প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত ইসি কর্মকর্তাদের

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তবে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকলে ১২ মার্চ মানববন্ধন ও ১৩ মার্চ থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে তারা।
এর আগে আজ সকাল থেকে এনআইডি সেবা কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কক্ষের সামনে অবস্থান করা কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, "চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে এমন কোনো বিষয় আমি শুনি নি। এমন আলাপ আলোচনা হয়েছে, হয়ত নীতিগত বিষয়ে চিন্তা চলছে। কিভাবে এটা করা হতে পারে এ নিয়ে আলোচনা চলছে।"
লিখিতভাবে সরকারের কাছে ইসির অবস্থান জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সিইসি বলেন, "এনআইডি ইসির কাছে আছে, থাকবে-এ বিষয়ে কমিশন সম্পূর্ণ একমত। আমাদের মতামত সরকারের কাছে লিখিতভাবে জানাবো। আর্জেন্ট বেসিসে এটা জানানো হবে।"
সিইসির কাছে আগামী বুধবারের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে ইসি কর্মকর্তারা।
এএমএম নাসির উদ্দিন আরও জানান, এনআইডি তো ভোটার রেজিস্ট্রেশনের একটা বাইপ্রোডাক্ট। ১৭ বছর ধরে ইসি কর্মকর্তারা শ্রম দিয়েছে, সারাদেশে নেটওয়ার্ক ডেভেলপ করছে। সার্বিক বিষয়গুলো সরকার ডেফিনেটলি বিবেচনায় নেবে। হয়ত ইনফরমেশনের একটা গ্যাপ থাকতে পারে। কমিশনের লিখিত মতামত পাওয়ার পর নিশ্চয়ই এ গ্যাপটা থাকবে না।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, "এনআইডি কার্যক্রম যাতে ইসি থেকে না যায় সে বিষয়ে কমিশন সব উদ্যোগ নেবে, আমরা ইসির সাথে আছি। এনআইডি যদি ইসি থেকে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়বে। আমাদের উদ্বেগ জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি, কর্মসূচি রয়েছে।"
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, এনআইডি নিয়ে বারবার একেক সময় একেকরকম সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি হয়। তারা এনআইডি নিয়ে টানা হেঁচড়া করে। এর আগে একাধিকবার চেষ্টা হয়েছিল, মাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এখন আবার নতুন কমিশন তৈরি করে তাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
১৭-১৮ বছর ধরে কোনো সমস্যা হয় নি উল্লেখ করে ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, "আজকে এমন কোনো পরিবেশ তৈরি হয় নি বলে আমরা বিশ্বাস করি, এনআইডি ইসি থেকে অন্য কোথাও যাবে।"