Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
August 05, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, AUGUST 05, 2025
৫ আগস্ট সকালেও দিল্লি আঁচ করতে পারেনি ভারতে আশ্রয় নেবেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ

বিবিসি বাংলা
05 August, 2025, 12:35 pm
Last modified: 05 August, 2025, 12:49 pm

Related News

  • প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি পাঠাব, যেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করেন: প্রধান উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ইইউ-যুক্তরাজ্যসহ ৫ দেশ
  • ‘আপা আর আসবে না, ষড়যন্ত্রকারীদের জানিয়ে দিন’: চট্টগ্রামে এসপি সানতু
  • মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে প্রতীকী হেলিকপ্টার উড়িয়ে হাসিনার ‘পলায়ন মুহূর্ত’ উদযাপন
  • জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা এনসিপির হান্নান মাসউদ ও আরিফ সোহেলের

৫ আগস্ট সকালেও দিল্লি আঁচ করতে পারেনি ভারতে আশ্রয় নেবেন শেখ হাসিনা

বিবিসি বাংলা
05 August, 2025, 12:35 pm
Last modified: 05 August, 2025, 12:49 pm
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, সোমবার ছিল ভারতের সংসদের বর্ষাকালীন [মনসুন] অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিন। অধিবেশন ঘিরে ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে, কারণ এখনো বহু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানো বাকি ছিল। দিল্লিতে মন্ত্রী-সাংসদদের দৌড়ঝাঁপ চলছিল নিয়মমাফিক।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তিনজন সহযোগী—পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ—তাদের দৃষ্টি ছিল একেবারে অন্যদিকে: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার দিকেই।

সকাল থেকেই জানা যাচ্ছিল, 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচির ডাক দিয়ে লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় বিক্ষোভে নামতে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন, সেটাই নজরে রেখেছিলেন এই তিনজন।

কারণ যাই ঘটুক না কেন, এর প্রভাব ভারতের ওপর পড়বে—সেটা ছিল নিশ্চিত। আর দেশের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির চালিকাশক্তি এই তিনজনের হাতেই।

তাদের কাছে গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনা চরম রাজনৈতিক চাপে থাকলেও হয়তো শেষ পর্যন্ত এই সংকটও তিনি পার করে যাবেন। ফলে কেউই আঁচ করতে পারেননি, ওই দিন রাতেই শেখ হাসিনা নাটকীয়ভাবে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।

কেন তিনি বিপদটা উতরে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে, তার একাধিক কারণও দেখানো হয়েছিল।

এর আগের দিন, ৪ আগস্ট, মোদি ও হাসিনার মধ্যে হটলাইনে যে কথোপকথন হয়, সেখানেও এই ধরনের পরিস্থিতির কোনো ইঙ্গিত ছিল না।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

তবে দুই দেশের দুই সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান, ভারতের জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ও বাংলাদেশের জেনারেল ওয়াকার উজ জামান অবশ্য তার কয়েকদিন আগে থেকেই নিজেদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে ছিলেন।

যদিও বাংলাদেশে ভারতীয় সেনা পাঠানোর কোনো সম্ভাবনা ছিল না, কিন্তু অন্যভাবে সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত ছিল—এমন বার্তা দেওয়া হয়েছিল।

তবু ৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহের জন্য ভারত প্রস্তুত ছিল না। কারণ জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনাকে শেষ পর্যন্ত দেশত্যাগ করতে হবে – প্রায় ধরেই নেওয়া হয়েছিল এরকম সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন, আর একইসঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের বেশিরভাগ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে বেসরকারি ফ্লাইটে কলকাতা ও দিল্লিতে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের একটা স্পষ্ট 'ভারত-বিরোধী' মাত্রা আছে এটা জানা থাকলেও ঢাকাতে ভারতের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে সে দিনই ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে, এটাও ভারতীয় কর্মকর্তাদের কল্পনার বাইরে ছিল।

সকাল থেকেই ঘটতে থাকা নাটকীয় ঘটনার জেরে দিল্লির সব হিসাব এলোমেলো হয়ে যায়।

ঢাকা থেকে দিল্লিতে পরপর দুটো ফোন

৫ আগস্ট দুপুর ১২টার পর ঢাকা থেকে দিল্লিতে আসে পরপর দুটি ফোন—পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রথম ফোনটি আসে শেখ হাসিনার দপ্তর থেকে। শেখ হাসিনা নিজেই ফোন করেন। 

জয়শংকর অবশ্য ভাঙেননি তিনি কার কাছে ফোন করেছিলেন, তবে প্রোটোকল বলে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত কথা হয়ে থাকে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেই।

ভারত ততক্ষণে জেনে গেছে, সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর শেখ হাসিনা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

এরপরই দিল্লিতে টেলিফোন করে তিনি অনুরোধ করেন, তাকে 'তখনকার মতো' ভারতে আসার অনুমোদন দেওয়া হোক। সেই অনুরোধে সঙ্গে সঙ্গেই ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় ফোনটা আসে একটু পরেই, বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর কাছ থেকে দিল্লিতে ভারতের এয়ারফোর্স কমান্ডের কাছে।

শেখ হাসিনাকে বহনকারী সামরিক বিমান যাতে ভারতের নির্দিষ্ট কোনও বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করার অনুমতি পায়, আনুষ্ঠানিকভাবে সেই 'ক্লিয়ারেন্স' চেয়ে করা হয় এই দ্বিতীয় ফোনটা। সেই অনুমতিও দেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গেই।

'বাংলাদেশি বিমানেই আসতেই হবে'

বিবিসি বাংলা জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনার জীবন বাঁচাতে হলে তাকে দ্রুত দেশের বাইরে পাঠাতে হবে––বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এটা বোঝার পর পরই ভারতকে অনুরোধ করেছিল যেন বিশেষ বিমান পাঠিয়ে তাকে ঢাকা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব সেই অনুরোধ সরাসরি খারিজ করে দেন।

তাদের অবস্থান ছিল, শেখ হাসিনাকে ভারতে আসতে হলে – যদি সেটা খুব অল্প সময়ের জন্যও হয় – তাহলেও তাকে বাংলাদেশের কোনও বিমানে বা হেলিকপ্টারে চেপেই আসতে হবে।

হেলিকপ্টারে হলে সীমান্তের কাছাকাছি কলকাতা বা আগরতলাতে আনা যেতে পারে, সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

এবং তিনি কীসে আসবেন, সেটা চূড়ান্ত করা হলে সেই ফ্লাইটের জন্য বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ফর্মাল ক্লিয়ারেন্সও চাইতে হবে বলেও জানানো হয়।

সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ বিমানবাহিনী শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গীদের জন্য একটি সিজে-১৩০ সামরিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট প্রস্তুত করে এবং সেটি দিল্লির উপকণ্ঠে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে নামবার অনুমতি পায়।

এই অবস্থান নেওয়ার কারণ একটাই, দিল্লি চায়নি পরে এ কথা বলার কোনও সুযোগ তৈরি হোক যে ভারতই বাংলাদেশ থেকে তাদের 'বন্ধু'কে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে বা পালাতে সাহায্য করেছে।

ফলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামরিক বিমানে চেপে দিল্লির কাছে এসে নামার পর ভারত সরকারের কর্মকর্তারা বরং এই যুক্তিই দিতে পেরেছেন যে 'আমরা নিজেরা গিয়ে উনাকে আনিনি, বাংলাদেশ সেনাই তাঁকে এখানে পৌঁছে দিয়ে গেছে!'

দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়ে খবর

শেখ হাসিনার ঢাকা ছাড়ার খবর দুপুরের পর থেকে দিল্লিতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি কোথায় যাচ্ছেন—আগরতলা, দিল্লি, নাকি অন্য কোথাও—তা নিয়েও চলছিল নানা জল্পনা।

ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা গণভবনের হেলিপ্যাড থেকে স্যুটকেসসহ হেলিকপ্টারে উঠছেন। ছবি পৌঁছে যায় দিল্লির অনেকের মোবাইলে।

তবু সংসদের ভেতরে ছিল নীরবতা। সংসদে সেদিন কোনো ওয়াকআউট বা মুলতবির ঘটনা ঘটেনি। বরং বিল ও আলোচনায় চলছিল পুরো দমে।

বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ লোকসভায় বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই উঠে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করেন, "আমাদের ঘরের পাশে বাংলাদেশে যে তীব্র সহিংসতা চলছে ..."

তখন স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন বিজেপি নেতা ও উত্তরপ্রদেশের এমপি জগদম্বিকা পাল।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক; ৬ অগাস্ট, ২০২৪। ছবি: পিআইবি ইন্ডিয়া

পশ্চিমবঙ্গের এমপি-কে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দিয়ে তিনি বলে ওঠেন, 'সুদীপবাবু আপনি আগে নিজের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভাবুন। বাংলাদেশের কথা পরে ভাবলেও চলবে।' 

সভার বাইরে ততক্ষণে ট্রেজারি বেঞ্চের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের নেতাদের আলাদা করে ডেকে নিয়ে বলা হয়েছে—বাংলাদেশ পরিস্থিতি অত্যন্ত অনিশ্চিত, ফলে পার্লামেন্টে এখনই সরকারের বিবৃতির জন্য বিরোধীরা যেন চাপাচাপি না করেন। 

কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দলই সরকারের এই অনুরোধ মেনে নেয়। সরকার আরও আশ্বাস দেয়, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে পরদিন (৬ অগাস্ট) সকালেই পার্লামেন্টে অ্যানেক্স ভবনে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে।

সংসদের অধিবেশন বসার আগেই সব দলের নেতাদের নিয়ে সেই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে রাহুল গান্ধী বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার কথা জানতে চান।

পরে জয়শঙ্কর সংসদে 'সুয়ো মোটো' [স্বত:প্রণোদিত] বিবৃতি দেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার পেছনের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন।

শেখ হাসিনার 'চূড়ান্ত গন্তব্য' নিয়ে ধোঁয়াশা

৫ আগস্ট দুপুরে শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন থেকেই ভারতের উচ্চপর্যায়ের মহলে ধারণা ছিল—এই আগমন কেবলই সাময়িক। মনে করা হচ্ছিল, তৃতীয় কোনও দেশে যাওয়ার আগে দিল্লিতে এটি কেবল একটি সংক্ষিপ্ত বিরতি বা 'লে-ওভার' মাত্র।

শেখ হাসিনা নিজেও ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন 'তখনকার মতো' আশ্রয় দেওয়ার জন্য। এমনকি কয়েক মাস আগেও যখন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তিনিও বারবার বলে এসেছেন, এটি শুধু অস্থায়ী এবং ভারতের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি ব্যবস্থা।

কিন্তু ৫ আগস্ট বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই দিল্লির রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে শুরু হয় তীব্র গুঞ্জন—ভারত থেকে তিনি শেষ পর্যন্ত কোন দেশে যাচ্ছেন? সম্ভাব্য গন্তব্য তালিকায় ছিল যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, সুইডেন এমনকি বেলারুশের নামও।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (নর্থ ব্লক) একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রকে সকাল থেকেই হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার বার্তা পাঠায় বিবিসি বাংলা। প্রথমে কোনো উত্তর না আসলেও শেষে বিকেল সাড়ে চারটায় অবশেষে তার কাছ থেকে উত্তর আসে: 'দিল্লি জাস্ট একটা লে-ওভার। যাচ্ছেন আপনাদের দেশেই [যুক্তরাজ্য]!'

তখন শেখ হাসিনা ছিলেন বাংলাদেশের কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী এবং তার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক। সুতরাং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ধরেই নিয়েছিল, রাতেই তাঁরা লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন।

কিন্তু ব্রিটিশ সরকার সেই অনুমতি দেয়নি। দিল্লিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মাধ্যমে স্যার কিয়ের স্টার্মারের নতুন সরকার ভারতকে জানায়, শেখ হাসিনাকে আপাতত যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না।

এ কারণে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০ সামরিক পরিবহন বিমানটি হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে অপেক্ষমাণ রাখা হয়—ধারণা ছিল, তিনি অন্য কোনও দেশে পাড়ি দিচ্ছেন বলেই এটি ঢাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

কিন্তু পরদিন ৬ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে স্পষ্ট হয়ে যায়, তৃতীয় দেশে গমন এখনই হচ্ছে না। তখন বিমানটিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে তখনো দিল্লিতে থাকা শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের অবস্থান যে সাময়িক নয়, সেই ধারণা দৃঢ় হতে আরও কিছুদিন সময় লাগে।

'প্রণব মুখার্জির জায়গায় এখন অজিত ডোভাল'

ঘটনাবহুল ৫ আগস্ট সন্ধ্যা থেকেই ভারতে শেখ হাসিনার অঘোষিত অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ বহু পুরোনো এবং গত এক দশকে তিনি একাধিকবার ঢাকায় গোপন ও প্রকাশ্য সফর করেছেন।

হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে স্বাগত জানানোর দায়িত্বও ছিল তার ওপর। প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ডোভালই সেদিন সন্ধ্যায় তাদের অভ্যর্থনা জানান।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ছবি: রয়টার্স

পরবর্তী এক বছর ধরে শেখ হাসিনা কোথায় বা কীভাবে থাকবেন, তার নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে, তিনি হাতেগোনা বা বাছাই করা কোন কোন ব্যক্তির সঙ্গে কোথায় কীভাবে দেখা করবেন – তার প্রায় সবটাই এখন নির্ধারিত হচ্ছে অজিত ডোভালের তত্ত্বাবধানে।

যখনই কোনও হাই-প্রোফাইল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ভারতে আশ্রয় নেন, তাদের জন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রাথমিকভাবে একটি 'ডিব্রিফিং সেশন' পরিচালনা করে থাকে। ষাটের দশকে দালাই লামার ক্ষেত্রেও এমনই ব্যবস্থা নিয়েছিল ভারত। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও এমন বেশ কয়েকটি সেশন আয়োজন করা হয়, যার কয়েকটিতে ডোভাল নিজে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর শেখ হাসিনা যখন পরিবারসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখার্জি ছিলেন তার ব্যক্তিগত অভিভাবকের মতো। সেই সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে যে, শেখ হাসিনা প্রণব মুখার্জিকে 'কাকাবাবু' বলেই সম্বোধন করতেন।

ভারতের নিরাপত্তা মহলে এখন এমন কথাই ঘুরছে—ঠিক যেভাবে সেই সময় প্রণব মুখার্জি শেখ হাসিনার দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, এখন সেই ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হয়েছেন অজিত ডোভাল।

এবং এই দায়িত্বের সূচনা হয়েছিল সেই ৫ আগস্ট সন্ধ্যায়, গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে শেখ হাসিনার অবতরণের মুহূর্তে।

Related Topics

টপ নিউজ

শেখ হাসিনা / ভারত / জুলাই অভ্যুত্থান / ঢাকা-দিল্লী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘আমি ভাবছিলাম সিঙ্গাপুর যাব, যেতে পারি?’: হাসিনা-তাপসের আরও একটি ‘ফোনালাপ’ ভাইরাল
  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য নতুন গাড়ি কেনার উদ্যোগ, বাসা খোঁজা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য
  • মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১১
  • মাহফুজ আলম হয়তো ঘণ্টাখানেক পর পোস্টটি ডিলিট করবেন: সালাহউদ্দিন
  • ৫ আগস্ট সকালেও দিল্লি আঁচ করতে পারেনি ভারতে আশ্রয় নেবেন শেখ হাসিনা
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের জুলাই প্রদর্শনীতে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি, শিক্ষার্থীদের আপত্তিতে সরালো প্রশাসন

Related News

  • প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি পাঠাব, যেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করেন: প্রধান উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ইইউ-যুক্তরাজ্যসহ ৫ দেশ
  • ‘আপা আর আসবে না, ষড়যন্ত্রকারীদের জানিয়ে দিন’: চট্টগ্রামে এসপি সানতু
  • মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে প্রতীকী হেলিকপ্টার উড়িয়ে হাসিনার ‘পলায়ন মুহূর্ত’ উদযাপন
  • জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা এনসিপির হান্নান মাসউদ ও আরিফ সোহেলের

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘আমি ভাবছিলাম সিঙ্গাপুর যাব, যেতে পারি?’: হাসিনা-তাপসের আরও একটি ‘ফোনালাপ’ ভাইরাল

2
বাংলাদেশ

আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য নতুন গাড়ি কেনার উদ্যোগ, বাসা খোঁজা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য

3
বাংলাদেশ

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১১

4
বাংলাদেশ

মাহফুজ আলম হয়তো ঘণ্টাখানেক পর পোস্টটি ডিলিট করবেন: সালাহউদ্দিন

5
বাংলাদেশ

৫ আগস্ট সকালেও দিল্লি আঁচ করতে পারেনি ভারতে আশ্রয় নেবেন শেখ হাসিনা

6
বাংলাদেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের জুলাই প্রদর্শনীতে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি, শিক্ষার্থীদের আপত্তিতে সরালো প্রশাসন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net