চবি অ্যালামনাইয়ের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসব: নবীন প্রবীণের প্রাণের মেলা

মুন্সী নজরুল ইসলাম ও ফরিদ আহমদ। সত্তোরোর্ধ এই দুজনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১ম ব্যাচের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী তারা। দুই জনই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মুন্সী নজরুল ইসলাম ছিলেন চবির সাবেক শিক্ষক। বার্ধক্যকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতে অনুষ্ঠিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের র্যালীতে অংশগ্রহণ করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েছেন সেই সত্তরের দশকে। যদি পুরানো বন্ধুদের দেখা মিলে -এই আশায় কষ্ট করে এসেছেন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে।

শুধু এ দুই জনই নন, এভাবেই চবি বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এসেছেন এ মিলন মেলায়। বার্ধক্যকে পেছনে ফেলে এ যেন নবীন প্রবীনের মেলা বসেছিল এ উৎসবে। চট্টগ্রাম শহরে এ র্যালি হলেও সবার মুখে ছিল চির সবুজ ক্যাম্পাসের জয়গান।
‘প্রাণের উৎসবে, মাতি উল্লাসে’ স্লোগানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দুই দিনব্যাপি প্রথম পুনর্মিলনী উৎসব শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় চারুকলা ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে র্যালি শুরু হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিআরবি’র শিরীষ তলায় এসে শেষ হয়।

র্যালিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নানা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে যোগ দেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান কার্যালয় সিআরবিস্থ শিরীষ তলায় বাউল উৎসব স্থানে সমবেত হন র্যালীতে অংশগ্রহণকারীরা।
ঘড়িতে তিনটা বাজার আগেই সবাই হাজির হয় চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটে। লাল, সবুজ টি শার্ট পড়ে, হাতে বেলুন নিয়ে এবং ছোট ছোট ঢোল এবং ব্যান্ড পার্টির বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে একটি আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয় চারুকলা ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে বিকাল সাড়ে তিনটায় শুরু হয় র্যালি। র্যালির উদ্বোধন করেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম।

নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চবি অ্যালামনাইয়ের পুনর্মিলনী উৎসব উপলক্ষে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।পুনর্মিলনী উৎসবের আনুষ্টানিক উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম থেকে ৪৯তম ব্যাচ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি গ্র্যাজুয়েট অ্যালামনাই নিবন্ধন করেন।