আরপিও সংস্কার: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করার প্রস্তাব ইসির

আরপিও (নির্বাচনী আইন) সংস্কারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিবের কাছে পাঠানো প্রস্তাবে এ সংযোজনসহ আরও কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ইসি সচিব বলেন, 'আরপিও সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করার বিষয়টি রয়েছে।'
বর্তমানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও কোস্ট গার্ড অন্তর্ভুক্ত। নতুন প্রস্তাবে 'প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ' যুক্ত হলে জাতীয় নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনীকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে মোতায়েনের আইনগত ভিত্তি তৈরি হবে।
এ প্রস্তাব গৃহীত হলে প্রায় ১৫ বছর পর আরপিওতে এ ধরনের বড় সংস্কার আসবে। ২০০১ সালের আগে আরপিওতে সেনা মোতায়েনের কোনো বিধান ছিল না। তারপরও ১৯৭৩ সাল থেকে সব জাতীয় নির্বাচনে জেলা, থানা ও উপজেলা পর্যায়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
২০০১ সালের এক অধ্যাদেশে 'ল এনফোর্সিং এজেন্সি'র সংজ্ঞায় 'ডিফেন্স সার্ভিস' যুক্ত করা হলেও ২০০৯ সালে তা বাদ দেওয়া হয়।
এর আগে বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সশস্ত্রবাহিনী যুক্তের সুপারিশ করেছিল। বর্তমান নাসির উদ্দিন কমিশনও একই সুপারিশ করেছে।