২২৭ কোটি টাকায় টোটালগ্যাস বাংলাদেশকে কিনে নিল ওমেরা পেট্রোলিয়াম
টোটালগ্যাস বাংলাদেশ নামে পরিচিত প্রিমিয়ার এলপি গ্যাস লিমিটেডের প্রায় সমস্ত শেয়ার ২২৭ কোটি টাকায় কিনে নিয়েছে এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি-র সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওমেরা পেট্রোলিয়াম। তবে এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন লাগবে।
এই অধিগ্রহণের ফলে ওমেরা এখন প্রিমিয়ার এলপি গ্যাসের ৯৯.৯৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক হলো।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওমেরা পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিম চৌধুরী ও প্রিমিয়ার এলপি গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর মোরশেদ সিদ্দিকী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ওমেরার পরিচালক আজম জে চৌধুরী ও টোটালএনার্জিস-এর মার্কেটিং অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট থিবো লেসোয়ার-সহ উভয় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই অধিগ্রহণের ফলে ওমেরার এলপিজি ব্যবসা আরও শক্তিশালী হবে। এর মাধ্যমে তারা প্রিমিয়ার এলপি গ্যাসের বিদ্যমান অবকাঠামো ও এর ১৬ লাখ সিলিন্ডার ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগের ফলে তাদের আয়ের উৎসে বৈচিত্র্য আসবে এবং মুনাফা বাড়বে। বর্তমানে ওমেরার বাজার হিস্যা ২২ শতাংশ, আর টোটালগ্যাসের প্রায় ৫ শতাংশ ।
কয়েক মাস ধরে জটিল আলোচনার পর এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। প্রিমিয়ার এলপি গ্যাসে ১১ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকা স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের আপত্তির কারণে এই আলোচনার গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল।
তবে কয়েক বছর ধরে বার্ষিক ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা লোকসান দিয়ে আসার কারণে ফ্রান্সভিত্তিক কোম্পানি টোটালগ্যাস বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে অনড় ছিল।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই একীভূতকরণের ফলে বাংলাদেশের এলপিজি ব্যবসায় ওমেরার বাজার অংশীদারিত্ব প্রায় ২৭ শতাংশে পৌঁছাবে, যা এই খাতে তাদের শীর্ষস্থানকে আরও মজবুত করবে। উল্লেখ্য, এই খাতটি বর্তমানে ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে রয়েছে।
টোটালগ্যাস ২০০২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে অচিরেই দেশের শীর্ষ তিন এলপিজি আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নেয়। তবে পরবর্তীতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর এই বাজারে বিপুল বিনিয়োগ করার ফলে তাদের কাছে বাজার হারাতে থাকে টোটালগ্যাস।
