খুলনায় বাটা-কেএফসিতে হামলা: ২৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার বেড়ে ৩৬

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে খুলনায় বাটা, কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজাতে লুটপাট এবং ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় ২ হাজার ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে আরও ৫ জনসহ মোট ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় এই মামলা তিনটি দায়ের হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, 'বাটা, কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজা থেকে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে বাটা থেকে ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় ১২০০ থেকে ১৩০০ জন, কেএফসির ম্যানেজার সুজন মণ্ডলের মামলায় ৭০০ থেকে ৮০০ জন এবং ডমিনোস পিৎজার ম্যানেজার শামসুল আলমের দায়ের করা মামলায় ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'নগরীতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক এবং অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। হামলার ভিডিও এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ বুধবার সকাল পর্যন্ত আরও ৫ জন দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে বাটার লুট হওয়া ৫ জোড়া জুতা এবং ১ টি লেডিস ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'হামলা ও লুটের ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান আছে।'
বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানার সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শুরু হয়। পরে সেখান থেকে একটি দল নগরীর ময়লাপোতার দিকে রওনা হন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে তারা কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজাতে হামলা করেন। প্রায় একই সময়ে শিববাড়ি মোড়ের বাটার শো-রুমেও লুটপাট হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত এই প্রতিষ্ঠানগুলো খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সাউথ জোনের মধ্যে পড়েছে।
সাউথ জোনের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মো. আবু তারেক বলেন, 'পুলিশ এখানে ব্যর্থ হয়েছে, হামলা ঠেকাতে পারিনি। হামলাকারীরা একপর্যায়ে হঠাৎ করেই হামলা চালিয়েছে। তখন সেখানে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না যে তাদের বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করবে।'
এর আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পাড়া-মহল্লা থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে এসে জমায়েত হয়। এতে হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।