হার দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু বাংলাদেশের

সুপার ফোরে খেলার লক্ষ্য কঠিন হয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে পাঁচ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। যার কারণে, সুপার ফোরে ওঠার জন্য সমীকরণের মারপ্যাঁচে পড়তে হবে সাকিবের দলকে।
পাল্লেকেল্লেতে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই বাংলাদেশের হারের কারণ। এক নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেননি। নিজেদের ভুলের খেসারতে উইকেট উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অল্প পুঁজি নিয়ে বোলারদের খুব বেশি কিছু করার ছিলো না।
১৬৫ রানের ছোট লক্ষ্য দিলেও তাসকিন-শরিফুল ভালো শুরু এনে দেন বোলিংয়ে। করুনারত্নেকে তাসকিন বোল্ড করেন, নিশাঙ্কাকে ফেরান শরিফুল। ৪৩ রানের মাথায় কুশল মেন্ডিসকে ফেরান সাকিব। কিছুটা আশা জাগলেও তা মিইয়ে যেতেও সময় লাগেনি।
চতুর্থ উইকেট সাদিরা সামারাবিকরামা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে ৮২ রান যোগ ম্যাচ কার্যত শেষ করে দেন। ৭৭ বল খেলে ছয় চারে ৫৪ রান করে মেহেদি হাসানের বলে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সামারাবিকরামা।
এরপরই ডি সিলভাকে সাকিব ফেরালে কিছুটা উত্তেজনা আসে খেলায়। আসালাঙ্কা এবং লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা মিলে বাকি পথ পার করেন। আশালাঙ্কা অপরাজিত থাকেন রানে।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন সাকিব। একটি করে উইকেট পান তাসকিন, শরিফুল ও মেহেদি।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। এ ম্যাচ জিততে হলে বোলারদের অবিশ্বাস্য কিছুই করে দেখাতে হতো। যা তারা পারেননি।
বাকি ব্যাটসম্যানরা এলেন আর গেলেন। এক নাজমুল হোসেন শান্তই স্রোতের বিপরীতে লড়লেন। তবুও তা যথেষ্ট হয়নি বাংলাদেশের জন্য।
নাজমুল হোসেন শান্ত একাই করেছেন ৮৯ রান। দলের বাকি ১০ ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ৭২ রান, বাকি আট রান এসেছে অতিরিক্ত। অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম এই ম্যাচের কথা ভুলেই যেতে চাইবেন। অভিষেকে দুই বল খেলে ০ রানে আউট হয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ নাইম, তাওহিদ হৃদয় আর মুশফিকুর রহিম দুই অংকে পৌঁছালেও শান্তকে সঠিক সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। যার কারণে ব্যাটিং ধ্বস নামে সাকিবদের। ১২২ বলে সাত চারে ৮৯ রান করে আউট হন শান্ত।
শ্রীলঙ্কার হয়ে পাথিরানা নেন চার উইকেট, ঠিকাসেনা নিয়েছেন দুটি উইকেট।