গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎ: ফ্লাইট এক্সপার্ট ও এর পরিচালকদের হিসাব জব্দের নির্দেশনা চেয়ে রিট

গ্রাহকের ৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্ট ও এর পরিচালকদের সব আর্থিক হিসাব জব্দের নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
গত শনিবার (২ আগস্ট) প্রকাশিত 'শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে ফ্লাইট এক্সপার্ট!' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে আজ সোমবার (৪ আগস্ট) জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পাভেল মিয়া।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিআইজি (ইমিগ্রেশন), ঢাকা জেলা প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেড এবং এর পরিচালকদের সব আর্থিক হিসাব (ব্যাংক, মোবাইল ও পেমেন্ট গেটওয়ে) জব্দের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেডের সঙ্গে সংযুক্ত সবার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
গত শনিবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্ট। তাদের অফিস বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ওয়েবসাইট হারিয়ে গেছে। বহু এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্টে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট এক্সপার্ট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো গ্রাহক ও টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি। তারা অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছিলেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন (কক্ষ সংরক্ষণ), ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো বিভিন্ন সেবা দিত প্রতিষ্ঠানটি।