। টেস্টে দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটা ভালো একটা সুযোগ।'