সাভারে এপিসি থেকে ফেলে ইয়ামিনকে হত্যা: অভিযুক্ত এএসআই গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার সাভারে শাইখ আশহাবুল ইয়ামিনকে গুলি করার পর একটি আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) থেকে ফেলে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া এই কর্মকর্তার নাম এএসআই মোহাম্মদ আলী (৩১)। তিনি এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
রোববার (৩ আগস্ট) সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি দল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ মুরাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে সাভার মডেল থানার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়া এক প্রেস রিলিজে জানান ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের (আইসিটি) মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হওয়ায় গ্রেপ্তারের পর তাকে আইসিটির তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে প্রেস রিলিজে।
প্রেস রিলিজে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার এএসআই মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন যাবত পলাতক ছিলেন। তার সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল ঢাকা জেলা পুলিশ লাইনস।
গত বছরের ১৮ জুলাই সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলন চলাকালে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অভ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ইয়ামিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ইয়ামিনের মামা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আলামিন কাদির ৭৮ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
