আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিলে মিলবে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানোর অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারলে নগদ ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। আগেই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এখন কোন অস্ত্রের ক্ষেত্রে কত টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে সেটি ঘোষণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'কেউ যদি লুট হওয়া পিস্তল ও শটগানের সন্ধান দেয়, তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। একইভাবে চায়না রাইফেলের জন্য ১ লাখ টাকা, এসএমজির জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও এলএমজির সন্ধান দিলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আর লুট হওয়া গুলির সন্ধান দিলে প্রতি গুলির জন্য মিলবে ৫০০ টাকা।'
যারা লুট হওয়া অস্ত্রের তথ্য দেবেন, তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
গণঅভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের থানা, ফাঁড়ি কারাগারে বিভন্ন গোষ্ঠী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং আগ্নেয়াস্ত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। ওই সময় লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে।
এর আগে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আনুমানিক ৭০০ অস্ত্র উদ্ধার এখনও বাকি রয়েছে।
তিনি বলেন, 'এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য বিভিন্ন বাহিনীতে জনবল নিয়োগ করা। নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করা হবে।'
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে গাজীপুরের 'পুলিশ কমিশনার থাকেন ঢাকায়, রাস্তা বন্ধ করে ঢোকেন গাজীপুরে' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার যাওয়া আসার সময় রাস্তা বন্ধ করে নিজে চলাচল করেন আর জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেন, এজন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। পুলিশ মহাপরিদর্শক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।'
আর এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, 'ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে যত দ্রুত সম্ভব ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য ইন্টারপোল ও বিজীবী-বিএসএফের মাধ্যমে চেষ্টা করা হবে।'
অন্য কেতি প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, 'মব সন্ত্রাস কমে এসেছে। তবে একেবারেই শেষ হয়ে গেছে, তা নয়। কোথাও কোথাও হয়তো হচ্ছে। নির্বাচনের আগে আরও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সবার সহযোগিতা নিয়ে সরকার সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।'