বিদ্যুৎ সংকটে ঢাকা ইপিজেডের ৩০ শতাংশ কারখানার উৎপাদন বন্ধ, ৫ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

গ্যাস না থাকায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদুৎ সরবরাহ করতে পারছে না ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এ কারণে গতকাল রাত থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সহায়তায় চলছে ডিইপিজেডের কার্যক্রম।
বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহযোগিতায় ডিইপিজেডের ৭০ শতাংশ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চালু হলেও বন্ধ রয়েছে ৩০ শতাংশ কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম।
হঠাৎ সৃষ্ট এই সংকটের কারণে সকালে ডিইপিজেডের ৫ প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে বলেও জানিয়েছেন ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।
বেলা ১২ টা নাগাদ সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ডিইপিজেডের মোট চাহিদা ৪৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে ২৫ থেকে ২৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এর সাথে দ্রুতই আরও ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে বলেও আশা করছেন ডিইপিজেডের কর্মকর্তারা।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, "গতকাল হঠাৎ করেই কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ইউনাইটেড পাওয়ারের প্লান্টের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে ডিইপিজেড। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় পল্লী বিদ্যুৎ থেকে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।"
পরবর্তীতে আজ সকাল ৯ টার পর থেকে সমিতি ২৫ থেকে ২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ার পর ধীরে ধীরে কারখানাগুলো উৎপাদনে যায় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, "এই মুহূর্তে আমাদের ৭০ শতাংশ কারখানা সচল আছে, বাকী ৩০ শতাংশ কারখানাও খুব দ্রুতই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করছি। সমিতি থেকে এখন আমরা ২৫/২৬ মেগাওয়াট সাপ্লাই পাচ্ছি, আরও ১০ মেগাওয়াট যুক্ত হবে বলে আশা করছি।"
ডিইপিজেডের জোনে বিদ্যুৎ এর মোট চাহিদা ৪৫ মেগাওয়াট বলেও জানান তিনি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১'র সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান লষ্কর বলেন, গতকাল দুপুর থেকে ইউনাইটেড পাওয়ারের পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমরা সন্ধ্যায় ১০ মেগাওয়াট সাপ্লাই দিয়েছি, যা দিয়ে সিকিউরিটিসহ আবাসিক বা অন্যান্য চাহিদাগুলো মেটানো হয়েছিল। আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আরও ২৫ মেগাওয়াট অর্থাৎ সর্বমোট ৩৫ মেগাওয়াট আমরা তাদের সরবরাহ করছি।
তিনি আরও বলেন, "এই মুহূর্তে আমরা কবীরপুর গ্রীড থেকে ইপিজেডের দুটি সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। আর কোনো কারণে ইউনাইটেড পাওয়ার বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হলে আমরা এটা কন্টিনিউ করার একটা প্রচেষ্টা নিচ্ছি। ডিইপিজেডে আমাদের আগে থেকেই ফ্যাসিলিটি রয়েছে, কাজেই কোন সমস্যা হবে না।"