৬ মাসে সংশোধিত ৯ লাখ এনআইডি, ৭৬ হাজারের মতো আবেদন অনিষ্পন্ন: ইসি সচিব

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নিয়ে নাগরিকদের ভোগান্তি কমেছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে 'এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত ক্র্যাশ প্রোগ্রাম'-এর অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরুতে, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত, অনিষ্পন্ন এনআইডি সংশোধনের আবেদন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৬টি। এরপর ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসে নতুন আবেদন পড়ে ৬ লাখ ৫ হাজার ৫২০টি।
তিনি জানান, সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদনের মধ্যে 'ক্র্যাশ প্রোগ্রামে' নিষ্পন্ন হয়েছে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি।
আখতার আহমেদ বলেন, 'প্রতি মাসে নাগরিকদের এনআইডি সংশোধন নিয়ে আবেদন কমছে। ভোগান্তিও কমে এসেছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এনআইডি সেবা নিয়ে আর কোনো হয়রানির অভিযোগ থাকবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আগে প্রতি মাসে গড়ে এক লাখ করে আবেদন পড়ত, এখন তা কমে প্রায় ৮০ হাজারে নেমে এসেছে। বর্তমানে অনিষ্পন্ন আবেদন রয়েছে ৭৬ হাজার ৬৯৪টি।'
তিনি জানান, এনআইডি সংশোধনকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক হয়রানির অভিযোগ থাকলেও বর্তমান কমিশনের উদ্যোগে তা ধীরে ধীরে কমে আসছে।
ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, সংশোধনের মাত্রা অনুযায়ী আবেদনগুলোকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিলাদি যাচাই, শুনানি শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে দেওয়া হচ্ছে।
২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ১১টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে চার ক্যাটাগরিতে নিষ্পন্ন হয়েছে ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪২০টি।
আখতার আহমেদ বলেন, 'আমার মনে হয়, নাগরিক সেবায় মানুষের ভোগান্তি কমেছে। ছয় মাসে আবেদনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কমেছে। আগামী কয়েক মাসে তা সন্তোষজনক পর্যায়ে আসবে এবং হয়রানির অভিযোগ থাকবে না।'
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর নানা অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন রাজনীতিকসহ অনেকের এনআইডি 'লক' করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, 'নানা কারণে এনআইডি লক করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে এনআইডির অপব্যবহার রোধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।'