শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ হেরে টেস্টে অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার কাছে ইনিংস ও ৭৮ রানে হারার পর ম্যাচ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে শান্ত বলেন, 'আমি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমি টেস্ট সংস্করণে আর এই দায়িত্ব পালন করতে চাই না। আমি সবাইকে পরিস্কারভাবে বলতে চাই, এটা ব্যক্তিগত কোনো কিছু নয়। পুরোপুরি দলের ভালোর জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমি মনে করি এটাতে দলের ভালো কিছুই হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই ড্রেসিংরুমে গত কয়েক বছর ধরে, লম্বা সময় ধরে আমার থাকার সুযোগ হয়েছে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে তিনজন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যা হতে পারে। দলের ভালোর জন্য এখান থেকে সরে আসছি। যদি ক্রিকেট বোর্ড মনে করে যে, তিনটা অধিনায়কই রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর আর নেতৃত্বে থাকতে চান না—ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব হারানোর পর থেকেই এমন ইঙ্গিত মিলছিল নাজমুল হোসেন শান্তর পক্ষ থেকে। অবশেষে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শেষে সেটিই আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তিনি মোট ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৪টি ম্যাচ জিতেছে, যার মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তানে পরপর দুটি জয় ছিল দারুণ সাফল্য।
তিনি অধিনায়ক থাকার সময় বাংলাদেশ ৯টি ম্যাচে হেরেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টটি ছিল একমাত্র ড্র।
অধিনায়ক হিসেবে শান্তর ব্যাটিং পারফরম্যান্সও ভালো ছিল। অধিনায়ক থাকা অবস্থায় তার গড় ছিল ৩৬.২৪, আর অধিনায়ক না থাকাকালে ২৯.৮৩। বাংলাদেশ যে চারটি টেস্ট জিতেছে, সেগুলোতে শান্তর গড় ছিল ৩৭.১৬।