উপদেষ্টা-এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি: অভিযুক্ত ফারুক রিমান্ডে

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে সরকারি প্রজেক্টের ১০০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে নাট্য প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটনের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় করা মামলায় মোহাম্মদ হোসেন ফারুক নামে এক আসামির তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মো. হারুনুর রশিদ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান হক চৌধুরী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করে, রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি ফারুকের সঙ্গে মামলার বাদীর বন্ধুর মাধ্যমে ব্যবসায়িক কারণে পরিচয় হয়। গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে আসামি ফারুক জানায়, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এছাড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ ও এনসিপির হাসনাত, সারজিসের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে সরকারি প্রোগ্রাম ও ডকুমেন্টারি প্রজেক্টে ১০০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে।
আরও বলা হয়, হাসনাত ও সারজিসকে ২ কোটি টাকা দিতে হবে, আর অগ্রিম হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। পরে মামলার বাদী গত বছরের ১৯ নভেম্বর ফারুককে ৫০ লাখ টাকা দেন। পরবর্তীতে কাজ পাওয়ার জন্য বারবার কল দিলেও আসামি কল রিসিভ করেননি। উল্টো এ বছরের ১৩ আগস্ট টাকা চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী বিষয়টি হাসনাতকে জানান।
পরে গত ২৫ আগস্ট এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় জিডি করেন হাসনাত। ওই ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটন।