নিষেধাজ্ঞা পুতিনের ওপর আদৌ কোনো ‘প্রভাব’ ফেলে কি না সন্দিহান ট্রাম্প

রাশিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শেষ পর্যন্ত অকার্যকর প্রমাণিত হতে পারে বলে স্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে প্রভাব ফেলুক আর নাই ফেলুক, ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে শিগগির কোনো চুক্তি না হলে তার প্রশাসন মস্কোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করার নিশ্চয়তা দিয়েছেন ট্রাম্প।
এই সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি চুক্তির জন্য নির্ধারিত ৫০ দিনের সময়সীমা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে ১০ দিনে নামিয়ে আনেন ট্রাম্প।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই সময়ের মধ্যে সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেমন-রাশিয়ার ওপর ১০০ শতাংশ শুল্কারোপ এবং দেশটির বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রসঙ্গে বলেন ট্রাম্প বলেন, 'আমরা নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছি। তবে আমি জানি না, এগুলো তার [পুতিনের] ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে কি না।'
তিনি বলেন, 'তারা [রাশিয়া] নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে জানে। নিষেধাজ্ঞা, শুল্ক এসব বিষয়ে আমি যেকোনো মানুষের চেয়ে ভালো জানি। এটা কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানি না, তবে আমরা এটা করব।'
ট্রাম্প আরও জানান, তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই সপ্তাহে ইসরায়েল ও গাজা সফর শেষে রাশিয়া যাবেন।
নির্দিষ্ট কোনো সময়সূচি না জানালেও, উইটকফ অতীতেও একাধিকবার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত দূত জন কেলি নিশ্চিত করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৮ আগস্টের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা করছেন।গত কয়েক সপ্তাহে মস্কোর অবস্থান নিয়ে তিনি ক্রমাগত অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ট্রাম্পের মন্তব্য সম্পর্কে মস্কো ওয়াকিবহাল, তবে তারা এসব হুমকিকে তেমন গুরুত্ব দেন না।
বুধবার তিনি বলেন, 'আমরা অনেক দিন ধরেই প্রচুর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাস করছি। স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে।'
তিনি আরও বলেন রাশিয়া শান্তিতে বিশ্বাসী, তবে সেটা তার স্বার্থ ও 'নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতা' মেনে চলার শর্তে।
২০১৪ সালে পশ্চিমা-সমর্থিত কিয়েভ অভ্যুত্থান এবং ২০২২ সালে সংঘাত বাড়ার পর থেকে রাশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশে পরিণত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মিলে দেশটির ওপর ১০ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো খুব একটা প্রভাব ফেলেনি; বরং মস্কো অর্থনৈতিকভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এবং কোনো চাপেই ভয় পায় না।