চট্টগ্রাম ইপিজেডে এক্সেলশিওর সুজ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

শ্রমিক ছাঁটাইয়ের জেরে টানা দুই দিন বিক্ষোভের পর গতকাল রোববার বিকেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম ইপিজেডের এক্সেলশিওর সুজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কারখানা বন্ধ দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ইপিজেড মোড়ে এসে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সড়ক অবরোধ করে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্ট রোডে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ যাত্রী ও কর্মজীবী মানুষেরা।
অন্যদিকে, জিহাং মেডিকেল প্রোডাক্ট লিমিটেড নামের একটি কারখানায় ১৬ জন ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছে।
তবে, জেডব্লিউ এ্যাপারেলস লিমিটেডে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শ্রমিকেরা আজ সকালে কাজে যোগদান করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনে সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান টিবিএসকে বলেন, "এক্সেলশিওর সুজ কারখানার প্রায় দুই হাজার শ্রমিক সড়কে অবস্থান নিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিল্প পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।"
তিনি বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ৪০ জন শ্রমিককে বেপজা আইন অনুযায়ী সকল পাওয়া বুঝিয়ে দিয়ে চাকরিচ্যুত করে এক্সেলশিওর সুজ কারখানার। চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা বাকি শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, "জে ডাব্লিউ অ্যাপারেলসের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আজ সকালে শ্রমিকদের কাজে যোগদান করিয়েছে। কারখানাটির চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা এখনো কোন ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি করেনি।"
উল্লেখ, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ এক্সেলশিওর সুজ কারখানার শ্রমিকেরা। রোববার সকালে জে ডাব্লিউ অ্যাপারেলসেও শুরু হয় বিক্ষোভ। গত দুই ধরে দফায় দফায় সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে ব্যস্ততম সিইপিজেড মোড়ে।