আগামী বাজেটে প্লাস্টিক শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক সুবিধা চায় বিপিজিএমইএ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে গত দেড় বছরে দেশের প্লাস্টিক খাতের অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর মধ্যে বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২০২৬-২৬ অর্থবছরে আমদানি যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক সুবিধা চেয়ে সরকারের কাছে ১৫টি সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।
বুধবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ারের বিপিজিএমইএ সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি সামিম আহমেদ প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে রপ্তানিমুখী প্লাস্টিক শিল্পের জন্য আমদানি যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালের ওপর শুল্ক হার টেক্সটাইল শিল্পের মতো ১ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
সামিম আহমেদ বলেন, বর্তমানে প্লাস্টিক খাত একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে খাতটি কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি পাচ্ছে না। নতুন যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট জটিলতা অনেক প্রতিষ্ঠানকে নিরুৎসাহিত করছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে বিগত দেড় বছরে প্লাস্টিক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার যদি আমদানি যন্ত্রপাতিতে ১ শতাংশ শুল্ক সুবিধা দেয়, তবে খাতটি আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং রপ্তানি বাড়বে।
বর্তমানে টেক্সটাইল খাতের সংগঠনগুলোর (বিটিএমএ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিএলএমইএ, বিটিটিএলএমইএ, বিটিডিপিএ) সদস্যরা এসআরও নং-১২০-আইন/২০২১/০৯/কাস্টমস অনুযায়ী মাত্র ১ শতাংশ শুল্কে যন্ত্রপাতি আমদানির পাশাপাশি মূসক ও অন্যান্য শুল্ক থেকেও ছাড় পাচ্ছে।
বিপিজিএমইএ বলছে, প্লাস্টিক শিল্পেও একই সুবিধা প্রদান করা হলে এ খাতটি আরও দ্রুত বিকশিত হবে এবং দেশের রপ্তানি আয়ে বড় অবদান রাখতে পারবে।