হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হয়ে সালাউদ্দিন বললেন, ‘খুবই দুঃখজনক’

দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রোববার একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বিএইচএফ) সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে মামলাটি করেন ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম। বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মতিঝিল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।
মামলাটিকে মিথ্যা দাবি করেছেন সালাউদ্দিন। এ বিষয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে সাবেক তারকা এই ফুটবলার বলেন, 'এই মামলার বাস্তবতা নেই, কোনো বাস্তবতা নেই। এটা কারও ইচ্ছা হয়েছে, দিয়ে দিয়েছে। আমাকে তো দেশবাসী ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চেনে। আমি তো নতুন কেউ না এই দেশে। আমি এই দেশেরই জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়। এসবের কোনো কিছু সত্যি না। যে তারিখের কথা বলেছে, ওই তারিখে আমি দেশেই ছিলাম না। নয় বছর আগের কথা বলা হয়েছে।'
বিষয়টি দুঃখজনক জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমি স্বপ্নেও কখনও চিন্তা করিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা হবে, সেটাও হত্যাচেষ্টা মামলা। আমি তো রাজনীতিও করি না। আমার বোর্ডে কয়েকজন সংসদ সদস্য আছেন, আমি তো কখনও মনোনয়ন চাইনি, নির্বাচনও করিনি। ওটা আমার জায়গা নয়। আমি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় করিনি এটা। আমি কিন্তু কখনও ফুটবলের বাইরে যাইনি। আমার বিরুদ্ধে মামলা হওয়াটা খুবই দুঃখজনক।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালান। সে সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২-১৪টি গাড়ি ভাঙচুর, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন এবং নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়। এই ঘটনায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে যুক্ত শেখ হেলাল, ফারুক খান, নিক্সন চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, এ কে এম মমিনুল হক সাঈদসহ আরও অনেকে। একই মামলায় আসামি করা হয়েছে অভিনেতা জায়েদ খান, সাজু খাদেম ও শাহরিয়ার নাজিম জয়কেও।