উন্মুক্ত দরপত্রের ভিত্তিতে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগ

ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল মুরিং (এসপিএম) এর পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ জিটুজি এর পরিবর্তে প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি— জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এদিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি তেল খালাস কার্যক্রম দ্রুত, সহজ ও সাশ্রয়ী করার জন্য 'ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন' প্রকল্পটি ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এসপিএম এর কমার্শিয়াল অপারেশন দ্রুত শুরু করার জন্য এ প্রকল্পের ইপিসি ঠিকাদার চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে জিটুজি ভিত্তিতে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদার হিসেবে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় নিয়োগের বিষয়ে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এই কাজটি বিশেয়ায়িত হওয়ায়-- আরও বেশি সংখ্যক দরদাতা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করলে কাজের মান সন্তোষজনক ও দরমূল্য কম পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সরকার। এই প্রেক্ষিতে প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগে জিটুজি (সরাসরি) ক্রয়ের পরিবর্তে পিপিএ ও পিপিআর এর আওতায় প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতির বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ট্যাংক ফার্ম ও মহেশখালীর পশ্চিমে গভীর সমুদ্রে ১টি ভাসমান জেটি এবং ১১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ২টি সমান্তরাল পাইপলাইন (২২০ কি.মি.) স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যমান লাইটারেজ অপারেশনের পরিবর্তে পাইপলাইনে তেল পরিবহনের ফলে পরিবহন খরচ বছরে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় ও সময় এক তৃতীয়াংশ কমবে।