হামাস সেনাপ্রধানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনি

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দেইফ ও খান ইউনিস ব্রিগেডের প্রধান রাফে সালামাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন।
যুদ্ধের পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত আল-মাওয়াসির ফুটেজে রাস্তায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং তাঁবুগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা সিএনএনকে বলেন, 'আমি এই ভয়াবহতার ব্যাপকতা বর্ণনা করতে পারব না'।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দেইফ ও তার ডেপুটি নিহত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। তিনি জানান, কোনো জিম্মি উপস্থিত নেই এমন আশ্বাস দেওয়ার পরই তিনি অভিযানের অনুমোদন দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ বিমান হামলায় কমপক্ষে ৯০ জন নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়েছে যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু। যদিও সিএনএন এই সংখ্যার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি, কারণ মন্ত্রণালয় বেসামরিক ও যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য করে না। স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকারী দলকে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
হামাস দেইফ ও সালামাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের এই হত্যাকাণ্ডকে 'ভয়াবহ গণহত্যা' বলে অভিহিত করেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মনে করা হয় মোহাম্মদ দেইফকে। কয়েকদশক ধরে তিনি ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। এর আগে তাঁকে সাতবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কোনোবারই সফলতা পায়নি ইসরায়েল।
২০১৪ সালের একটি হামলায় ইসরায়েল তার স্ত্রী, সাত মাসের ছেলে এবং তিন বছরের মেয়েকে হত্যা করেছিল। সাম্প্রতিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) দেইফ এবং অন্যান্য সিনিয়র হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে হামলার দায় স্বীকারের জন্য গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করে।