Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
August 07, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, AUGUST 07, 2025
নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা: যা ছিল ঘোষণাপত্রে

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
17 May, 2025, 01:45 pm
Last modified: 17 May, 2025, 04:51 pm

Related News

  • নারীদের ধ্বংসের চেষ্টা চলছে, রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি: ফেসবুক লাইভে বৈষম্যবিরোধী নেত্রী
  • নারীকে রাজনীতি ও মূলধারার বাইরে রেখে নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়: তারেক
  • ‎টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে নারী নিখোঁজ
  • নারী আসন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের পদ্ধতি নির্ধারণে ঐকমত্য হয়নি: আলী রীয়াজ
  • পঞ্চগড়ে দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫ জনকে পুশ ইন বিএসএফের

নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা: যা ছিল ঘোষণাপত্রে

ঘোষণাপত্রটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
টিবিএস রিপোর্ট
17 May, 2025, 01:45 pm
Last modified: 17 May, 2025, 04:51 pm
শুক্রবার (১৬ মে) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত 'নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা' কর্মসূচি। ছবি: রাজীব ধর/টিবিএস

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (১৬ মে) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হয় 'নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা' কর্মসূচি। 

বিকাল ৫টার দিকে অংশগ্রহণকারীরা বর্ণিল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে খামারবাড়ি সড়ক হয়ে ফার্মগেট, তারপর ইন্দিরা রোড হয়ে আবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ফিরে এসে শেষ করেন যাত্রা। এর আগে, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। 

'সমতার দাবিতে আমরা' — স্লোগানের এই কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রগতিশীল নারী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংস্কৃতিককর্মী, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরপরই আয়োজকেরা একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল—ঐক্যবদ্ধ নারীবাদী ও সামাজিক ন্যায়বিচার আন্দোলন গড়ে তোলা।

ঘোষণাপত্রটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো—

'বন্ধু ও সহযোদ্ধাগণ,

চব্বিশের অভূতপূর্ব জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে আজ আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের দাবি, একটি গণতান্ত্রিক ও  ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ, যেখানে সকল মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বৈষম্যবিরোধিতা ও সাম্যের যৌথ মূল্যবোধের ওপর। সমতা ও ন্যায্যতার পথে এ মৈত্রীযাত্রায় আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই।

আজ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্বজন, মানবাধিকারকর্মী, পেশাজীবী, শিল্পী, গার্মেন্টস শ্রমিক, চা-বাগানের শ্রমিক, যৌনকর্মী, প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী, হিজড়া, লিঙ্গীয় বৈচিত্র্যময় ও অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ, তরুণী ও তরুণেরা, শিক্ষার্থী, আদিবাসী, অবাঙালি এবং আরও অনেকে। এ মানুষগুলিই আজকের বাংলাদেশের প্রতিনিধি, যারা সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, বৈচিত্র্যময়তা ও সহনশীলতার আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত। আজকে আমরা দাঁড়িয়েছি এ আকাঙ্ক্ষাগুলো নিয়েই — যেগুলো ছিল দীর্ঘ নারী আন্দোলন ও জুলাই অভ্যুত্থানের লড়াইয়ের কেন্দ্রে। 

বাংলার ইতিহাসের পরিক্রমায় আমরা দেখে এসেছি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, তেভাগা, টঙ্ক, নানকার থেকে শুরু করে ৫২-র ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান, ফুলবাড়ি ও কানসাট আন্দোলন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে নারী সহ আমাদের সকলের সাহসী ভূমিকা। 

কিন্তু আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও নারীসহ অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এ অগ্রযাত্রায় নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। নারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ক্ষেত্রেও তারা বাধা তৈরি করছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা, এবং অনলাইনে হয়রানি করে রাজনৈতিক পরিসরে নারীর অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করার তৎপরতা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বিভিন্ন স্থানে অতর্কিত হামলা, আন্দোলনে বাধা, পরিকল্পিত মব-আক্রমণ, মোরাল পুলিশিং, যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রকাশ্যে মারধর, এবং নানান ধরণের হুমকি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। 

সম্প্রতি নারী অধিকার সংক্রান্ত সংস্কার-উদ্যোগের অংশ হিসেবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্দেশ্যে সরকার-কর্তৃক গঠিত অন্যান্য কমিশনের মতোই এ কমিশনটি গঠিত হয়েছিল। এ কমিশন শ্রমজীবী নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ নারীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ৪৩৩টি  সুপারিশ পেশ করে।  অন্যান্য সব কমিশনের মতোই এ কমিশনের সুপারিশেও ছিল নানা আলোচনা-সমালোচনার উপাদান। কিন্তু আমরা দেখেছি রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত সুপারিশগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গিয়ে এবং গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনার সুযোগ না রেখে নানাধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দেশবাসীর সামনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভ্রান্ত ব্যাখ্যা  উপস্থাপন করা হচ্ছে। জনসম্মুখে কমিশনের সদস্যদেরকে জঘন্যভাবে অবমাননা করা হয়েছে।  

এতকিছুর মধ্যে আমরা দেখলাম, জুলাইয়ে অসংখ্য নারীর আত্মত্যাগ ও শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারীর ওপর অব্যাহত নিপীড়ন, অবমাননা ও অপমানের বিরুদ্ধে আশ্চর্যরকম নিশ্চুপ। সরকারের নিজের তৈরি করা নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের ওপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক আক্রমণের পরেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

আমরা দেখছি সমতার দাবিকে অবমূল্যায়ন করে, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষাকে অগ্রাহ্য করে, গণতন্ত্রের স্বপ্নকে সংখ্যাগরিষ্ঠের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র বানানোর চেষ্টা চলছে। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই — যেখানে কাঠামোগত বৈষম্য ও সহিংসতা বিদ্যমান, সেখানে ন্যায়ের সংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করা, হুমকি প্রদান করা বা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা আদতে সেই সংগ্রামের জরুরতকেই প্রমাণ করে। এটা আমাদের দাবির সততা ও ন্যায্যতাকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করছে।

বন্ধুগণ, 

এখনও এ দেশে কৃষি, মৎস্যজীবী ও গৃহকর্ম পেশায় নারীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। এখনো একই কাজে নারীরা পুরুষের চেয়ে কম মজুরি পান। দলিত, হরিজন  ও আদিবাসী নারীরা জাতিগত নিপীড়নের শিকার হন। পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীদের ওপর চলে সেনাবাহিনীর অকথ্য নির্যাতন। আজকে যখন অধিকারের দাবিতে আমরা সমবেত হয়েছি, তখন বম নারীরা কারাগারে বন্দি। বাংলাদেশের শতকরা ৯৬ ভাগ নারী আজও ভূমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত। এশিয়ায় বাল্যবিবাহের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ; প্রতিনিয়ত নারীরা বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পরে হত্যা, যৌতুকের জন্য হত্যা, আত্মহত্যায় প্ররোচনা আর যৌন নিপীড়নের মতো গুরুতর অপরাধের মামলায় ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই কোনো বিচার হয় না। অভিন্ন পারিবারিক আইন না থাকায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক ত্রুটি বা জটিলতার কারণে সম্পত্তি, বিবাহবিচ্ছেদ ও বিচ্ছেদের পর সন্তানের অভিভাবকত্ব পাবার অধিকার থেকে বহু নারী বঞ্চিত। এখনো যৌনকর্মীদের নাগরিক সুরক্ষা নেই। এখনো লিঙ্গীয় বৈচিত্র্যের মানুষদের স্বীকৃতি নেই। অহরহই প্রবাসী নারীশ্রমিক দেশে ফিরেছে লাশ হয়ে। এ সকল কাঠামোগত বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আমাদের সংঘবদ্ধ লড়াই, আমাদের লক্ষ্য সাম্য ও মানবাধিকার  প্রতিষ্ঠা। 

আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ধর্ম কোনোটাই সরল নয়, সমরূপী নয়। জাতীয় ঐক্যের দোহাই দিয়ে নারী বা অন্য কোনো প্রান্তিক গোষ্ঠীর অধিকার, মর্যাদা ও সমাজে ন্যায্য অবস্থানের দাবিকে অস্বীকার করা যাবে না। আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই কৃষকের ভূমির অধিকার থেকে শুরু করে পরিবেশগত ন্যায্যতা — প্রতিটিই নারী-সংক্রান্ত বিষয় এবং নারীর অধিকার একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজের নির্ণায়ক। সমাজের সবচেয়ে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত না করে সকলের জন্য মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতের যেকোনো সরকারকে আমরা মনে  করিয়ে দিতে চাই — নারী, শ্রমিক, জাতিগত, ধর্মীয়, ভাষাগত সংখ্যালঘু, হিজড়া ও লিঙ্গীয় বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিচয়ের নাগরিকের রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কোনো শর্তাধীন নয়, হতে পারে না।  এ মৌলিক বিষয়গুলোকে হুমকির মুখে রাখলে তা হবে অর্ধ শতকের নারী আন্দোলন এবং জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও ইনসাফের ধারণার পরিপন্থী।

সহযোদ্ধাগণ,

আমাদের লড়াই শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, ছুটির অধিকার, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ ও সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করার লড়াই। আমরা লড়ছি নারীর ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে; আমরা চাই কৃষক হিসেবে তার পূর্ণ স্বীকৃতি। আমরা চাই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও বাসস্থানের অধিকার। চাই যৌন ও প্রজনন ক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার অধিকার, গোপনীয়তার অধিকার, রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় বিচারিক প্রক্রিয়ায় নির্ভয়ে অংশ নেওয়ার অধিকার। নিপীড়িত নারীর বিচার পাওয়ার, মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন ও সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার। আমাদের লক্ষ্য সম্পত্তিতে নারীর অধিকার ও সব অর্থে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার। আমরা লড়ছি প্রতিবন্ধী ও দেশের সকল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। আমাদের লড়াই পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে, বিচারহীনতার বিরুদ্ধে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্বের বিরুদ্ধে। 

উল্লেখিত মৌলিক নীতিগুলোর অধিকাংশই নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন উপস্থাপন করেছে। ফলে এই কমিশন বিলুপ্ত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত এবং কুৎসিত প্রচারাভিযান অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেই সঙ্গে সরকার গঠিত কমিশনের সদস্যদের ওপর আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, আমাদের সম্মিলিত অধিকারের একেবারে মৌলিক দাবিগুলোকেও ভয়ভীতি ও হুমকির মাধ্যমে দমন করা হবে। 

আমরা দেখছি, ঘৃণা-বিদ্বেষের রাজনীতি, হুমকি, সংঘবদ্ধ সহিংসতা অবাধে চলছে। আমাদের ন্যায্য দাবিকে দমন করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা জানতে চাই, সরকার কাকে তোষণ করার চেষ্টা করছে?  সংখ্যাগরিষ্ঠের যে উগ্র জাতীয়তাবাদ ও চরমপন্থা দুর্বলকে পিষে মারে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজের সম্ভাবনাকে ভয় পায়, সেই অংশটিকে? গণতন্ত্র ও সংস্কারের নামে যে প্রহসন কেবল বৈষম্যমূলক ব্যবস্থাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে চায়, তাকে? এসব আমরা চলতে দেবো না।
আমরা জানি — অধিকার চেয়ে পাওয়া যায় না, তা আদায় করতে হয়, এবং আমরা তা আদায়ে ভয় পাই না।

আমরা দাবি জানাচ্ছি—

অন্তর্বর্তী সরকারকে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে হবে, বিশেষত নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ঘিরে গুজব ও অপপ্রচার, এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আতঙ্ক সৃষ্টির বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

যারা আমাদের সমর্থন চায় — নির্বাচনী অঙ্গীকারের মাধ্যমে হোক বা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হোক — তাদের স্পষ্ট করতে হবে নারী, শ্রমিক, জাতিগত, ধর্মীয়, ভাষাগত ও লিঙ্গীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং এসব জনগোষ্ঠীর পূর্ণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত মুক্তির বিষয়ে তাদের অবস্থান। বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচন থেকে তাদের প্রার্থীদের অন্তত শতকরা ৩৩ ভাগ (ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যার অনুপাতে) নারী হতে হবে। 

নারী ও প্রান্তিক জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

আমাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্য চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা আমরা মেনে নেবো না। আমাদের মৌলিক অধিকারগুলোকে অস্বীকার করার ষড়যন্ত্র আমরা প্রতিরোধ করবো। বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা, সংস্কৃতি ও ধর্মকে দমনমূলক অস্ত্রে পরিণত করার চেষ্টা আমরা প্রতিরোধ করব। ইতিহাসবিচ্ছিন্ন কূপমণ্ডুকতার মাধ্যমে সহিংসতা ও বৈষম্য চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে আমরা কিছুতেই সফল হতে দেবো না। আমাদের সংস্কৃতি, ধর্ম ও ইতিহাস দারুণ বৈচিত্র্যময় এবং সংবেদনশীল। সেই বিশালতাকে উপেক্ষা করে আমরা গুটি কয়েক মানুষের সংকীর্ণ ব্যাখ্যাকে সার্বজনীন হতে দেবো না। আমরা অধিকার ও ধর্মের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করতে দেবো না, মর্যাদা নিয়ে কোনো ধরনের দ্ব্যর্থকতা মেনে নেবো না। আমরা সরকার ও প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নারী বিষয়ক অবস্থান নজরদারিতে রাখবো। যে ক্ষমতাকাঠামো এসব জুলুমবাজি জিইয়ে রাখে, আমরা সেই কাঠামোকে ভাঙবো। 

আমরা চুপ করবো না, হুমকির মুখে নত হবো না। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে অটল থাকবো। ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন ও তা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা হাল ছাড়বো না।

আজ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।'

Related Topics

টপ নিউজ

নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা / ঘোষণাপত্র / নারী / নারী অধিকার

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘আমি ভাবছিলাম সিঙ্গাপুর যাব, যেতে পারি?’: হাসিনা-তাপসের আরও একটি ‘ফোনালাপ’ ভাইরাল
  • ‘ওভারস্টে’ ঠেকাতে দুই দেশের নাগরিকদের ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজার ডলার জামানতের শর্ত
  • জুলাই ঘোষণাপত্রে তুলে ধরা ইতিহাস এবং আওয়ামী লীগের বর্ণনা অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট: ডেভিড বার্গম্যান
  • মাইক্রোচালকের ‘ঘুমে’ স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ৭ সদস্য হারালেন ওমান প্রবাসী বাহার
  • মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১১
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের জুলাই প্রদর্শনীতে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি, শিক্ষার্থীদের আপত্তিতে সরালো প্রশাসন

Related News

  • নারীদের ধ্বংসের চেষ্টা চলছে, রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি: ফেসবুক লাইভে বৈষম্যবিরোধী নেত্রী
  • নারীকে রাজনীতি ও মূলধারার বাইরে রেখে নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়: তারেক
  • ‎টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে নারী নিখোঁজ
  • নারী আসন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের পদ্ধতি নির্ধারণে ঐকমত্য হয়নি: আলী রীয়াজ
  • পঞ্চগড়ে দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫ জনকে পুশ ইন বিএসএফের

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘আমি ভাবছিলাম সিঙ্গাপুর যাব, যেতে পারি?’: হাসিনা-তাপসের আরও একটি ‘ফোনালাপ’ ভাইরাল

2
আন্তর্জাতিক

‘ওভারস্টে’ ঠেকাতে দুই দেশের নাগরিকদের ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজার ডলার জামানতের শর্ত

3
মতামত

জুলাই ঘোষণাপত্রে তুলে ধরা ইতিহাস এবং আওয়ামী লীগের বর্ণনা অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট: ডেভিড বার্গম্যান

4
বাংলাদেশ

মাইক্রোচালকের ‘ঘুমে’ স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ৭ সদস্য হারালেন ওমান প্রবাসী বাহার

5
বাংলাদেশ

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১১

6
বাংলাদেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের জুলাই প্রদর্শনীতে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি, শিক্ষার্থীদের আপত্তিতে সরালো প্রশাসন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net