ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের জুলাই প্রদর্শনীতে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি, শিক্ষার্থীদের আপত্তিতে সরালো প্রশাসন

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রশিবিরের 'বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী'তে 'দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের' ছবি প্রদর্শন করায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীসহ একদল শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে তাদের ছবি সরিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম উপস্থিতিতে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রশিবিরের মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ছবি সরাতে সম্মত হন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তিন দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীতে গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন ধরনের চিত্র, প্রতীকী গণভবন, একটি প্রতিকী আন্তঃনগর ট্রেন 'জুলাই এক্সপ্রেস' তৈরি করেছে।
পাশেই 'বিচারিক হত্যাকাণ্ড' শিরোনামে যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত একাধিক নেতার ছবি প্রদর্শন করে। এর মধ্যে মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাইদী, আব্দুল কাদের মোল্লা, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর কাশেম আলী, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ছবি ছিল।
বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের ছবি দেখে বিক্ষোভ শুরু করেন বামছাত্রসংগঠনগুলো ও একদল শিক্ষার্থী।
পরবর্তীতে সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন। পরবর্তীতে শিবিরের এক নেতার সম্মতিতে প্রক্টরিয়াল টিম ছবিগুলো সরিয়ে ফেলে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'আমার মাটি আমার মা, রাজাকারের হবে না' 'স্বৈরাচার আর রাজাকার, মিলেমিশে একাকার', 'হাসিনা আর আজাহার, বাংলাদেশের গাদ্দার', 'একাত্তরের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা', 'চব্বিশের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা'সহ নানা স্লোগান দেন তারা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ অভিযোগ এনেছে। আমরা শিবিরের ছেলেদের ডেকে সেগুলো সরিয়ে ফেলেছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'আমরা জানতাম না তারা তা করবে। আমার নজরে আনার সঙ্গে সঙ্গে আমি শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, একজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি।'