মামলার খোঁজ-খবর নিলেন নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল, হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন এলাকায় রনি খান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
প্রসিকিউশন বিভাগের ইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক রওশন ফেরদৌস তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে তাকে আদালতে এজলাসে ওঠানো হয়। আগে থেকে নজরুলের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এজলাসে আইনজীবীদের দেখে সালাম দিয়ে খোঁজ-খবর নেন তিনি। নজরুলকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে, সেই বিষয়ে জানতে চান আইনজীবীদের কাছে। আইনজীবীদের কথা শেষ না হতেই বিচারক মামলার শুনানি শুরু করেন।
প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। তিনি শুনানিতে বলেন, 'এই আসামি ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ। এজাহারনামীয় আসামি। ১৯ জুলাই জুমার সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত শেখ হাসিনার অনুগত সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা, সুবিধাবাদীরা আন্দোলন দমাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করে। সেদিন আর লাঠি ব্যবহার করেনি। উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, রামপুরাসহ অনেক জায়গায় অনেকে আহত হয়। বাদীও গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর প্রার্থণা করছি।'
শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেল ৫ টার দিকে খিলগাঁও মেরাদিয়ায় পিবিআই অফিসের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এই সময় রনির গলায় গুলি লাগে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত ২১ জানুয়ারি খিলগাঁও থানায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
২০২৪ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার গুলশান থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।