গালিভারের চশমা ও চশমাকীর্তন

জোনাথান সুইফটের গালিভারের সফরনামা ১৭২৬-এর অক্টোবরে প্রকাশিত। কোনো সন্দেহ নেই এটি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি স্যাটায়ার। কিন্তু বিলেতের এক বিশপ বইটি পড়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করলেন, পুরোটাই মিথ্যেতে ঠাসা, আমি এই বইয়ের একবর্ণও বিশ্বাস করি না।
এমনিতেই গালিভার শুনলে আমাদের সামনে অতিকায় মানুষের একটি ইমেজ ভেসে ওঠে, আসলে আমরা নিজেরা তখন লিলিপুট হয়ে যাই। প্রকৃতপক্ষে গালিভার এই পৃথিবীর প্রমিত মানের ও প্রমিত মাপের এবং প্রমিত স্বভাবের মানুষদের একজন, তিনি যখন লিলিপুট নামক স্থানে পৌঁছালেন, তাকে মনে হলো অতিকায় মানুষ আর যখন ব্রবডিংনাগ এলেন, সেখানে তিনি হয়ে গেলেন ক্ষুদ্র মানব, একেবারে লিলিপুটিয়ান, কারণ সেখানকার সবকিছু প্রকৃত অর্থেই অতিকায়।
লিলিপুটিয়ানরা যখন বন্দী গালিভারের এমনকি পকেটে ঢুকেও তল্লাশি চালাল, গালিভার সতর্কতার সাথে তার চশমা লুকিয়ে ফেলতে পেরেছিলেন। চশমা অত্যন্ত জরুরি একটি দৃষ্টিসহায়ক যন্ত্র। এটাকে হাতছাড়া করলে গালিভার বিপদে পড়বেন। লিলিপুটের শত্রুদেশ ব্লেফুস্কুকে শায়েস্তা করতে সব যুদ্ধজাহাজ গালিভার যখন টেনে নিয়ে আসছিলেন, সেখানকার জনগণ ও সৈন্যরা তাকে লক্ষ করে অবিরাম তির মারতে থাকে। কিন্তু চোখে চশমা থাকায় তিরগুলো কাচে ধাক্কা খেয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। কোনোটা আবার বুমেরাং হয়েও যায়। গালিভার তার সফরের সকল পর্যায়েই চশমা সুরক্ষা করেছেন। আবার গালিভার দেখলেন ব্রবডিংনাগের অতিকায় মানুষও চশমা চোখে তাকে পরীক্ষা করছে।
চশমা শুধুই দৃষ্টিসহায়ক নয়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি থেকে শুরু করতে এবং চোখের প্রতিরক্ষা করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রবডিংনাগের অতিকায় মানুষ ও গালিভার
একালের সর্বশ্রেষ্ঠ নায়ক, সর্বশ্রেষ্ঠ না হলেও অন্তত সর্বাধিক জনপ্রিয় নায়ক জে কে রাউলিং সৃষ্ট হ্যারি পটার চশমা পরা মেধাবী বালক। রাউলিংয়ের হ্যারি পটার সিরিজের সাতটি উপন্যাসের প্রতিটিতে চশমাশোভিত হ্যারিকে আমরা পেয়েছি। বিভিন্ন কারণে সাতটি বইয়েই তার চশমা ভেঙেছে। আর ভাঙা চশমা জোড়া দেবার ম্যাজিক তো তার জানাই ছিল।
উইলিয়াম গোল্ডিংয়ের 'লর্ড অব দ্য ফ্লাইস'-এর হতভাগ্য কিশোর পিগি দূরের কিছু দেখতে পেত না, তাকে চশমা পরতে হতো। সে অন্যের 'বডি ল্যাঙ্গুয়েজ' বুঝতে পারত না। শয়তান জ্যাক তার চশমার একটা গ্লাস ভেঙে ফেলে, তারপর চশমাটা চুরি হয়ে যায়। চশমা ছাড়া দৃষ্টিহীন পিগিকে হত্যা করার প্রেক্ষাপট রচিত হয় এবং রজার তাকে খুন করে। পিগির ভাঙা চশমা শুধু চোখের চশমাই নয়, মানুষের স্বপ্নের অকাল মৃত্যুও বটে।
চশমা খুলুন, কন্ট্যাক্ট লেন্স পরুন
করোনাভাইরাসের ধাক্কা লাগার মাত্র কদিন আগে ২০১৯-এর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ বিভিন্ন জাপানি কোম্পানির নারী কর্মচারীদের চশমা পরার বিরোধিতার খবর বড় বড় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় নারী অধিকারকর্মীরা সতর্ক হয়ে নড়েচড়ে বসেছেন। এয়ারলাইনসের নারী ক্রুদের জন্য চশমা ছাড়ার আদেশ হয়েছে, কারণ, চশমা তাদের কাজের প্রকৃতির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ আর 'বিউটি ইন্ডাস্ট্রি'তে নারী কর্মচারীদের চশমা নিষেধ—কারণ, চশমা তাদের মেকআপ অনেকটা ঢেকে ফেলে, কোম্পানির বাণিজ্যিক স্বার্থে মেকআপের সবটাই খদ্দেরদের দেখাতে হবে। চেইন শপগুলোতে নারী কর্মচারীরা এই কাচের আবরণ পরতে পারবে না—কারণ, চশমা পরলে নারীর 'ওয়ার্ম ইম্প্রেশন' হঠাৎ বদলে 'কুল ইম্প্রেশন' হয়ে যায়, আর গ্রাহকেরা তা পছন্দ করেন না।

কোরিয়ান টেলিভিশনে চশমা পরা নারী সংবাদ পাঠক নিষিদ্ধ ছিল। কন্টাক্ট লেন্সে সমস্যা নেই। এয়ারলাইনসে এই নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই ছিল। ২০১৮ সালে চাকরি যাক আর থাক, কর্তৃপক্ষের মেজাজ বিগড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিলেন এক নারী সংবাদ পাঠক। তিনি আর্লি মর্নিং শোতে চশমা পরে ফেললেন। হইহই রইরই রব পড়ে গেল।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নারীর জন্য চশমা আইনের পর্যালোচনা চলছে। বাংলাদেশে নারী বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার হলেও এখানে চশমা বৈষম্য এখনো দেখা দেয়নি।
চশমাবৈষম্যবাদ
হুমায়ূন আহমেদের নাটকে ভৃত্য কাদের (আফজাল শরীফ) পকেট থেকে চশমা বের করে চোখে লাগিয়ে আলী যাকেরের সামনে হাজির হয়। বাড়ির বয়স্ক বুয়াও তখন চশমার বায়না ধরে—গরিবের কি স্বাদ-আহ্লাদ থাকতে নেই। হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত ফিওদর দস্তয়েভস্কির 'দ্য গ্যাম্বলার' থেকে ধারণাটি নিয়েছেন। ১৮৬৭ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসে অভিজাত আইভান ফিওয়োদোরোভিচ ভৃত্যেও চোখে চশমা দেখে চেঁচিয়ে উঠে বললেন, 'এ ধরনের ছোটজাত চশমা পরেছে!' চশমা বাড়ির ভৃত্যের জন্য নয়, সমাজের নিচু স্তরের মানুষের জন্য নয়—চশমা পরবে শিক্ষিত ও সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ। চশমা পরবেন ব্যারন, চশমা পরবেন ডিউক, সমাজের অভিজাত ও সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ। চশমা পরবেন সমাজের উঁচু স্তরের মানুষ, চশমা পরবেন জ্যেষ্ঠ পেশাজীবী যেমন উকিল নিকোলাই পারফেনোভিচ।
অবশ্য এটাও মানতেই হবে চশমা সাধারণ মানুষের চেহারায় একধরনের আভিজাত্য এনে দেয়। ইউরোপীয় সমাজে যেনতেন মানুষের ছাতা ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। ন্যাথানিয়েল হথর্নের ১৮৫১ সালের উপন্যাস 'দ্য হাউস অব সেভেন গ্যাবলস'-এ বিচারপতি জেফ্রি পিনশন চমৎকার পোশাক পরেন, স্বর্ণের হাতলযুক্ত ওয়াকিং স্টিক ব্যবহার করেন এবং সোনার ধনুকের মতো চশমা পরে তার আভিজাত্যের আড়ালে ব্যক্তিগত ভয়ংকর নির্মমতা লুকিয়ে রাখেন।

চশমাবৈষম্য সমাজের ভেতর থেকে উত্থিত। চার্লস ডিকেন্সের একাধিক উপন্যাসে চশমা পরা পুরুষ ও নারীর দেখা মেলে। ১৮৫৩-এর উপন্যাস 'ব্লিক হাউস'-এর মিস্টার বিঞ্জ শুধু সোনার ফ্রেমের চশমাই পরেন না, বড় হাত ঘড়িটাও স্বর্ণের। ১৮৪৮-এর উপন্যাস 'ডম্বি অ্যল্ড সান'-এ কর্নেলিয়া ব্লিমার একজন শিক্ষক, সুশ্রী ও মনোহরণ, খাটো চুল এবং তার চোখের চশমা তার কর্তৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরেছে।
চশমা কি প্রতিবন্ধী দশা প্রমাণ করে?
পাত্রীপক্ষ গাজী আবদুল গণি নামের একজন পাত্রকে দেখতে আসবে। তিনি আমার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তাকে পরামর্শ দেওয়া হলো পাত্রীপক্ষ পৌঁছার আগেই চশমা খুলে ফেলতে হবে এবং পাত্রীপক্ষ চলে যাবার অন্তত আধঘণ্টা পর চশমা চোখে দেওয়া যাবে। রুমালটা কী চাবিটা ফেলে যাবার নাম করে পাত্রীপক্ষের কেউ যদি আবার ফিরে এসে আসল দৃশ্যটা দেখে ফেলে, বিয়েটা ভেঙে যেতে পারে। আমি এই ঘটনার সাক্ষী। আমিও চশমা পরি, তবে পাত্রীপক্ষ আমাকে দেখতে আসেনি, ডিসকোয়ালিফাই করার সুযোগ পায়নি।
বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিক ভিক্টর হুগো দূরের জিনিস ভালো দেখতেন না, কিন্তু চশমা পরে তার যে দৃষ্টিশক্তি কম, এটা জানান দিতে রাজি ছিলেন না। তাকে চশমা নেবার জন্য উপদেশ দেওয়া হলে তিনি তা উড়িয়ে দেন, কিন্তু অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে আসে যে ১৮৭৫ সালে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চশমা নিতে বাধ্য হন, নতুবা তার পড়াশোনা ও লেখালেখি ব্যাহত হতো।
ভিক্টোরীয় যুগের ইংরেজ কবি আলফ্রেড লর্ড টেনিসনও দূরের জিনিস দেখতেন না। তিনি চশমা পেয়ে খুব সন্তুষ্ট হন এবং তার ছেলে হাল্লাম টেনিসনের ভাষায়: বাবার কাছে চশমা ছাড়া চাঁদ ছিল বর্ম দিয়ে ঢাকা আকাশের মতো।
চুমোহরণ চশমা
চশমাবিরোধী ভিক্টর হুগো মনে করেন, চশমা মানুষের দুটো গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হরণ করে—একটি হচ্ছে কর্তৃত্ব এবং অন্যটি অন্যকে মুগ্ধ করার ক্ষমতা। অন্যদিকে ইউরোপে এবং অন্যান্য অঞ্চলে চশমাকে সাধারণভাবে মনে করা হয়েছে শিক্ষা ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক।
জার্মান প্রখ্যাত লেখক গ্যোটের ১৮০৯ সালের উপন্যাস 'ইলেক্টিভ অ্যাফিনিটির অত্তিলে' চশমার বিরুদ্ধচারী নারী এবং তিনি বলেন, 'নারী-পুরুষের এই পার্টিতে কোনো পুরুষ যেন নাকের ওপর চশমা বসিয়ে না আসে; যদি আসে তবে সে যেন জেনে রাখে, চোখে চশমা রাখলে পুরুষের দিকে তাকাবার আনন্দ থেকে নারী বঞ্চিত হয়, তখন তার কথা শুনতেও তার ইচ্ছা হয় না।'
গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি: 'চশমা পরে আর যাই হোক চুমো নয়' কিংবা 'তোমার আমার মাঝখানে চশমা কেন?' কিংবা 'ছুড়ে ফেলো চুম্বন প্রতিরোধক ওই দুটো কাচখণ্ড।'
গ্যোটের অপর একটি রচনা 'ভিলেম মিস্টার্স জার্নিম্যান ইয়ার্স'-এ চশমা ব্যক্তিত্ব বদলে দেয়—আমি যখন চশমার ভেতর দিয়ে তাকাই ভিন্ন মানুষ হয়ে যাই, আর তা আমার জন্য প্রীতিকর নয়। আমার যতটুকু দেখা দরকার তার চেয়ে বেশি দেখি, পৃথিবীকে দেখি আরও স্পষ্টভাবে, যা আমার অন্তর্গত সত্তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়—আমি দ্রুত চশমা খুলে ফেলি।
গ্যোটে চশমা পরা মানুষ পছন্দ করতেন না। তার সেক্রেটারি চশমা পরা দর্শনার্থীদের প্রত্যাখ্যান করতেন। গ্যোটে মনে করতেন, চশমা চোখের মানুষ খুব নিবিড়ভাবে তাকে দেখতে পান, কিন্তু চশমার আলোক প্রতিফলনের কারণে তিনি দর্শনার্থীর মুখের ভাবভঙ্গি ঠিকভাবে দেখেন না।
নোবেল বিজয়ী ঔপন্যাসিক হারমান হেসের দৃষ্টিশক্তি কম থাকার কারণে ১৯০০ সালে তাকে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চোখের সমস্যায় তিনি প্রায় সারা জীবন মাথাব্যথায় ভুগেছেন। চশমাতে কিছুটা উপশম হয়েছে। তিনি ধাতব ফ্রেমের চশমা এবং সানগ্লাস পরে শিল্পী-সাহিত্যিকদের সভায় যোগ দিতেন।
চশমার বিশ্ববাজার: চশমা পরা নারী পুরুষের চেয়ে বেশি
আমি ষাটের দশকের শেষভাগে স্কুল বালক হিসেবে যখন চোখে চশমা তুলি, আমার ভালো চোখের আত্মীয়স্বজন বলেছিলেন, এই বয়সেই চশমা চোখে ফুটানি। এখন কিন্ডারগার্টেনে পড়া শিশুর চোখেও চশমা দেখা যায়, কেউ তার বিরুদ্ধে ফুটানির অভিযোগ আনে না। তার মানে ছোট-বড় সবাই মেনে নিয়েছে, এমনিতেই তো আর চশমা পরেনি, চোখে সমস্যা আছে।
চোখে কমবেশি সমস্যা আছে, ঠিকঠাক দেখতে পায় না, এমন মানুষের সংখ্যা কত? আনুমানিক হিসাব হচ্ছে ৪ বিলিয়ন। চশমার বাজারটা ডলারের অঙ্কে কত? ২০২২ সালের প্রাক্কলিত হিসাব ১৬৯.৯০ বিলিয়ন ডলার। ২০৩০ সাল নাগাদ এই বাজারের আকার দাঁড়াবে ৩২৩.৯০ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধির হার শতকরা ৮.৪ ভাগ। বলা আবশ্যক, চশমার বাজারে সানগ্লাস ও কন্টাক্ট লেন্সও অন্তর্ভুক্ত। আমাদের চারপাশে চশমা পরা নারীর তুলনায় চশমা পরা পুরুষ মানুষই বেশি দেখি বলেই আমরা মনে করি, কিন্তু বৈশি^ক হিসাবটা ভিন্ন। পৃথিবীর মোট নারীর অর্ধেকের বেশি নারী চশমা পরেন আর মোট পুরুষের ৪২ ভাগ পুরুষ চশমা পরেন।
২০২০ সালে মোট বেচাকেনার ৭৯ ভাগ ঘটেছে দোকান আর ২১ ভাগ অনলাইন ই-কমার্সে। ২০২২ সালে বিলাসবহুল চশমার বাজার ১৪.৫৯ বিলিয়ন ডলারের।
পৃথিবীতে চশমা পরা মানুষ সবচেয়ে বেশি বেলজিয়ামে, জনসংখ্যার ৭০ ভাগ, সুইজারল্যান্ডে ৬৭.৭ ভাগ।
চশমা ও চশমাসামগ্রীর সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী ইতালির লাক্সোটিকা গ্রুপ ২০২০ সালে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে।
দুচোখের চেয়ে চার চোখ ভালো
দুচোখের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে যারা বড়াই করেন, তাদের স্মরণ করিয়ে দিন—দুচোখের চেয়ে চার চোখ ভালো। অ্যানিমেল ফার্মের পশুরাও মনে করত, দুই ঠ্যাং-এর চেয়ে চার ঠ্যাং ভালো।
ভিভিয়ান ওয়েস্টউড বলেছেন, চশমা ছাড়া আমি চিন্তা করতে পারি না।
কার কথা জানা নেই। কিন্তু কথাটাতে চশমা একটি ভূমিকার উল্লেখ রয়েছে: 'আমার চোখ এত সুন্দর যে কাচের আড়ালে রাখতে হয়।' উল্টো কথাও আছে, 'এ কী নিষ্ঠুরতা! এত সুন্দর চোখ কি কাচে ঢাকার জন্য?'
'যদি চশমা ঠিক হয়, তাহলে একজন নারী বিশ্ব জয় করতে পারে।'
আরও গুরুত্বপূর্ণ চশমাবচন: চোখ যদি আত্মার জানালা হয়ে থাকে, তাহলে চশমা হচ্ছে সেই জানালার ফ্রেম।
চশমাধারী অ্যারন হিল বলেছেন, 'তুমি পৃথিবীকে নোংরা বলো না, তুমি চশমার কাচ মুছতে ভুলে গেছ।'