Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
June 05, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JUNE 05, 2025
ডামি দরপত্র, ভুয়া রেকর্ড: যেভাবে এক ফার্ম তিতাসের ২,২১৪ কোটি টাকার প্রকল্প হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল

বাংলাদেশ

মাহফুজ উল্লাহ বাবু
26 February, 2025, 08:30 am
Last modified: 26 February, 2025, 08:30 am

Related News

  • সৌরবিদ্যুতের প্রথম রাইন্ডের দরপত্রে সাড়া দেয়নি কোনো বিদেশি কোম্পানি
  • ছেলের বিলাসবহুল ছুটি কাটানো ঘিরে বিতর্ক, পদত্যাগ করলেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
  • রাজধানীর যেসব এলাকায় ৫ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
  • রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর ১৩ বিও অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
  • রাজস্ব ব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগের করায়ত্ত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে: টিআইবি

ডামি দরপত্র, ভুয়া রেকর্ড: যেভাবে এক ফার্ম তিতাসের ২,২১৪ কোটি টাকার প্রকল্প হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল

অক্টোবরে মূল্যায়ন কমিটি ডিটিসিএলকে সর্বোচ্চ স্কোর প্রদান করলে প্রকল্প অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে, পেগাসাস ইন্টারন্যাশনাল নিজেদের উচ্চতর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি জানায় এবং তা চ্যালেঞ্জ করে।
মাহফুজ উল্লাহ বাবু
26 February, 2025, 08:30 am
Last modified: 26 February, 2025, 08:30 am
ইনফোগ্রাফিক: টিবিএস

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরপরই রাষ্ট্রায়ত্ত তিতাস গ্যাস তাদের ২,২১৪ কোটি টাকার 'স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট' প্রকল্পের জন্য পরামর্শদাতা নিয়োগে দরপত্র আহ্বান করে। স্থানীয় সংস্থা ডেভেলপমেন্ট টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড (ডিটিসিএল) এই চুক্তি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন অনিয়মের আশ্রয় নেয়।

ঢাকা জুড়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট মিটার স্থাপনের দরপত্র প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগীদের আটকাতে ডিটিসিএল ভুয়া দরদাতাদের মাধ্যমে একাধিক দরপত্র জমা দেয়। সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে এটি মিথ্যা অভিজ্ঞতার দাবি করে, ঠিকানা পরিবর্তন করে এবং কর সনদপত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা গোপন রাখে।

অক্টোবর মাসে মূল্যায়ন কমিটি চারটি সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত দরদাতার মধ্যে ডিটিসিএলকে সর্বোচ্চ স্কোর প্রদান করে, যার পর তিতাস কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়। তবে, এক প্রতিযোগী দরদাতা প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করলে তদন্ত শুরু হয়, যার মাধ্যমে ডিটিসিএলের কারসাজির বিষয়টি প্রকাশ পায়।

টিবিএস-এর হাতে আসা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়ম হয়েছে। অভিযোগ ওঠে যে, ডিটিসিএল ও এটির সহযোগী দরদাতারা প্রতারণামূলক উপায়ে চুক্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিল।

পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিতাস পরিচালনা পর্ষদ গত ২০ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পুনঃনিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিতাস গ্যাসের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ বলেন, বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিতাস ডিটিসিএলকে আর পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেবে না এবং নতুন দরপত্র আহ্বান করা হবে।

তিতাস চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ পান্না ২২ ফেব্রুয়ারি টিবিএসকে বলেন, 'এ ধরনের বড় প্রকল্পগুলো কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা দেখলে হতাশ লাগে।'

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব সাইফুল্লাহ পান্না বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ২০০৮ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

তদন্তের শুরু…

২০২৪ সালের মার্চ মাসে নয়টি একক ও জয়েন্ট ভেঞ্চার তিতাসের স্মার্ট মিটারিং প্রকল্পের জন্য আগ্রহপত্র জমা দেয়।

এপ্রিল মাসে তিতাস চারটি প্রতিষ্ঠানকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করে—ডিটিসিএল; পেগাসাস ইন্টারন্যাশনাল (ইউকে) লিমিটেড, যা ইন্ডিয়ান ভয়েন্টস সলিউশনসসহ আরও দুটি সংস্থার জয়েন্ট ভেঞ্চার; কোরিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কনসাল্টিং ইনকর্পোরেটেড; এবং ফ্রামির ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলো ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাদের প্রস্তাব জমা দেয়।

অক্টোবরে মূল্যায়ন কমিটি ডিটিসিএলকে সর্বোচ্চ স্কোর প্রদান করলে প্রকল্প অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে, পেগাসাস ইন্টারন্যাশনাল নিজেদের উচ্চতর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি জানায় এবং তা চ্যালেঞ্জ করে।

পেগাসাস ডিটিসিএলের প্রতারণামূলক কৌশল সম্পর্কে প্রমাণসহ নথি দাখিল করলে পেট্রোবাংলা দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক উম্মে তাজমেরী সেলিনা আক্তার। কমিটিতে তিতাসের জিএম ইঞ্জিনিয়ার রাজীব কুমার সাহা ও ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাহাদত হোসেনও ছিলেন।

পেগাসাসের দাবি ও উপস্থাপিত তথ্য পর্যালোচনার পর কমিটি ১৮ ডিসেম্বর স্থানীয় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধি ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রাসঙ্গিক নির্দেশিকা অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।

পেগাসাস ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক মোহাম্মদ এস. করিম বলেন, 'এই দুর্নীতির মহাপরিকল্পনা আগের সরকারের সময় নেওয়া হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরই আমরা এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর সাহস পেয়েছি।'

তিনি বলেন, তিতাসের উচিত ভুল দরদাতাদের পাশাপাশি মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া।

করিম আরও বলেন, ডিটিসিএলের অভিজ্ঞতার মধ্যে কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানির জন্য পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে তারা প্রায় ৬০ হাজার স্মার্ট মিটারের কাজ করেছিল। অন্যদিকে, পেগাসাস ৪ লাখ ২০ হাজার মিটারের জন্য তিতাস প্রকল্পের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছে।

তদন্তের পর…

তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সিউলের একই অফিস ঠিকানার প্রায় একই নামের দুই কোরিয়ান দরদাতা পরামর্শদাতা দরপত্রে অংশ নেয়, এবং তারা ডিটিসিএলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল।

তিতাসের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ বলেন, স্থানীয় সরকারি ক্রয়বিধি (পিপিআর) অন্তত চারটি সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত সংস্থার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলে। কিন্তু ডামি প্রতিযোগীদের অন্তর্ভুক্তির ফলে প্রকৃত প্রতিযোগীদের দর দেওয়া থেকে বিরত রাখা যায়।

কোরিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কনসালট্যান্টস একাই দরপত্র জমা দেয়, তবে তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

ডিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএম আমির হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ফ্রামির ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশ কোরিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কনসালট্যান্টস ইনকর্পোরেটেডের সঙ্গে যৌথভাবে দরপত্র জমা দেয়।

প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের পরামর্শদাতা হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের জন্য কোরিয়া-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্চার কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ২০১৫-১৯ সালের প্রিপেইড গ্যাস মিটার ইনস্টলেশন প্রকল্পে তাদের পরামর্শদাতা অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে।

তবে তদন্তকারীরা দেখতে পান, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ফ্রামির রোম-ভিত্তিক ফ্রামির ইঞ্জিনিয়ারিং এসএলআর নামক একটি ইতালিয়ান প্রতিষ্ঠানের কর্ণফুলী প্রকল্পের অভিজ্ঞতাকে নিজেদের অভিজ্ঞতা বলে মিথ্যা দাবি করেছিল।

কিন্তু একই সঙ্গে ফ্রামির ঘোষণা দেয়, এটি কোনো মূল কোম্পানির অংশ বা শাখা নয়। ফলে তাদের দাবি করা অভিজ্ঞতা গ্রহণযোগ্য হয়নি। এর মাধ্যমে কোরিয়া-বাংলা জয়েন্ট ভেঞ্চারটিকে অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত ছিল। তবে, তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মূল্যায়ন কমিটি এই অসঙ্গতি উপেক্ষা করেছে।

কমিটি যদি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করত, তাহলে তিতাস আরও কয়েক মাস আগেই পুনরায় দরপত্র আহ্বান করতে পারত বলে মন্তব্য করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও তিতাসের পরিচালক এসএম মঈন উদ্দিন আহমেদ। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর মতামত দিতে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন।

রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল-এ উল্লেখ ছিল, সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলো দ্বিতীয়বার প্রস্তাব জমা দিতে পারবে না—তা তারা একক দরদাতা হিসেবেই হোক বা জয়েন্ট ভেঞ্চারের অংশ হিসেবেই হোক।

ডিটিসিএল ও ফ্রামির-এর সংযোগ

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিটিসিএল শুরুতে তাদের ঠিকানা রাজধানীর নিকেতন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। পরে তারা ঠিকানা পরিবর্তন করে গুলশান করে, কারণ ফ্রামির ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যান্য নথিতেও একই নিকেতন ঠিকানা উল্লেখ করেছিল।

ডিটিসিএলের এমডি এমএম আমির হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুন ফ্রামির বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরবর্তী জমা দেওয়া নথিপত্রে তাদের ঠিকানা পরিবর্তিত দেখা যায়।

এছাড়া রহিমা খাতুন পরে একটি সংশোধিত কর সনদ জমা দেন, যেখানে প্রথম সনদে তার স্বামীর নাম থাকলেও দ্বিতীয় সনদে তার বাবার নাম দেওয়া হয়। কর সনদে নারী করদাতাদের কেবল স্বামী অথবা বাবার নাম উল্লেখ করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ডিটিসিএল ও ফ্রামির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে; তাদের মূল বিশেষজ্ঞ, অফিসের ঠিকানা এবং এমনকি ওয়েবসাইটও অভিন্ন। তদন্ত কমিটির মতে, ডিটিসিএলের ঠিকানা পরিবর্তন এবং ফ্রামির কর সনদে তথ্য পরিবর্তনের উদ্দেশ্য ছিল 'তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক গোপন করা'। কমিটি একে 'সততার লঙ্ঘন' হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

দুই সংস্থার একই বিশেষজ্ঞ

স্থানীয় পিপিআর অনুযায়ী, একজন মূল বিশেষজ্ঞ একাধিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না। তবে, তিতাসের স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিশিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পে এ বিষয়ে কোনো বাধা ছিল না।

প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ আবুল কাওসার টিবিএসকে বলেন, উন্নয়ন অংশীদার এডিবি (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোকে তাদের নিজস্ব নির্দেশিকা অনুসরণ করার অনুমতি দেয়।

ডিটিসিএল ও কোরিয়া ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টস ইনকর্পোরেটেডের সঙ্গে ফ্রামির জয়েন্ট ভেঞ্চার উভয়ই কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ ইয়ং ডো কিমকে গ্যাস মিটারিংয়ের মূল বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রস্তাব করেছিল। তবে, মূল্যায়ন কমিটি একই বিশেষজ্ঞের জন্য ডিটিসিএলের স্কোর নির্ধারণ করে ৮৭ এবং এটির 'ডামি' ভেঞ্চার ফ্রামিরকে দেয় ৮৫.৫।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্প পরিচালক আবুল কাওসারকে সদস্য সচিব রেখে গঠিত মূল্যায়ন কমিটি একই বিশেষজ্ঞের জন্য ভিন্ন স্কোর প্রদানের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।

এ প্রসঙ্গে কাওসার বলেন, প্রকল্পটি এখনও ডিটিসিএলকে দেওয়া হয়নি; প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে।

ডিটিসিএল কী বলছে?

কোম্পানির ঠিকানা পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিটিসিএলের এমডি আমির হোসেন বলেন, 'এটি শুধু ঠিকানা পরিবর্তন ছিল না; আমরা এই প্রক্রিয়ায় আমাদের নিজস্ব সম্পত্তিতে স্থানান্তরিত হয়েছি।' তবে, তদন্ত কমিটি বলছে, ঠিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি বা ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

অভিযোগগুলোর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'এটি বিদেশি প্রতিযোগীদের ষড়যন্ত্র হতে পারে। আমরা এখনো তিতাসের কাছ থেকে কোনো আপডেট পাইনি।'

একাধিক দরপত্রে পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা নিয়ে তিনি বলেন, একই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন কোম্পানির মালিক হতে পারেন এবং তারা একই টেন্ডারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই পারেন।

ইতালির ফ্রামির ইঞ্জিনিয়ারিং এসআরএল-এর কাজের অভিজ্ঞতা নিজেদের নামে ব্যবহারের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ইতালির মূল কোম্পানির মালিক স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়েছেন। তবে, তিনি তিতাসের নথিতে এটি উল্লেখ করা হয়নি।

আমির হোসেন আরও বলেন জানানো হয়, '[অভিযোগের বিষয়ে] আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার পর আমরা আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করব।'

তদন্ত কমিটির সুপারিশ

তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে যে তিতাসকে অবশ্যই পিপিআরের বিধি মেনে চলতে হবে, যেখানে বলা হয়েছে—কোনো অভিযোগ মীমাংসা না হলে বিজয়ী দরদাতাকে কনসালট্যান্সি প্রদান করা যাবে না। তবে, পিপিআর-এ আরও উল্লেখ রয়েছে যে, ক্রেতা বা বিক্রেতার কোনো পক্ষ দুর্নীতি, জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র বা বলপ্রয়োগমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে চুক্তি বাতিল করা উচিত।

যদি দোষী পক্ষ থেকে সন্তোষজনক লিখিত ব্যাখ্যা না পাওয়া যায়, তাহলে ক্রয়কারী সংস্থা প্রস্তাবিত কাজ বাতিল করতে পারে এবং ভবিষ্যতে তাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে পারে।

অতিরিক্তভাবে, ক্রয়কারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

 

Related Topics

টপ নিউজ

তিতাস / তিতাস গ্যাস / প্রকল্পে অনিয়ম / দুর্নীতি / দরপত্র

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • নিরাপত্তা উদ্বেগে ১২ দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা
  • আঞ্চলিক পরমাণু জোট নিজ দেশে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে ইরান
  • ডিজিটাল ওয়ালেটের লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠান 'সমাধান'
  • টাকার নতুন নোটের খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্য, গ্রাহক হয়রানি চরমে
  • দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!
  • সাভার ট্যানারির কঠিন বর্জ্য থেকে জেলাটিন ও শিল্প প্রোটিন গুঁড়া উৎপাদন করবে চীনা কোম্পানি

Related News

  • সৌরবিদ্যুতের প্রথম রাইন্ডের দরপত্রে সাড়া দেয়নি কোনো বিদেশি কোম্পানি
  • ছেলের বিলাসবহুল ছুটি কাটানো ঘিরে বিতর্ক, পদত্যাগ করলেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
  • রাজধানীর যেসব এলাকায় ৫ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
  • রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর ১৩ বিও অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
  • রাজস্ব ব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগের করায়ত্ত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে: টিআইবি

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

নিরাপত্তা উদ্বেগে ১২ দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

2
আন্তর্জাতিক

আঞ্চলিক পরমাণু জোট নিজ দেশে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে ইরান

3
বাংলাদেশ

ডিজিটাল ওয়ালেটের লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠান 'সমাধান'

4
অর্থনীতি

টাকার নতুন নোটের খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্য, গ্রাহক হয়রানি চরমে

5
অফবিট

দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!

6
অর্থনীতি

সাভার ট্যানারির কঠিন বর্জ্য থেকে জেলাটিন ও শিল্প প্রোটিন গুঁড়া উৎপাদন করবে চীনা কোম্পানি

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net