৪ ঘণ্টা পর ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়লেন মনোনয়নবঞ্চিত আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা
বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর সমর্থকেরা প্রায় চার ঘণ্টা বিক্ষোভ-অবরোধের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ থেকে সরে গেছেন। আজ সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন। এতে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন।
এতে মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নিতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সীতাকুণ্ড থানা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব মো. মোরসালিন।
এরপর রাত পৌনে ১১টার দিকে ফৌজদারহাট, বাংলাবাজার ও ভাটিয়ারীসহ বেশ কয়েক জায়গা থেকে অবরোধ তুলে নেন নেতা-কর্মীরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বারো আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছিলেন, 'আসলাম চৌধুরীর সমর্থকেরা ফৌজদারহাট, ভাটিয়ারি ও বারো আউলিয়া এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন। ভাটিয়ারিতে তারা মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে নেয়, ফলে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।'
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পুলিশ অবরোধ তুলে নিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে, তবে তারা কোনো অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে না।'
পুলিশ জানায়, মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে আন্তজেলা পরিবহন ও পণ্য পরিবহনে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটে।
এদিকে, রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম) আনিসুর রহমান টিবিএসকে বলেন, 'অবরোধের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে বিভিন্ন রুটের অন্তত ছয়টি ট্রেন আটকে আছে। এরমধ্যে সীতাকুণ্ডে নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস, কুমিরায় চট্টলা এক্সপ্রেস ও বড়তাকিয়ায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস উল্লেখযোগ্য। এছাড়া উদয়ন ও তুর্ণা এক্সপ্রেস ছাড়তে পারছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'সীতাকুণ্ডে কুমিরা রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে পুলিশ আমাদের জানিয়েছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এমন হলে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগ পড়বেন।'
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী সালাহ উদ্দিনকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী মনোনয়ন বঞ্চিত হন। এরই প্রতিবাদে তার সমর্থকেরা এ আন্দোলনে নামে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আসলাম চৌধুরীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
