একজন বা অসংখ্য নামহীন শিশু এবং আমাদের সমাজ
নির্জন কবরস্থানের এক কোণে ছোট্ট একটি কবর। মাটি এখনো নরম, ভেজা কবরে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে কালো ফিতা দিয়ে আটকানো সাদা কাগজে লেখা 'বেবী অফ আঁখিমনি-রন্টি (কন্যাসন্তান)'। দাফনের তারিখ ১২ নভেম্বর, ২০২৫। নারায়ণগঞ্জে ভুঁইগড়ের মামুদপুর কবরস্থানে এইভাবেই দাফন করা হয়েছে এই নামহীন শিশুটিকে।
মা-বাবার কাছে সবচেয়ে প্রার্থিত সম্পদ একটি সন্তান। অথচ নামবিহীন যে শিশুটির কথা বলছি, তার জীবন একেবারে বিপরীত। একটি অনাদৃত, অবহেলিত জীবন, নারী-পুরুষের অনাহুত সন্তান। এরা সন্তানকে নিজেদের কোলেও স্থান দেয়নি, দিতে পারেনি একটি পরিচয়। মৃত্যুর আগে বা পরে এই কন্যাটি তার মা–বাবা বা কোনো স্বজনকেই কাছে পায়নি। কতটা পরিহাসের জীবন এই মানবশিশুর।
অবশ্য বাংলাদেশে এরকম অনেক নামহারা ফুলকে খুঁজে পাওয়া যায় পথের ধারে, ডাস্টবিনে, ড্রেনে, কারো বাসার সামনে। এই নবজাতকটি শুধু জন্মের সময়েই ভোগান্তি পোহায়নি, মৃত্যুর সময়েও তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া কম হয়নি। সকালে মারা গেলেও ভবিষ্যতে আইনি ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুমতি নিয়ে লাশ দাফন করতে বিকেল হয়ে গেছে। নামহীন নবজাতকটির চিকিৎসা ও দাফনের ব্যবস্থা করেছে ডা. মুজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশন।
কিছুদিন আগে 'বেবী অফ আঁখিমনি-রন্টি'র খবর ছাপা হওয়ার পরপরই এ ধরনের আরও দু-চারটি খবর চোখে পড়লো। একটি নবজাতককে ড্রেনের পাশে গর্ত করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। শিশুর কান্না শুনে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে। এইতো গত ২ নভেম্বর মাদারিপুরের হাসপাতাল থেকে একজন নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে—যার শরীর ছিল রক্তাক্ত। তার চিকিৎসা চললেও কোনো অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরেক নবজাতক কন্যাসন্তানকে রেখে তার পরিবার উধাও হয়ে যায় বলে গত ৭ নভেম্বর প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। হাসপাতালের পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডের বেডে তাকে রেখে যায় স্বজনেরা। হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্ট্রারে ঠিকানা উল্লেখ করা আছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি নানা-নানি পরিচয় দিয়ে নবজাতকটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে, কিন্তু পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এভাবে অনেক মানুষ তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে পালিয়ে যেতে পারে। অথচ আমরা দেখলাম একটি মা কুকুর তার সন্তান হারিয়ে পাগল হয়ে কান্নাকাটি করেছে। এই নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে এবং দোষীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। সারারাতই মা কুকুরটিকে অফিসার্স ক্লাব এবং আবাসিক এলাকার বিভিন্ন বাসার দরজায় দরজায় ঘুরতে ও জোরে জোরে কাঁদতে দেখা গেছে। এ সময় খাবার দিলেও মা কুকুর তা মুখে নেয়নি। পরে পানির নিচ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় মৃত ৮টি ছানাকে পাওয়া যায়। আর যে এই নারকীয় কাজ করেছে সেও একজন মা।
অথচ পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় নবদ্বীপে ফেলে যাওয়া এক নবজাতককে রাতভর পাহারা দিয়ে রক্ষা করেছে রাস্তার কয়েকটি কুকুর। ভোরের দিকে রেলওয়ে কলোনির বাথরুমের সামনে এমন দৃশ্য দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ভোরে অবিশ্বাস্য এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়ে যান এলাকাবাসী। রক্তমাখা অবস্থায় সদ্যোজাত শিশুটি পড়ে আছে, শুধু একদল পথকুকুর শিশুটিকে ঘিরে একটি বৃত্ত তৈরি করে সারারাত দাঁড়িয়েছিল।
কোনো শব্দ নয়, আগ্রাসন নয়, শুধু সতর্ক পাহারা। যেন তারা বুঝতে পারছিল যে শিশুটি বাঁচার জন্য লড়াই করছে। ভোরের আলো ফুটতেই যখন একজন নারী এগিয়ে গেল, শিশুটিকে কোলে তুলে নিতে—তখন কুকুরগুলো আস্তে আস্তে সরে গিয়ে পথ করে দেয়। কেউ হয়তো রাতের অন্ধকারেই শিশুটিকে রেখে গেছে, আর তাকে পাহারা দিয়েছে একদল কুকুর। কী অদ্ভুত বৈপরীত্য।
রূপগঞ্জ উপজেলার একটি ডাস্টবিন থেকে ২০২৩ সালে এক নবজাতককে উদ্ধার করেছিল একটি পরিবার। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জান্নাতকে গোসল করানো, খাওয়ানোসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিটি শিশুর জন্য দরকার বড় হচ্ছে এবং এখন তার জন্য দরকার একটি মায়ায় ভরা পরিবার।
আমরা জানি না ফেলে দেওয়া সব শিশু কোনো পরিবার পায় কিনা? নাকি সরকারি এতিমখানায় জীবন কেটে যায়, তবে অনুভব করি প্রতিটি শিশুর জন্য বাবা-মায়ের স্নেহ ভালবাসা প্রয়োজন।
পরিচয়হীন এই শিশুগুলোর জন্য যেমন মা-বাবা-পরিবার দরকার, তেমনি অনেক দম্পতির একজন সন্তান প্রয়োজন। চিকিৎসক সালমা-আশিক (ছদ্ম নাম) এর বিয়ের ১২ বছর পরেও যখন কোলে কোনো শিশু এলো না, তখন তারা অনাথ আশ্রম থেকে ৫ মাসের একটি মেয়েশিশুকে নিয়ে এসেছিলেন। পরিবারের কারোরই এতে প্রথমে মত ছিল না। কিন্তু তারা দুজনে দৃঢ়ভাবে সমাজকে মোকাবিলা করে মেয়েটিকে সন্তান স্নেহে বড় করেছেন। শিউলীকে (ছদ্মনাম) কাছে পেয়ে একদিকে যেমন সালমা-আশিকের জীবন ভরে গেছে–তেমনি সুযোগ, সামাজিক পরিচয় ও ভালবাসা মেয়েটির জীবনকেও বদলে দিয়েছে।
কিছু মানুষ তাদের ইন্দ্রিয়কে ক্ষণকালের সুখ দেওয়ার জন্য একটি শিশুর জন্ম দেয়, মূলত তা এক ধরনের অপরাধ। সেই অপরাধের ভার বহন করে বড় হতে হয় এই শিশুগুলোকে। অবশ্য অনেকসময় নারী শারীরিক নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ করেন এবং বাধ্য হন বাচ্চাগুলোকে ফেলে যেতে। অল্প কিছু বাচ্চা কোনোভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠিকানা খুঁজে পায়। অল্প কিছু আশ্রয়কেন্দ্র আছে এইসব আশ্রয়হীন শিশুর জন্য।
মুজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মজিবুর রহমান বলেছেন, সামাজিক বা পারিবারিক কোনো কারণে এই নবজাতকদের তাদের পরিবার ফেলে রেখে যায়। তারা বেঁচে থাকতেই মা–বাবা বা অন্য কোনো অভিভাবক পাওয়া যায় না। আর মারা গেলে তো আরও পাওয়া যায় না। তাই পরিচয় জানার আর কোনো উপায় নেই।
তিনি জানান, মুজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশন রাস্তায় ফেলে যাওয়া নবজাতকদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ হওয়ার পরে আদালতের মাধ্যমে অভিভাবক খুঁজে পেতে সহায়তা করে। হাসপাতালটিতে এই ধরনের বেওয়ারিশ নবজাতকদের জন্য আলাদা একটি বিভাগ আছে। ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ নবজাতক মারা গেছে। হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে আরও ৭ নবজাতক। অনেককে নতুন পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মজিবুর রহমান। (প্রথম আলো)
২০২৩ সালে ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কন্যাশিশু (জান্নাত) চিকিৎসক বলেছিলেন, জান্নাতসহ এ পর্যন্ত উদ্ধার করা মোট ৪৪ নবজাতককে চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। আদালতের মাধ্যমে বেশির ভাগকেই কোনো না কোনো পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে, তারা ভালো আছে। কয়েকজনকে সরকারের 'ছোটমণি নিবাসে' পাঠানো হয়েছে।
যারা এই ছোটমণি নিবাসের সাথে পরিচিত, তারা জানেন কত মায়া জড়িয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে। সাধারণত নবজাতক থেকে ৭/৮ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫/৩০ জন শিশু এখানে থাকে। এই শিশুগুলোর কোনো পরিচয় নেই, নেই বাবা–মা। এদের মানুষ কুড়িয়ে পেয়েছেন ড্রেনে, ডাস্টবিনে, বাগানে। কাউকে ইচ্ছে করেই মা ফেলে গেছেন হাসপাতালে বা বাজারে। এরপর অনাথ শিশুগুলোর ঠাঁই হয় এই সরকারি নিবাসে।
কেউ যখন ওদের জন্য ভালবেসে চকলেট, মিষ্টি, কেক, বিস্কুট, বেলুন, রং পেন্সিল বা অন্য কোনোকিছু নিয়ে যায়–বাচ্চাগুলো তখন খুশিতে আত্মহারা হয়ে ছুটে আসে। ওরা বুঝতে পারে ওদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ভালবাসার পসরা। খুব সামান্য কিছু জিনিস, কিন্তু ওদের আনন্দ যেন সীমাহীন।
এসে সালাম দেয়, এরপর লাইন ধরে বসে যায়। খাবার নেওয়ার জন্য নেই কোনো কাড়াকাড়ি, হুড়োহুড়ি বা চিৎকার–চেঁচামেঁচি। যে যা দেয়, ওরা আনন্দে আপ্লুত হয়ে তাই ভাগ করে খায়। পোলাও–কোর্মা, রোস্ট দিলে খুব খুশি হয়। তবে এর চেয়েও বেশি খুশি হয় শিশুদের প্রিয় জিনিসগুলো পেলে।
ছোটমণি নিবাসে সাজিয়ে রাখা ছোট ছোট বিছানাগুলো দেখলে মনেহয় যেন রূপকথার গল্পের 'ঘুমন্ত রাজকন্যা ও সাত বামণের' ঘর। এখানে প্রায়ই ২/৩ জন বাচ্চা থাকে জান্নাতের বয়সী। বাচ্চাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ, কেউ জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। যে শিশুকে তার বাবা–মা পথে ফেলে চলে যায় বা হত্যা করার জন্য মাথায় আঘাত দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়, সেই শিশুর মত অভাগা আর কেউ আছে কিনা আমার জানা নেই।
আমরা আমাদের বাচ্চাদের কত আদর-ভালবাসা, কঠোর নিরাপত্তা, প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস, থালা ভর্তি খাবার দিয়ে বড় করার চেষ্টা করি। অথচ এই শিশুগুলোর নিজের বলে কিছুই নেই, এমনকি বাবা-মাও নেই। শুধু অন্য মানুষের ভালবাসার ওপর বেঁচে আছে এরা।
ছোটমণি নিবাসে গেলে বাচ্চাগুলোকে দেখে এত মন খারাপ হয় যে, কষ্ট পাওয়ার ভয়ে আমি আর উপরে যাইনা—শুধু উপহার পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে আসি। অনাথ বাচ্চাদের কান্নার কষ্ট সহ্য করা খুব কঠিন। ওদের জন্য কিছু করতে পারি না এই কষ্ট কুরে কুরে খায়।
এই দেশেই অসংখ্য দম্পতি একটি সন্তানের মুখ দেখার জন্য চিকিৎসার পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করেন, তাবিজ-কবজ, ঝাড়ফুঁক করেন, পানিপড়া খান, কাঁদেন, বিষণ্নতায় ভোগেন। যাদের সন্তান হয় না, তারা পরিবার, আত্মীয়, অনাত্মীয় সবার কাছ থেকেই বিরূপ মন্তব্য শোনেন। মানুষের অভিযোগের আঙুল থাকে সেই নিঃসন্তান দম্পতির দিকে। ভাবটা এমন যে সন্তান না হওয়ার দায় তাদের। অথচ ওই মানুষ দু'জন যে কত কষ্ট বুকে চেপে দিন পার করেন, তা তারাই জানেন।
প্রকৃতির কী অদ্ভুত খেয়াল, একদল শিশু নাম-পরিচয়হীন হয়ে বড় হচ্ছে, আর অনেক দম্পতি 'মা' 'বাবা' ডাক শোনার জন্য চোখের পানি ফেলছেন। তবে আশার কথা এই পরিচয়হীন শিশুদের কথা পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরপরই দেশে-বিদেশের অনেকেই এদের অভিভাকত্ব নেওয়ার জন্য ফোন করেন, খোঁজ চান। পুলিশ, হাসপাতাল হয়ে শিশুরা যখন এই ছোটমণি নিবাস বা অন্য আশ্রয়কেন্দ্রে আসে, তখন অসংখ্য দম্পতি এদের কোলে তুলে নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখান, যোগাযোগ করেন কর্তৃপক্ষের সাথে।
ছোটমণি নিবাসসহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে এই অনাহুত শিশু অতিথিদের রাখা হয়। পরিচয়হীন একজন শিশুর এই সমাজে বেঁচে থাকাটা কতটা কষ্টকর হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। যে মায়ের কোল শিশুর জন্য নিরাপদ আশ্রয়, সেই মা-ই যখন সমাজের ভয়ে সন্তানকে বুকে তুলে নিতে পারেন না, তখন বুঝতে হবে সেই শিশুর বেঁচে থাকাটা হবে একটি যুদ্ধের মতো।
কাজেই আমরা প্রত্যাশা করবো এইসব অনাথ শিশুকে আইনগত অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করার পদ্ধতি আরও সহজ করা হোক। যারা সন্তানহীন দম্পতি, তারা একটি শিশুকে বুকে তুলে নিয়ে যেমন নিজেদের একাকীত্ব ঘোচাতে পারেন, তেমনি শিশুকে একটি পরিচয় দিয়ে, মায়া, মমতা ও ভালবাসা দিয়ে বড় করে তুলতে পারেন।
তবে সবচেয়ে বেশি দরকার আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা। পরিবার ও সমাজকে বুঝতে হবে সন্তানহীন দম্পতি ও পরিচয়হীন সন্তান দুজনেরই একটা মমতাময় 'আশ্রয়' দরকার।
১৩শ শতকের ফার্সি কবি, আইনজ্ঞ, ইসলামি ধর্মবেত্তা এবং সুফি মওলানা জালালউদ্দীন রুমি বলেছেন, 'যখন তুমি প্রাণ থেকে, আত্মা থেকে কোনো কাজ করো, তখন তুমি অনুভব করবে একটি নদী তোমার ভেতরে তিরতির করে বইতে শুরু করেছে। সেই নদীর নাম আনন্দ।'
আমরা চাই প্রতিটি সন্তানহীন মায়ের বুকে যেন একজন শিশু আশ্রয় পায়, শিশু যেন নিজের মতো বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো শক্ত মাটি পায়। কোনো শিশুকে যেন নাম-পরিচয়হীন হয়ে মারা যেতে বা বেঁচে থাকতে না হয়। শিশুর জন্ম যেখানেই হোক, বড় হওয়ার জায়গাটি যেন হয় আনন্দের।
লেখক: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক
বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।
