ডিইপিজেডে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবে পল্লী বিদ্যুৎ, কাল থেকে পুরোদমে কার্যক্রম চলার প্রত্যাশা

ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধান হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থ হলেও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এখন থেকে ডিইপিজেডের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করবে। ফলে আগামীকাল থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় বিদ্যুৎসংক্রান্ত জটিলতা থাকবে না।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি জানান, 'এখন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ আমাদের সরবরাহ দিচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা ৪০ থেকে ৪৫ মেগাওয়াট, যা আগামীকাল থেকে পূর্ণ মাত্রায় সরবরাহ করা হবে।'
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান লষ্কর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কবীরপুর গ্রিড থেকে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সংকট নেই জানিয়ে শরীফুল ইসলাম বলেন, '[মঙ্গলবার] সকাল পর্যন্ত ৭০ শতাংশ কারখানা চালু হয়, বিকেলে তা ৯০ শতাংশে পৌঁছায়।'
তিনি আরও বলেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের চাহিদা ৩৫ মেগাওয়াটের মতো, যা সম্পূর্ণটাই পল্লী বিদ্যুৎ থেকে আসছে। সংস্থাটির সঙ্গে বৈঠকের পরই তারা কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ক্যাপাসিটিও বাড়ানো হয়েছে।'
মো. আক্তারুজ্জামান লষ্কর বলেন, নিরবচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করতে সাবস্টেশনের ক্যাপাসিটিও বাড়ানো হয়েছে এবং অবশিষ্ট কাজ আগামীকাল শেষ হবে।
তিনি বলেন, 'বর্তমান ক্যাপাসিটিই পর্যাপ্ত হলেও সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে তা আরও বাড়ানো হয়েছে।'
এর আগে, বকেয়া পাওনাকে কেন্দ্র করে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
এতে ডিইপিজেডের বিদ্যুৎ উৎপাদন হঠাৎ বন্ধ হয়ে শিল্প ইউনিটগুলো সংকটে পড়ে। অধিকাংশ কারখানা কর্মীদের ছুটি দিতে বাধ্য হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সন্ধ্যার পর ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ প্রাথমিকভাবে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে, যা দিয়ে নিরাপত্তা ও অন্যান্য জরুরি চাহিদা পূরণ করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ধাপে ধাপে সরবরাহ বাড়ানো হয়। দুপুর ১২টার দিকে ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা ৪৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ২৫ মেগাওয়াট পাচ্ছেন এবং দ্রুতই আরও ১০ মেগাওয়াট যুক্ত হবে।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, 'আমাদের চাহিদা সময়ভেদে পরিবর্তিত হয়। সকাল ১০টার দিকে ৪৫ মেগাওয়াট, দুপুরে ৪০ মেগাওয়াট এবং বিকেলে তা আরও কিছুটা কমে আসে।'