ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে আপত্তি নেই, তবে সংস্কার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে: এনসিপি

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সরকারের ঘোষণায় আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে তারা বলছে, নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে অবস্থিত দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, "গতকাল জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময়সীমা উল্লেখ করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি সবসময়ই বলেছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এর আগে বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কর্তব্য।"
আখতার হোসেন আরও বলেন, "নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এ দায়িত্ব এড়াতে পারে না।"
জুলাই আন্দোলনে শহীদের সংখ্যা নির্ধারণে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, "জুলাই ঘোষণাপত্রে এক হাজার শহীদের কথা বলা হয়েছে। অথচ জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই আন্দোলনে ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন। এক বছরের মধ্যে আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণে ব্যর্থতা ঘোষণাপত্রেও প্রতিফলিত হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "ঘোষণাপত্রে উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের কথা বলা হলেও ১৯৪৭ সালের প্রসঙ্গটি বাদ পড়েছে। '৪৭, '৭১ এবং '২৪-এর গণআন্দোলনের উল্লেখ থাকলে ঘোষণাপত্র আরও সমৃদ্ধ হতো।"
আখতার হোসেন বলেন, "ঘোষণাপত্রে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন, মোদি-বিরোধী আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী ছাত্র আন্দোলনের কথাও উল্লেখ থাকা উচিত ছিল। এসব যুক্ত হলে ঘোষণাপত্রটি সমৃদ্ধ হতো।"
জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে উল্লেখ করে আখতার বলেন, "ঐকমত্য কমিশনে রাজতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছেন এবং কমিশন যেসব সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেসব সংস্কার অন্তবর্তী সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে।"
"জুলাই সনদ ও ঘোষণা পত্রের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে," যোগ করেন তিনি।