Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
July 31, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JULY 31, 2025
কত নদী বিস্মৃত বিলীন!

মতামত

পাভেল পার্থ
22 April, 2021, 12:55 pm
Last modified: 22 April, 2021, 12:58 pm

Related News

  • এই মৃত শহর আঁকড়েই বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি আমরা 
  • লক্ষ্মীপুরে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ বন্ধ রেখেছে ৫ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয়রা
  • বগুড়ার ঘড়িয়া ও চন্দ্রাবতী নদী কি সত্যিই ‘নিখোঁজ’?
  • চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্যের ৭৩ শতাংশ রিসাইক্লিং হচ্ছে: কর্মশালায় বক্তারা 
  • পাকিস্তানে পানির প্রবাহ বন্ধে তিনস্তরের পরিকল্পনায় ভারত: স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশল

কত নদী বিস্মৃত বিলীন!

নদী কেবল স্মৃতিকথা না হয়ে থাকুক, নদী হয়ে ওঠুক জীবন চলার পথ ও পাথেয়।
পাভেল পার্থ
22 April, 2021, 12:55 pm
Last modified: 22 April, 2021, 12:58 pm
ছবিটি সংগৃহীত ও প্রতীকী

স্বাধীনতার দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর। মুক্তির এই প্রাণোচ্ছ্বল সুবর্ণলগ্নে কেমন আছে নদীমাতৃক বাংলাদেশ? মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া দেশের নদী-জলাভূমি? এই দেশ জন্ম নিয়েছে নদীপ্রবাহকে শপথ করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিকামী জনতার সাহসী উচ্চারণ ছিল 'পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা।' কিন্তু আমরা কি আমাদের নদীর ঠিকানা অবিরল ছলছল রাখতে পেরেছি? যে নদীময়তা মুক্তিসংগ্রামের পটভূমি তৈরি করল, আমরা সেই নদী-ভূগোল বিকশিত করতে পেরেছি স্বাধীনতার গত পঞ্চাশ বছরে?

আমাদের নদীবিমুখ উন্নয়ন নদীর সেই ঠিকানা নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে, বিস্মৃত করেছে, জোর করে মুছে দিয়েছে। প্রতিদিন দেশের নানাপ্রান্ত থেকে নদীমৃত্যুর খবর আসে। নিহত নদীর লাশের ভারে গণমাধ্যম করুণ হয়ে ওঠে। প্রশ্নহীনভাবে দিনের পর দিন লাশ পড়ে থাকে। কেউ সরায় না। এমনকি রুগ্ণ আহত ক্ষতবিক্ষত জখম নিয়ে কত নদীর আহাজারি। রাষ্ট্র নির্বিকার। নদীর লাশের ওপর দিয়ে নেতার গাড়ি বহর যায়। মরা নদীর রক্তস্রোত ডিঙিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রবৃদ্ধির মাতম ওঠে। চোখের সামনে কত নদী দিনে-দুপুরে খুন হয়ে যায়, ছিনতাই হয়ে যায়, ধর্ষিত হয়, লুট হয়ে যায়, গুম হয়ে যায়। তার হদিশ কেউ রাখে না। নদীর জন্য কোনো সাহসী আদালত নেই। নদীর সেবা-শুশ্রূষার জন্য কোনো হাসপাতালও নেই। 

আমরা কি এমনই নদীবিমুখ ছিলাম? ইতিহাস কী জনভাষ্য তো তা বলে না। আমরা তো নদীর আওয়াজে বাড়বাড়ন্ত হওয়া নদীপাগল মানুষ। কিন্তু এই আমাদের চোখের সামনেই এক এক করে দিনে-দুপুরে, রাত-বিরেতে নিরুদ্দেশ নিখোঁজ হয়ে গেলে কত তরতাজা নদী। কী করে হলো?

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অবশ্যই আমাদের এই নদীপ্রশ্নকে সামনে আনা দরকার। গত পঞ্চাশ বছরে তাহলে ঘটেছে কী? কেন নদীর দেশে নদীরা হারিয়ে গেল একের পর এক? কারণ নদীকে নিরন্তর খুন জখম করেই যে মেদবহুল হলো রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক দেনদরবার। এই নদীবিনাশী উন্নয়নের পুস্তকি নাম 'নয়াউদারবাদী উন্নয়ন'। দেশের নদ-নদীর প্রাণভিক্ষা রাষ্ট্রের কাছে এখনো কোনো আবদার হিসেবে স্বীকৃত নয়। অথচ এই নদীর কংকালের ওপর দাঁড়িয়ে নির্লজ্জের মতো আমরা বুলি আওড়াই 'বাংলাদেশ নদীমাতৃক'।

২.

অজস্র নদীপ্রবাহের শিরা-ধমনীতে টেনে আনা উজানের হিমালয়ের পলিতেই জন্ম নিয়েছে ভাটির বাংলাদেশ। নদীর বিন্যাসেই গড়ে ওঠেছে এখানকার প্রকৃতি, বাস্তুতন্ত্র, স্বভাব, জীবনবোধ, অর্থনীতি ও রাজনীতি। ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা, সুরমা, তিস্তা, মেঘনা, কর্ণফুলী, নাফ, শীতলক্ষ্যা, মগড়া, ফেনী, ডাকাতিয়া, মনু, রক্তি, কপোতাক্ষ, লংলা, ধলেশ্বরী, করতোয়া, ইছামতী, রায়মঙ্গল, শংখ, হালদা, কংশ, তিতাস, পিয়াইন, উবদাখালী, যাদুকাটা, সিমসাং, বড়াল, বলেশ্বর, গড়াই, তুরাগ সব নদ-নদীই আজ মুমূর্ষু ও মরণকামড় দিয়ে মানচিত্র আগলে আছে। এ অঞ্চল নদীসংষ্কৃতির আতুরঘর। জীবিকা, খাদ্য, গীতবাদ্য কি জীবনের আওয়াজ সব নদী ঘিরে। এখানে নদী মানে নারী ও পুরুষের গতিময়তা। নদী অববাহিকা যেমন জন্ম দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন উৎপাদন ও সম্পর্কের ধরন। নদী ঘিরেই বিকশিত ও বিস্তার ঘটেছে পুঁজির। গড়ে উঠেছে নদীনির্ভর যোগাযোগ ও বাণিজ্য।

দিনাজপুরের কান্তজিউর মন্দিরটি নির্মাণ শুরু হয় প্রায় তিনশ বছর আগে, ১৭২২ খ্রিস্টাব্দে। এ মন্দিরের পোড়ামাটির ফলকে নৌকাযাত্রার চিত্র আছে। কাছেই টেপা নদী, এখন ক্ষত-বিক্ষত। গঙ্গা যেমন জলের দেবী, খোয়াজ খিজির ও বদর গাজী তেমনি পানির পীর। নিম্নবর্গের বিশ্বাস ও কৃত্য এমনি নদীকেন্দ্রিক। মসলিন ও জামদানির মতো মিহিবুননের বস্ত্র কারিগরির জন্ম দিয়েছে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষা। নদীর অনেক রঙ বলেই আমাদের বস্ত্রবিন্যাসেও এমনি রঙের ভিন্নতা। পাবনার তাঁত, টাঙ্গাইল তাঁত, হাজংদের বানা তাঁত আর পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী তাঁতের ভেতর তাই এত বৈভব। নানান নদীর প্রবাহেই বিকশিত হয়েছে দেশের হাজারও ধানের পাঁচালি। মাছে-ভাতের বাংলাদেশ তো আর এমনি হয়নি, এটিও নদীসংস্কৃতির এক অনন্য নির্দেশনা।

৩.

নয়াউদারবাদী উন্নয়নপ্রক্রিয়া নদীময় নির্দেশনা অমান্য করেছে, লংঘন করে চলেছে। নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতির ধারাপ্রবাহ রুদ্ধ করে দিয়েছে। ষাটের দশকে নরম্যান বোরলগকে খর্বাকৃতির তথাকথিত উচ্চফলনশীল খাদ্যশস্য উদ্ভাবনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। তার সেই উদ্ভাবনকে কব্জা করে সারা দুনিয়ায় চাপিয়ে দেওয়া হয় ফসল উৎপাদনের এক নয়া তড়িকা। নাম দেওয়া হয় সবুজ বিপ্লব। যন্ত্র দিয়ে মাটির তলার জল টেনে তুলে, রাসায়নিক সার ও বিষের ফেনায় জমিকে বিষাক্ত করে চালু হয় কৃষি অর্থনীতির বিনাশী উৎপাদন বাহাদুরি। 

এর আগ পর্যন্ত, মানুষ মেঘের জল কি নদ-নদী-খাল-বিল-হাওর-ছড়া-বাওড়ের জলই কৃষি উৎপাদনে কাজে লাগিয়েছে। মানুষ নদীর ব্যাকরণ বোঝার চেষ্টা করেছে প্রতিনিয়ত। রাষ্ট্র মানুষের জান ও জবানকে টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। খাদ্য উৎপাদনের নামে জমিতে ঢালতে হয়েছে অবিরাম বিষ আর বিষ। বিষের সব তলানি জমে নদীর কলিজা কি কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে। নদীর গর্ভধারণ হয় যে বন-পাহাড়ে, রাষ্ট্র তা খুন করেছে। একটার পর একটা কারখানা বসিয়েছে। বস্ত্র কোম্পানির বাণিজ্য চাঙ্গা রাখতেই মূলত: দশাসই হয়েছে এক নদীমাতৃক দেশের গার্মেন্টস শিল্প। গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানার বর্জ্যে নদীর শরীর আজ বিকল। 

ঢাকার হাজারিবাগ ট্যানারি একাই মেরে ফেলেছে বুড়িগঙ্গাকে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাণিজ্যিক চিংড়ি ঘের উল্টেপাল্টে দিয়েছে সেখানকার নদীবিন্যাস। এমনকি চাবাগান, তামাক চাষ, আগ্রাসী একাশিয়া ও ইউক্যালিপটাসের বাণিজ্যিক বাগান বা হাইব্রিড ভূট্টা চাষ সবই নদীকে জখম করে চলছে। রাষ্ট্র সবই করেছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের খাতিরে। কিন্তু একটিবারও দেশের নদীময় জীবনকথিকাকে গুরুত্ব দেয়নি। কৃষি, মৎস্য, গার্মেন্টস কি শিল্পকারখানা দেশের সকল অর্থনৈতিক উন্নয়ন খাতই নদীমৃত্যুর জন্য দায়ী। কিন্তু কোনো জবাবদিহিতা নেই, কোনো বিচার নেই, কোনো রেখাপাত নেই। যেন সব নদী এভাবেই মরবে আর চাঙ্গা হতে থাকবে দেশের তথাকথিত প্রবৃদ্ধির হার। যদিও এই প্রবৃদ্ধির গণিতে আগাপাছতলা জড়িয়ে আছে নয়াউদারবাদী করপোরেট সহিংসতা।

বহুজাতিক কোম্পানির পুঁজির লাগাতার অন্যায় বিকাশকে বৈধতা দিয়ে রাষ্ট্র এখনো নদীবিরোধী এমন উন্নয়ন মনস্তত্ব ধারণ করে আছে।

৪.

দেশের ২৩০টি নদ-নদীর ভেতর ৫৪ কি তারও বেশি জলপ্রবাহ নেমেছে ভারতীয় অঞ্চল থেকে; বাকি তিনটির উৎস মিয়ানমার। নদীখুনের এই উন্নয়ন-জখম কেবল দেশের ভেতরে নয়, উজানেও এই বাহাদুরির লাগামহীন। রাষ্ট্র এসবের তালাশ ও হিস্যা আদায়ে যেন একেবারেই ওয়াকিবহাল নয়। ফারাক্কা ব্যারেজ, তিস্তা ব্যারেজ, টিপাইমুখ কি উজানে একটার পর একটা বাঁধ আর জলবিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্প দেশের নদীপ্রবাহকে গলা টিপে হত্যা করছে প্রতিদিন প্রতিরাত। পাশাপাশি আছে সীমান্ত পাহাড়ে করপোরেট কয়লা ও পাথর খনন। উত্তর-পূর্ব ভারতে এলোপাথারি খননের ফলে পাহাড় ভেঙেচুরে উজানের ঢলের সাথে নেমে আসা বালিতে দম হারিয়ে জীবন দিচ্ছে বাংলাদেশের হাওর-ভাটি অঞ্চল।

অভিন্ন নদী বিষয়ে বাংলাদেশের নদীকূটনীতি নদীবান্ধব নয়। জাতিসংঘের নদী সনদ স্বাক্ষর না করাকে রাষ্ট্র এখনও এক জবরদস্তি 'পৌরুষ' হিসেবেই জাহির করে যাচ্ছে। তবে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ কোনোভাবেই বাঁধবিরোধী নয়। ১৯৬২ সনে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে কর্ণফুলী অববাহিকাকে হত্যা করা হয়েছে। দুম করে নদীপ্রবাহে তৈরি করে যাচ্ছে সেতু, বাঁধ, ব্যারেজ, কালভার্ট ও উন্নয়ন অবকাঠামো। পাথর আর বালি বাণিজ্যের নামে খুন করা হয়েছে পিয়াইন, সিমসাং, সারি, ধলাই, মহাদেও, যাদুকাটা, গোয়াইন, তুরাগ, বালু নদী।

৫.

কত নদী, কত নাম, কত সম্পর্ক, কত পরিচয়। এসবের আর কোনো হদিশই আজ নেই। নদীর তীরে গড়ে ওঠা বট-পাকুড়-হিজল-তমালের ছায়ায় গ্রামীণ হাট-গঞ্জ-বাজার আজ উধাও। বরং নদীর তীর, এমনকি নদীর বুক পর্যন্ত দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে মারদাঙ্গা নগর আর বাণিজ্যকেন্দ্র। যেখানে নদীনির্ভর অর্থনীতির কোনো রেখাপাত নেই, কেবলি বহুজাতিক সর্বগ্রাসী বাজার। পদ্মার ইলিশ, তিস্তার পুটিতর, যাদুকাটা-রক্তির নানিদ বা কংশের মহাশোল মাছেরা যেমন নিরুদ্দেশ হয়েছে। বদলে গেছে নদীনির্ভর জীবন ও জীবিকাও। নদী হারিয়ে মানুষ উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হয়েছে, অচেনা নগরের ভিড়ে স্বীকৃতিহীন দিনমজুরে পরিণত হয়েছে। 

নদী নিয়ে সচরাচর নদী-ভাঙন, নদী দখল ও দূষণ, নদী ভরাট, নাব্যতা হ্রাস, পানির ভাগাভাগি এমনসব খবরই বেশি উসকে ওঠে। কিন্তু একদা বিকশিত নদীনির্ভর অর্থনীতির আওয়াজ খুব একটা নাগালে মেলে না। অস্বীকারের কোনো উপায় নেই, এই জনপদের গ্রামীণ নিম্নবর্গের অর্থনৈতিক ভিত্তি ও উৎপাদনসম্পর্কের ব্যাকরণ পুরোটাই আদল দিয়েছে নদীর গতিপ্রবাহ। সেই প্রবাহ যেমন রুদ্ধ, তেমনি রুদ্ধ দেশীয় অর্থনীতির স্বনির্ভর বিকাশমানতাও। কারণ রাষ্ট্র দেশের অর্থনৈতিক বিস্তারকে নদীর উজান-ভাটির শর্ত হিসেবে মান্য করেনি। টেনে এনেছে বহুজাতিক পুঁজির অন্যায় বাজার। আর মাথা নুইয়ে রেখেছে নদীবিমুখ এক নয়াউদারবাদী উন্নয়ন রাজনীতির চোখরাঙানির তলায়।

৬.

নদীবিরোধী নয়াউদারবাদী উন্নয়ন মনস্তত্ব থেকে রাষ্ট্রকে উদ্ধার করতে হবে। উজান-ভাটিতে নদীর আপন গতিপ্রবাহের ন্যায়বিচার সুরক্ষায় রাষ্ট্রকে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে হবে। নদীই সচল করে তুলবে দেশের অর্থনীতির ভিত, জীবনের গতি।

নদীর তীরেই বিকশিত হয়ে চলেছে গ্রাম-জীবিকা-উৎপাদন ও জীবন। নদীর কাছ থেকে জবরদস্তি করে নদীর তীর লুট করা হচ্ছে। নদীর তীরের ওপর একক মালিকানা, কর্তৃত্ব আর দখলের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে রাষ্ট্র প্রমাণ করে চলছে নদী বিষয়ে রাষ্ট্রের অন্যায় উদাসীনতা। এভাবে চলতে পারে না। নদীমাতৃক এই দেশে এমন সহস্র নদী-অবিচার আর কত?

নদী কেবল স্মৃতিকথা না হয়ে থাকুক, নদী হয়ে ওঠুক জীবন চলার পথ ও পাথেয়। পাটের জিন-মানচিত্র তৈরি করে লোকদেখানো উন্নয়নের ফিরিস্তি নিম্নবর্গ খুব বেশি আমল দিবে না। পাটনির্ভর অর্থনীতি থুবড়ে পড়ার অন্যতম কারণ হলো নদীহীনতা। নদীর জান কলিজা থ্যাৎলে দিয়ে পাট-অর্থনীতি সম্ভব নয়। এতে কেবল পলিথিনের বাজারই চাঙ্গা হবে। আবার হয়তো পলিথিনের কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী থেকে পলিথিন অপসারণের রাষ্ট্রীয় প্রকল্প বরাদ্দ হবে। 

কেবল প্রকল্প, বাজেট, বরাদ্দ দিয়ে নদীচিন্তা হয় না। দরকার নদীর সত্যিকারের মুক্তি। আর এই মুক্তিসংগ্রামে গর্জে ওঠুক নদীময় তরুণ বাংলাদেশ। শিরায় শিরায় বইয়ে দিক প্রবীণজনের লাখো নদী স্মৃতিকথা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আসুন নদীপ্রশ্নকে জাতীয় জিজ্ঞাসা হিসেবে সামিল করি। 'পদ্মা-মেঘনা-যমুনাকেই' আমাদের সত্যিকারের ঠিকানা করে তুলি।


  • লেখক: গবেষক ও লেখক। animistbangla@gmail.com

Related Topics

টপ নিউজ

নদী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বিমান যাত্রায় ঝাঁকুনি কেন আগের চেয়ে বেশি? কেন তীব্রতা বাড়ছে?
  • যুক্তরাজ্যে বিমানের ভেতর ‘ট্রাম্পের মৃত্যু হোক’, ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার: ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, গ্রেপ্তার ১
  • আইএফআইসি আমার বন্ড কেলেঙ্কারি: সালমান-শায়ান-শিবলী রুবাইয়াতকে আজীবন পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
  • রায় জালিয়াতির অভিযোগ: আদালতে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল বললেন, 'ইটস নট ট্রু'
  • 'ভালো বন্ধু' ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চান ট্রাম্প
  • কর ফাঁকি: ১৫০ প্রকৌশলী, বিচারক ও পাসপোর্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট

Related News

  • এই মৃত শহর আঁকড়েই বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি আমরা 
  • লক্ষ্মীপুরে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ বন্ধ রেখেছে ৫ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয়রা
  • বগুড়ার ঘড়িয়া ও চন্দ্রাবতী নদী কি সত্যিই ‘নিখোঁজ’?
  • চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্যের ৭৩ শতাংশ রিসাইক্লিং হচ্ছে: কর্মশালায় বক্তারা 
  • পাকিস্তানে পানির প্রবাহ বন্ধে তিনস্তরের পরিকল্পনায় ভারত: স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশল

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

বিমান যাত্রায় ঝাঁকুনি কেন আগের চেয়ে বেশি? কেন তীব্রতা বাড়ছে?

2
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যে বিমানের ভেতর ‘ট্রাম্পের মৃত্যু হোক’, ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার: ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, গ্রেপ্তার ১

3
বাংলাদেশ

আইএফআইসি আমার বন্ড কেলেঙ্কারি: সালমান-শায়ান-শিবলী রুবাইয়াতকে আজীবন পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

4
বাংলাদেশ

রায় জালিয়াতির অভিযোগ: আদালতে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল বললেন, 'ইটস নট ট্রু'

5
আন্তর্জাতিক

'ভালো বন্ধু' ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চান ট্রাম্প

6
অর্থনীতি

কর ফাঁকি: ১৫০ প্রকৌশলী, বিচারক ও পাসপোর্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net