জুলাই অভ্যুত্থানের বার্ষিকীর দিনে কক্সবাজারে এনসিপির ৫ নেতা, পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ নেতাসহ হঠাৎ কক্সবাজারে গিয়েছেন। তারা উখিয়ার ইনানীতে হোটেল সী পার্ল বীচ রিসোর্টে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা কক্সবাজারে পৌঁছান।
এনসিপি নেতাদের কক্সবাজারে যাওয়া কেন্দ্র করে নানা গুঞ্জন উঠেছে। বলা হচ্ছে, সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতেই তারা কক্সবাজারে গিয়েছেন।
এনসিপির এই নেতারা হলেন- এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। সঙ্গে তাসনিম জারার স্বামী খালেদ সাইফুল্লাহও রয়েছেন। তিনি এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
এনসিপির নেতাদের কক্সবাজারে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানিয়েছেন, বেলা ১২ টার পর পর সবাই ইনানীর হোটেল সী পার্লে অবস্থান করছেন। যতটুকু জানা গেছে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে তারা কক্সবাজার এসেছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নেই। বৈঠকের বিষয়টিও সত্য না।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফ উদ্দিন শাহিন বলেন, কক্সবাজারের সী পার্ল হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নেই। পুরো হোটেলে মাত্র তিনজন চীনা নাগরিক আছেন।
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পিটার হাসের সঙ্গে তাদের বৈঠকের খবরটি গুজব ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি আজ বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, 'মিডিয়াতে পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের মিটিংয়ের যে খবর ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন। তবে আমরা কক্সবাজারে আছি।'
এ সময় তারা কেন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন—এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
এদিকে হোটেলটির বাইরে উখিয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ৫ আগস্ট। এই দিন বিদেশিদের সঙ্গে গোপন বৈঠক রহস্যজনক। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া জরুরি।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তির দিনে হঠাৎ করে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের কক্সবাজার আগমন এবং শহর থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার দূরের পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থানের ঘটনা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তাদের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠকের কথা শুনে লোকজনের মধ্যে সন্দেহ আরও বাড়ছে।