‘ডিসকাউন্ট চাইবেন না’: ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ইস্তাম্বুলের দোকানে বিশেষ সাইনবোর্ড

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইনস্টাগ্রামের একটি রিলকে ঘিরে তুমুল কৌতূহল ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে একটি দোকানের কাউন্টারের পাশে টানানো একটি সাইনবোর্ডে লেখা— 'ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশি ভাইয়েরা, দয়া করে দামাদামি করবেন না।'
দর্শকদের নজর কাড়তে সময় নেয়নি ব্যতিক্রমী ওই বিজ্ঞপ্তিটি। ভিডিওতে দোকানের ভেতরটা ঘুরিয়ে দেখানোর পর ক্যামেরা জুম করে বোর্ডটির ওপর। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, 'ইস্তাম্বুলে দক্ষিণ এশীয়দের উদ্দেশে লেখা 'ছাড় নয়' বিজ্ঞপ্তিটি চোখে পড়ল।
সাইনবোর্ডটি ঘিরে মজাদার মন্তব্যে ভরে যায় ইনস্টাগ্রামের মন্তব্যঘর। কেউ কেউ একে কৌতুকের চোখে দেখেছেন, কেউ আবার সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার নিয়ে তর্ক তুলেছেন।
একজন মন্তব্য করেছেন, 'সীমান্তে বিভক্ত, কিন্তু আন্তর্জাতিক লজ্জায় ঐক্যবদ্ধ।'
আরেকজন লেখেন, 'ওরা ছাড় চায় না, ওরা ছাড়ের জন্য অনুনয়-বিনয় করে, ৩০ মিনিট গল্প করে শেষে কিছু না কিনেই চলে যায়। আমার দোকানেরও এমন অভিজ্ঞতা আছে। পরে আমরা এই দেশগুলো থেকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছি। দুঃখজনক হলেও সত্যি… দুঃখিত।'
একজন লিখেছেন, 'অনেকে বুঝতে পারেননি, পোস্টারটি ছাড়ের বিরুদ্ধে নয়, দামাদামির বিরুদ্ধে।'
আরেকজনের ভাষায়, 'এমন অনেকেই আছে, যারা দক্ষিণ এশীয়দের মতোই দর কষাকষি করে।'
আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, 'এটা মজার নয়। মানুষের বোঝা উচিত, শিষ্টাচারের কোনও বিকল্প নেই। ভিনদেশে গেলে সংযত আচরণ করুন।'
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতিতে বাজারে দামাদামি করা সাধারণ একটি বিষয়। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী হাটবাজারে বহুদিন ধরে এই রীতির চল রয়েছে। অনেকের কাছেই এটি শুধু ছাড় চাওয়ার ব্যাপার নয়, বরং বিক্রেতার প্রতি সম্মান জানানো এবং পারস্পরিক আলাপচারিতার মাধ্যম হিসেবেও দেখা হয়।