কেউ দুবারের বেশি এনসিপির সভাপতি ও সম্পাদক হতে পারবেন না: খসড়া গঠনতন্ত্র গৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক পদে দলের কেউ সর্বোচ্চ দুবার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। একই সঙ্গে কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। এসব নিয়ম রেখে খসড়া গঠনতন্ত্র দলটির সাধারণ সভায় গৃহীত হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, কোনো ব্যক্তি জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দুবার সভাপতি ও দুবার সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন। কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে কাউন্সিল নির্বাচন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এনসিপি সারাদেশে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত রাজনৈতিক পর্ষদ গঠিত হবে, যা ১৩ সদস্যের হবে। যেখানে অন্তত তিনজন নারী থাকবেন।
পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পার্টির প্রথম কাউন্সিল শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক 'রাজনৈতিক পরিষদ'-এর নিকট দায়বদ্ধ থাকবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি 'রাজনৈতিক পরিষদ' থাকবে। 'রাজনৈতিক পরিষদ' ন্যাশনাল কাউন্সিলের ভোটে নির্বাচিত হবে। 'রাজনৈতিক পরিষদ' সর্বনিম্ন ১১ জন থেকে সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য বিশিষ্ট হবে। ১১ জন সদস্য 'ন্যাশনাল কাউন্সিল' এর ভোটে নির্বাচিত হবেন; তার মধ্যে নূন্যতম তিনজন নারী সদস্য থাকতে হবে। পদাধিকারবলে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাজনৈতিক পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। এ পর্ষদের বাকি দুইজন সদস্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বারা মনোনীত হবেন।
আখতার হোসেন জানান, দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সাথে সামগ্রিক যোগাযোগের জন্য দলের পক্ষ থেকে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম-আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম-সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসাকে আজকের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গৃহীত 'খসড়া গঠনতন্ত্র' আগামী কাউন্সিলের আগে প্রয়োজন সাপেক্ষে বর্তমান প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটি সংশোধনী আনতে পারবে বলেও জানান তিনি।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজসি আলম বলেন, আমরা নির্বাচনে কতটি আসনে অংশগ্রহণ করব, সেটা সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ও আচরণকে তাদের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্ন করতে বাধ্য করেছে। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণ করেই আমরা কমিশনে যাব। এক্ষেত্রে তাদের অন্য কোনো পন্থা বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই।