অস্ত্র মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২ দিনের রিমান্ডে

অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) সকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইয়াদুল হক আনিসুল হককে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য দেওয়া সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত ও জমা দেওয়া জন্য নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনা জারি এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার পরও অনেকেই তাদের নিকটতম থানায় অস্ত্র ও গুলি জমা দেননি।
যেসব ব্যক্তিরা তাদের নিকটে থাকা অস্ত্র ও গুলি জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি অস্ত্র বা গোলাবারুদ থানায় জমা না দিলে সেটি অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে বলে জানানো হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত আনিসুল হক বা তার পক্ষে কোনো প্রতিনিধি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন—এমন কোনো রেকর্ড বা তথ্য বনানী থানায় পাওয়া যায়নি।
অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত করার মতো কোনো নথি বা সাক্ষ্যের বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এছাড়া, লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য অভিযুক্তের গুলি কেনারও কোনো রেকর্ড নেই।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দেওয়া অস্ত্র আইনে এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অস্ত্রের অবস্থান শনাক্ত, তা উদ্ধার এবং তদন্ত এগিয়ে নিতে রিমান্ড অপরিহার্য বলে রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন এবং রিমান্ড আবেদন বাতিলের আহ্বান জানান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক দিদার জামিনের বিরোধিতা করেন এবং রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তদন্তের স্বার্থে আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে নৌপথে পালানোর চেষ্টাকালে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করে।
এর পরদিন নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলায় তিনি একাধিকবার রিমান্ডে গেছেন এবং বর্তমানে আটক রয়েছেন।