আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ: রাত পেরিয়ে সকালেও চলছে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির বিচারের দাবিতে গতকাল রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে শুরু হওয়া এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ শুক্রবার সকাল ৬টার সময়ও চালিয়ে যেতে দেখা যায় এনসিপির নেতাকর্মীদের।
বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এ কর্মসূচির আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন ।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন: 'গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত দশটা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।'
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
রাত ২টার দিকে নাহিদ ইসলাম বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।'
অবস্থান কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা 'ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো', 'দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'ব্যান আওয়ামী লীগ', 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে', 'গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি', 'আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও', 'লীগ ধর, জেলে ভর', 'ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি লেখেন, 'নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই প্রসেস করে সব ফরমালিটি শেষ করে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।'
আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী বলে আখ্যায়িত করে তিনি আরও লেখেন, 'গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নিষিদ্ধ এবং রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্নকরণ নিশ্চিত করাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার।'