পৃথক দুই মামলায় সাবেক এমপি বুবলী ও ফয়জুর রহমান কারাগারে

পৃথক দুই মামলায় গ্রেপ্তার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তামান্না নুসরাত বুবলী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এবং মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
রাজধানীর তেজগাঁও থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় বুবলীকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় বাদলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মারুফ হাসান।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থেকে বুবলীকে এবং রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে ফয়জুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুবলীর মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন ডেইলি স্টারের সামনে থেকে আনন্দ সিনেমা হল হয়ে পান্থপথ অভিমুখে ঝটিকা মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয় আসামিরা। জনমনে ভীতি সৃষ্টি করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ২৫ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানার ও চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল কাদের ২৫ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
ফয়জুর রহমানের মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই নিউমার্কেট থানাধীন সায়েন্সল্যাব মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী সজীব উদ্দিন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মিছিলে গুলি চালায় আসামিরা।
এতে সজীব ও তার বন্ধু মেহেদীসহ ১২ জন আহত হন। পরে তারা চিকিৎসা গ্রহণ শেষে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ ঘটনায় চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি নিউমার্কেট থানায় ভুক্তভোগী সজীব বাদী হয়ে ৪৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।