বিপিএল চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার মাত্র এক কোটি টাকা কেন

আগামী বছরের ২১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট এই আসরে 'এ' ক্যাটাগরির দেশি ক্রিকেটাররা পাবেন ৭০ লাখ টাকা করে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, ক্রিকেটার-কোচদের বেতন ও অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে প্রতিটি দলকে খরচ করতে হবে ৭ কোটি টাকার আশেপাশে। অথচ এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে মাত্র এক কোটি টাকা। রানার্স আপ দল পাবে ৫০ লাখ টাকা, যা 'এ' ক্যাটাগরির দেশি ক্রিকেটোরের পারিশ্রমিকের চেয়েও কম।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের আসরের মালিকানা পেতে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এক কোটি টাকা করে দিতে হয়েছে। 'গ্যারান্টি মানি' হিসেবে তাদের কাছ থেকে নেওয়া হবে ছয় কোটি করে। এখান থেকেই ক্রিকেটার, কোচদের পারিশ্রমিক নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে এত টাকার ঝনঝনানি, সেখানে প্রাইজমানি কিনা যৎসামান্য! কী কারণে প্রাইজমানি কম, বৃহস্পতিবার সেটার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক হলেও দলগুলোর সঙ্গে এক বছরের চুক্তি হয়েছে বিসিবির। এ কারণে চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কার বাড়ানো যায়নি। তবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় পুরস্কারের অঙ্ক বাড়ানো হবে বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন, এটা একটা 'ওয়ান অফ' ইভেন্ট হচ্ছে। সেভাবেই এটা পরিকল্পনা করা। অনেক কিছু আছে, আমাদের আগের যে পরিকল্পনা ছিল এবং বিপিএলের নির্ধারিত মডিউল ছিল… (সেভাবেই হয়েছে)।
'আগামীতে আমাদের একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আছে যে, শুরু করব। তখন হয়তো এই বিষয়গুলো আরও বড় আকারে দেখা যেতে পারে।' আগামী আসর থেকে দলগুলোর সঙ্গে লম্বা চুক্তি করার পরিকল্পনা বিসিবির। তেমন হলে পুরস্কারের অঙ্ক বাড়বে বলে জানান নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
বিসিবি কর্তাদের দাবি অনুযায়ী বিপিএল বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ। অর্থাৎ, আইপিএলের পরই বিপিএলের অবস্থান। কিন্তু অন্যান্য লিগের পুরস্কারের অঙ্কের দিকে তাকালেই পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে যায়। সর্বশেষ আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে প্রায় ২৩ কোটি টাকা। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা। পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগের (পিএসএ) চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা এবং বিগ ব্যাশের প্রায় ৪ কোটি টাকা।