বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় বাজেটের সমান: ফাহমিদা খাতুন
বর্তমানে দেশে খেলাপি ঋণের যা পরিমাণ দাঁড়িয়েছে, তা জাতীয় বাজেটের প্রায় সমান বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেছেন, অতীতে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের কারণেই ব্যাংকিং খাত আজ ধ্বংসের মুখে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত 'ব্যাংকিং খাত সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
একসময় দেশের ব্যাংকিং খাত উদ্যোক্তা তৈরিতে বড় ভূমিকা রেখেছিল উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, 'পরবর্তীতে নীতিগত দুর্বলতা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া ঋণ দেওয়ার সংস্কৃতির কারণে খাতটি ধ্বংসের মুখে পড়েছে।'
খেলাপি ঋণের পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে প্রকৃত চিত্র আড়াল করে রাখা হতো বলে খেলাপি ঋণের হার কম দেখানো হতো। এখন নিয়ম অনুযায়ী সঠিক হিসাব করায় এই হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে, যা বাজেটের আকারের প্রায় সমান।
আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে ব্যাংকিং খাত নিয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকা জরুরি।
সংকট উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগ, বিশেষ করে ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্টসহ বিভিন্ন পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। ফাহমিদা খাতুন বলেন, 'এসব সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।'
তবে ব্যাংকিং খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার ওপর বিশেষ জোর দেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, 'ব্যাংকিং খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে। অতীতে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের কারণেই খাতটি আজ এই নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে।'
