Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
May 11, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, MAY 11, 2025
দেশে চরম দারিদ্র্য বাড়বে, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হবে ৯.৬ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

অর্থনীতি

মহসিন ভুঁইয়া
03 April, 2024, 09:00 am
Last modified: 03 April, 2024, 05:26 pm

Related News

  • ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাত দেখতে পেয়েছে বিশ্বব্যাংক
  • চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্যের ৭৩ শতাংশ রিসাইক্লিং হচ্ছে: কর্মশালায় বক্তারা 
  • প্রাণ-প্রকৃতি নষ্ট করে খাদ্য উৎপাদন হয় না, হয় শিল্পপণ্য: ফরিদা আখতার
  • এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯.১৭ শতাংশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিও কমেছে
  • মার্চে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি দুটিই ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

দেশে চরম দারিদ্র্য বাড়বে, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হবে ৯.৬ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২০২২–২৩ অর্থবছরের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বজায় থাকবে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ হার গত অর্থবছরের ৯ শতাংশ থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হবে।
মহসিন ভুঁইয়া
03 April, 2024, 09:00 am
Last modified: 03 April, 2024, 05:26 pm
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাংকের ম্যাক্রো পোভার্টি আউটলুক ফর বাংলাদেশ অনুসারে, ২০২২–২৩ ও ২০২৩–২৪ অর্থবছরের মাঝে প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে তাদেরকে দৈনিক ২.১৫ ডলারেরও কম অর্থ ব্যয়ে জীবনযাপন করতে হবে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়াবে ৯ দশমিক ৬ শতাংশে। এ প্রবণতার কারণ হিসেবে সংস্থাটি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে নির্দেশ করেছে।

প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য হার [দৈনিক ২.১৫ ডলার ব্যয়ে জীবনধারণ] ৫ দশমিক ১ শতাংশে উঠবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের আনুমানিক ৪ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেশি।

সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট-এর অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রতিবেদনে মাঝারি দারিদ্র্যহার [দৈনিক ৩.১৫ ডলারের কম ব্যয়] ২০২২–২৩ অর্থবছরের ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হয়েছে।

'ব্যক্তিগত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দারিদ্র্য হ্রাস থমকে গিয়েছে। খাদ্যপণ্যের উচ্চ মূল্য বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেছে। এ পরিবারগুলো তাদের আয়ের অর্ধেকেরও বেশি খাবারের পেছনে ব্যয় করে,' প্রতিবেদনে বলা হয়।

তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এর প্রতিবেদনে দেশে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে দেখা গেছে।

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশে চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে ২০১৬ সালের সমীক্ষায় উচ্চ দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছিল।

ইনফোগ্রাফিক: টিবিএস

বিশ্বব্যাংক আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২০২২–২৩ অর্থবছরের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর ধীরে ধীরে এ প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে উঠবে।

একই সময়ে বেসরকারি বিনিয়োগ ফরেক্স রেশনিংয়ের কারণে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বজায় থাকবে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ হার গত অর্থবছরের ৯ শতাংশ থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। ২০২১–২২ অর্থবছরে দেশের মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২০–২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল।

বৈষম্য একই থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সংস্থাটির প্রতিবেদনে। সহনশীল রপ্তানিবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাহ্যিক খাতের চাপ ধীরে ধীরে কমবে বলে ধারণা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

চলতি হিসাবের ঘাটতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে আরও সংকুচিত হবে বলে অনুমান করেছে বিশ্বব্যাংক। দেশ থেকে অভিবাসী শ্রমিকের বিদেশ গমনবৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বিনিময় হারের নমনীয়তার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

মাঝারি মেয়াদে রেভিনিউ ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছে। আর ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের উন্নতি এবং কর প্রশাসনকে শক্তিশালী করার চলমান প্রচেষ্টার ফলে নমিনাল রেভিনিউ বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্বব্যাংকের অনুমান, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে যা ২০২২–২৩ অর্থবছরের ৮ দশমিক ২ শতাংশের তুলনায় ২০২৩–২৪ অর্থবছরে জিডিপির ৮ দশমিক ৬ শতাংশ হবে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, রাজস্ব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কম রাজস্ব আহরণ ক্ষমতা, আর্থিক খাতের আনুষঙ্গিক দায় আদায় এবং ঘাটতির নগদীকরণ।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ এবং ভুটান অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বাংলাদেশের ওপর এই সর্বশেষ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদন উপস্থাপনাকালে বলেন, বাংলাদেশ ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি, লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি এবং উচ্চ সুদের হারের মতো বেশ কিছু আন্তঃসম্পর্কিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আর কঠোর তারল্য পরিস্থিতি ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতায় ভূমিকা রেখেছে।

'নীতি সংস্কার বাংলাদেশকে দ্রুত প্রবৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে,' বলেন আবদুল্লায়ে সেক। এর জন্য সমন্বিত আর্থিক ও রাজস্ব নীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের দুর্বলতা মোকাবিলার ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য নীতি সমন্বয়ের পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আরও নমনীয় মার্কেট-ক্লিয়ারিং বিনিময় হার যা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে দ্রুত বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহকে আকৃষ্ট করবে এবং আর্থিক হিসাবের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে।

ইনফোগ্রাফিক: টিবিএস

অদূর ভবিষ্যতেও অর্থনীতিতে চাপ থাকার পূর্বাভাস

কোভিড-১৯ মহামারির আগের দশকের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ গড় থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে আটকে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির ফলে ব্যক্তিগত ব্যয়বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। বিদ্যুৎ ও ইনপুট ঘাটতি বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতা বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস করতে পারে বলে বিশ্বব্যাংক এর প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দিয়েছে।

আগামী অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশে তুলনামূলক মন্থর বৃদ্ধি বজায় রাখার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে জোর দেওয়া হয়েছে যে, বিনিয়োগের পুনরুত্থান বড় আকারের সরকারি প্রকল্পগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে শিল্প ও সেবা খাতের উভয় ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আমদানি সীমাবদ্ধতা এবং জ্বালানি ঘাটতির কারণে শিল্প সম্প্রসারণ ২০২১–২২ অর্থবছরের ৯ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ২০২২–২৩ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে শিল্প উৎপাদনের সূচকে আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ সংকোচন দেখা গেছে।

ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের ফলে পরিষেবা বৃদ্ধির হার ২০২১–২২ অর্থবছরের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ২০২২–২৩ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এছাড়া অনুকূল আবহাওয়া এবং উচ্চ বাজার মূল্যের সুবাদে ২০২২–২৩ অর্থবছরে কৃষি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনপরবর্তী নতুন মন্ত্রিসভার শপথ নেওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কমেছে, তবে পূর্বাভাসের নেতিবাচক ঝুঁকিসমূহ উপেক্ষা করার মতো নয়। আর্থিক এবং বিনিময় হার সংস্কারে অপর্যাপ্ত অগ্রগতির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও হ্রাস পেতে পারে এবং ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি চাপ তৈরি হতে পারে।

ব্যাংকিং খাত নিয়ে পর্যবেক্ষণ

দুর্বল সম্পদমান এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বল মূলধন ভিত্তি আর্থিক সঞ্চালনকে বাধাগ্রস্ত করছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের ৮ দশমিক ২ শতাংশের তুলনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গ্রস খেলাপি ঋণের অনুপাত ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। নিয়ন্ত্রক সহনশীলতা অনুশীলনের কারণে খেলাপি ঋণের প্রকৃত মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হতে পারে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মূলধন পর্যাপ্ততা মাত্র ১১ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যেখানে কমপক্ষে এক ডজন ব্যাংক মূলধন পাওয়ার পরও বছরের পর বছর ধরে গুরুতরভাবে মূলধন ক্ষয় করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপর্যাপ্ত ব্যাংক মূলধন বেসরকারি ঋণ ও বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

ক্রমাগত নিয়ন্ত্রক সহনশীলতা এবং দুর্বল ক্রেডিট রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট ব্যবস্থা ঋণের কার্যকর বরাদ্দকে বাধাগ্রস্ত করে, যার ফলে ব্যাংকের সম্পদের গুণমান আরও খারাপ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। দুর্বল ব্যাংক ব্যালেন্স শীটও আর্থিক নীতির কার্যকর প্রেষণে বাধা দেয়।

বিনিময় হার প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক্সটার্নাল বাফার পুনর্নির্মাণের জন্য বিনিময় হারের সংস্কার জরুরিভাবে প্রয়োজন। বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ গত বছরে তীব্রভাবে হ্রাস পেয়ে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২০.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। একটি টেকসই বিনিময় হার নীতি বাস্তবায়ন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য অবক্ষয় রোধ এবং বাজারের আস্থা পুনরুদ্ধারের মূল চাবিকাঠি বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত একটি ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি একটি মার্কেট-ক্লিয়ারিং এক্সচেঞ্জ রেট মেকানিজম হতে হবে যা আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস করবে। এটি আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ আকৃষ্ট করে এক্সটার্নাল বাফার পুনর্গঠনে সহায়তা করবে। ঋণ পরিষেবা এবং অন্যান্য বাহ্যিক অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য নিশ্চিত করতেও এ সংস্কার সাহায্য করবে।

অন্যান্য নেতিবাচক ঝুঁকি

পিক সিজনে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপর্যাপ্ত সরবরাহ এবং বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে পর্যাপ্ত এলএনজি আমদানি করতে না পারা শিল্প উৎপাদন ও বিনিয়োগকে ব্যাহত করতে পারে। অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত করার এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি মধ্যমেয়াদে পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

অন্যান্য রাজস্ব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে রাজস্ব সংগ্রহে দুর্বল কর্মক্ষমতা, আর্থিক খাতে দুর্বলতা থেকে উদ্ভূত আনুষঙ্গিক দায় আদায় এবং রাজস্ব ঘাটতির নগদীকরণ বৃদ্ধি।

নীতিগত ত্রুটিতে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি ভ্যাট ঘাটতি

বাংলাদেশ কর রাজস্বের জন্য পরোক্ষ করের ওপর নির্ভর করে, যার একটি উল্লেখযোগ্য উৎস হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)। তবে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক ২০১৮–১৯ অর্থবছরের জন্য পরিচালিত ভ্যাট গ্যাপ বিশ্লেষণে নীতি এবং সম্মতি সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করা হলে রাজস্ব সংগ্রহের যথেষ্ট সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

বিশ্লেষণটিতে সম্ভাব্য এবং প্রকৃত ভ্যাট রাজস্বের মধ্যে পার্থক্যকে ভ্যাট গ্যাপ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ২০১৮–১৯ অর্থবছরে এ ব্যবধান অনুমান করা হয়েছিল দুই লাখ কোটি টাকারও বেশি যা প্রকৃত ভ্যাট রাজস্বের দ্বিগুণেরও বেশি। এ ব্যবধানের জন্য মূলত দায়ী নীতিনির্ধারণ, যার ফলে ১.৩০ লাখ কোটি টাকার নীতিগত ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহকে শক্তিশালী করার ওপর বিশেষ আলোকপাতসহ নীতি এবং সম্মতির ত্রুটিসমূহ সমাধান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

Related Topics

টপ নিউজ

অর্থনীতি / বিশ্বব্যাংক / দারিদ্র্যের হার / দারিদ্র্য / মূল্যস্ফীতি / বাংলাদেশের অর্থনীতি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • যাত্রীবাহী লঞ্চে পিকনিকে আসা নারীদের প্রকাশ্যে মারধর–লুটপাটের অভিযোগ
  • চার সপ্তাহের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মোট ব্যয় প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার!
  • লঞ্চে প্রকাশ্যে নারীদের মারধর করা সেই যুবক গ্রেপ্তার
  • তিন মাসে বিএটি বাংলাদেশের ৯ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকার ব্যবসা, সিগারেট বিক্রি কমেছে ৫৩৮ কোটি শলাকা
  • ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত: পিএল-১৫ই ক্ষেপণাস্ত্রের পেছনে আছে চীনের রোবট বাহিনী
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

Related News

  • ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাত দেখতে পেয়েছে বিশ্বব্যাংক
  • চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্যের ৭৩ শতাংশ রিসাইক্লিং হচ্ছে: কর্মশালায় বক্তারা 
  • প্রাণ-প্রকৃতি নষ্ট করে খাদ্য উৎপাদন হয় না, হয় শিল্পপণ্য: ফরিদা আখতার
  • এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯.১৭ শতাংশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিও কমেছে
  • মার্চে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি দুটিই ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

Most Read

1
বাংলাদেশ

যাত্রীবাহী লঞ্চে পিকনিকে আসা নারীদের প্রকাশ্যে মারধর–লুটপাটের অভিযোগ

2
আন্তর্জাতিক

চার সপ্তাহের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মোট ব্যয় প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার!

3
বাংলাদেশ

লঞ্চে প্রকাশ্যে নারীদের মারধর করা সেই যুবক গ্রেপ্তার

4
বাংলাদেশ

তিন মাসে বিএটি বাংলাদেশের ৯ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকার ব্যবসা, সিগারেট বিক্রি কমেছে ৫৩৮ কোটি শলাকা

5
আন্তর্জাতিক

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত: পিএল-১৫ই ক্ষেপণাস্ত্রের পেছনে আছে চীনের রোবট বাহিনী

6
বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net