Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
July 25, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, JULY 25, 2025
শান্তি বা আলুর চিপস: ২০২৪ সালকে ঘিরে গাজার মানুষদের ছোট-বড় স্বপ্ন

আন্তর্জাতিক

মারাম হুমাইদ; আল জাজিরা
01 January, 2024, 09:10 pm
Last modified: 01 January, 2024, 09:46 pm

Related News

  • গাজায় ত্রাণ নিতে আসা মানুষদের ‘অমানবিকভাবে হত্যায়’ ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা ২৮ দেশের
  • ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো পরীক্ষা দিলেন গাজার শিক্ষার্থীরা
  • ব্যাংক ধ্বংস, এটিএম কাজ করছে না, ধসে পড়েছে অর্থনীতি; গাজাবাসীর ভরসা এখন ‘টাকা মেরামতকারীরা’
  • গাজায় পানি সংগ্রহ করতে আসা শিশুদের হত্যা: ‘ত্রুটি’ স্বীকার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর
  • ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

শান্তি বা আলুর চিপস: ২০২৪ সালকে ঘিরে গাজার মানুষদের ছোট-বড় স্বপ্ন

"দুনিয়ার মানুষের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন: এই যুদ্ধ যদি শেষও হয়, তারপরে আমরা কী করব? আমরা কীভাবে বাঁচব? আমরা কি খোলা প্রান্তরে ঠান্ডায় জমে মারা যাব? আমাদের ঘরবাড়ি কারা আবার বানিয়ে দেবে?"
মারাম হুমাইদ; আল জাজিরা
01 January, 2024, 09:10 pm
Last modified: 01 January, 2024, 09:46 pm
ছবি: আবদেলহাকিম আবু রিয়াশ/আল জাজিরা

আল-আকসা মার্টারস হসপিটালের কাছে গড়ে উঠা দের এল-বালাহ ক্যাম্পে বাচ্চারা ছুটোছুটি করে বেড়ায়, জিনিসপত্র ধার নেয়, খবর আনা-নেওয়া করে কিংবা খেলার সাথী খোঁজে।

আল জাজিরা এই ক্যাম্পের কয়েকজন ফিলিস্তিনির সঙ্গে কথা বলেছে। গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার মাঝে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে ২০২৪ সালকে ঘিরে তাদের আশা ও আশঙ্কার কথা।

আইদা এল-শৌলি, ২৯, জাবালিয়া

আইদা এল-শৌলি এবং তার পরিবারের কোনো তাঁবু নেই। তার পরিবর্তে তারা চারটি খুঁটির সঙ্গে কাপড় টানিয়ে কোনোরকমে একটি অস্থায়ী আবাস গড়ে তুলেছেন। তাদের আপাতত এভাবেই বাস করতে হবে।

আইদা মাটিতে বসে আটা গোলাচ্ছিলেন, সন্তানদের জন্য রুটি বানাবেন। দুই ছেলে এবং এক মেয়ে তাকে ঘিরে বসেছিল। সঙ্গে তাদের সবচেয়ে ছোট বোন, মাত্র ছয় সপ্তাহ বয়স তার। আইদা নুসেইরাতে জাতিসংঘ ত্রাণ এবং পুনর্বাসন সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালতি একটি স্কুলে এই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে পালিয়ে এসে স্কুলটিতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল আইদাকে।

দের এল-বালাহ ক্যাম্প। ছবি: আবদেলহাকিম আবু রিয়াশ/আল জাজিরা

"আমি জাবালিয়া ক্যাম্পে ছিলাম কিন্তু সেখান থেকে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়। এরপর মুঘরাকায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে নুসেইরাত এবং বর্তমানে দের এল-বালাহতে এসে আশ্রয় নিয়েছি।

"আমি গর্ভবতী অবস্থায় মালপত্র ভর্তি একটা ঠেলাগাড়ি নিয়ে মুঘরাকা থেকে নুসেইরাত পর্যন্ত চার কিলোমিটার হেঁটে এসেছি। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমার ছেলে হাত ধরে তার দাদাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছে। খুবই ভয়াবহ এক যাত্রা ছিল এটি।

"তারপর স্কুলটায় পৌঁছে দেখি মানুষের ভিড়। সবখানেই মানুষ গিজগিজ করছে। চারদিকে ধুলোবালি আর বাথরুমগুলোর করুণ দশা।

"সবকিছু দেখে প্রচণ্ড ধাক্কা খেলাম। তারপরেই আমার সন্তানের জন্ম হয়।"

চারদিকে মৃত্যু আর ধ্বংসের মিছিলের মধ্যেও আইদা তার কন্যার জন্য "সেবু" (শিশুর জন্মের সাতদিন পর আয়োজন করা উৎসব) পালন করেন।

আইদা এল-শৌলি। ছবি: আবদেলহাকিম আবু রিয়াশ/আল জাজিরা

"আমরা সামান্য উদযাপন করেছি। আমার কাছে আমার সন্তানকে পরানোর জন্য কাপড়ও ছিলনা। তার গায়ের পোশাকটা দান হিসেবে পেয়েছি। তীব্রভাবে চাই এই যুদ্ধ শেষ হোক যাতে আমরা বাড়ি ফিরে যেতে পারি। আমি জানি, আমাদের আসলে আর কোনো ঘরবাড়ি অবশিষ্ট নেই। তারপরওতো আমরা আমাদের জায়গায় থাকতে পারব। প্রতিবেশীরা একে অন্যকে সাহায্য করে কিন্তু এখানে তো আমরা কেউ কাউকে চিনিনা।

"আমার নিজের পরিবার উত্তরে থাকে কিন্তু আমি তাদের কোনো খবরই জানিনা। তারা কি বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে? কে জানে? গতকাল যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা আবার চালু হলো, আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো খোঁজ পাইনি। যদি তারা মারাও যায়, সেটাও আমি জানতে চাই। কিন্তু একেবারে কোনো খবর জানতে না পারাটা খুবই কষ্টের।"

"আমরা কী করেছি? কী কারণে আমাদের সঙ্গে এমনটা হলো? আমাদের আর এ যুদ্ধ নেওয়ার ক্ষমতা নেই। এই যুদ্ধ শেষ হলে আমাদের মানসিক কাউন্সেলিংয়েরও দরকার হবে।

"দুনিয়ার মানুষের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন: এই যুদ্ধ যদি শেষও হয়, তারপরে আমরা কী করব? আমরা কীভাবে বাঁচব? আমরা কি খোলা প্রান্তরে ঠান্ডায় জমে মারা যাব? আমাদের ঘরবাড়ি কারা আবার বানিয়ে দেবে?"

দুই ছেলে এবং এক মেয়ে আইদা এল-শৌলিকে ঘিরে বসেছিল। সঙ্গে তাদের সবচেয়ে ছোট বোন, মাত্র ছয় সপ্তাহ বয়স তার। ছবি: আবদেলহাকিম আবু রিয়াশ/আল জাজিরা

আবু তারিক, ৭৬, সুজায়ি

১০ সন্তানের জনক আবু তারিক যুদ্ধবিরতির পর সুজায়ি ছেড়ে নুসেইরাত ক্যাম্পের ইউএনআরডাব্লিউএ-এর স্কুলে আসেন। সর্বশেষ এক সপ্তাহ আগে তিনি দের এল-বালাহতে এসেছেন।

তিনি বলেন, "স্কুলটা খারাপ ছিল না, সেখানে বাথরুমসহ অন্যান্য রুম ছিল। কিন্তু একদিন আকাশ থেকে লিফলেট ফেলা হলো এবং স্কুলপ্রধান আমাদের জানালেন তারা আর আমাদের নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব নিতে পারবেন না। আমাদের নিজেদের দেখভাল নিজেদেরই করতে হবে।

"দের এল-বালাহতে আমার মেয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের বাড়িতেও উদ্বাস্তু হওয়া আরও অনেক মানুষ এসে আশ্রয় নিতে শুরু করেন। তাই আমি আমার ছেলেরা ও তাদের সন্তানদের সঙ্গে থাকার জন্য চলে আসি।

"আমি সব ধরনের পরিস্থিতির কথা ভেবেই নানা পরিকল্পনা করেছিলাম। আমার ধারণা ছিল: অসুস্থতা, দারিদ্র্যের পাশাপাশি হয়তো যুদ্ধের মুখেও পড়তে হতে পারে। কিন্তু এরকম ভয়াবহ কোনো কিছু আসলে আমার কল্পনাতেও ছিলনা। আমরা যেরকম দুঃখ, মৃত্যু এবং ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছি এটা আসলে অন্য কেউ সহ্যই করতে পারবে না।

আবু তারিক। ছবি: আবদেলহাকিম আবু রিয়াশ/আল জাজিরা

"আমার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, তারপরও আমি সেখানেই ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। আমাকে যদি বলা হয় যে আমি ফিরতে পারব সেখানে, আমি ভোরে উঠেই চলে যাব… কিংবা এখনই বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটা দেব। আমি আমার বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটা তাঁবু খাটিয়ে থাকতে হলেও থাকতে চাই, সেটাই আমার জন্য আনন্দের।

"আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছি গেল বছরের চেয়ে এ বছরটা যেন আরও ভালো হয়। প্রার্থনায় জানিয়েছি, তাদেরকে উপরওয়ালা হেদায়েত করুক যাতে তারা এই গণহত্যা ও যত্রতত্র বোমাবর্ষণ বন্ধ করে। আর কি-ই-বা বলতে পারি বা করতে পারি? আমরা মানুষ এবং তারাও তো আমাদের মতো মানুষ। তিনি আমাদেরকে যেমন বানিয়েছেন, তাদেরকেও বানিয়েছেন। তাই আমাদের আসলে সৃষ্টিকর্তার কাছেই প্রার্থনা করতে হবে।

"আমি এটাও আশা করি সমস্ত দুনিয়ার মানুষ আমাদের দয়া এবং ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।"

নূর এল-বায়েদ, ৭, জাবালিয়া

নূর এল-বায়েদ এবং তার পরিবার দের এল-বালাহতে আশ্রয় নিয়েছে এক সপ্তাহ ধরে। নুসেইরাতের উদ্দেশ্যে জাবালিয়া ছাড়ার পর এটি তাদের দ্বিতীয় আশ্রয়স্থল।

নূর এল-বায়েদ। ছবি: আবদেলহাকিম আবু রিয়াশ/আল জাজিরা

সে জানিয়েছে কীভাবে বোমা হামলার সময় সে ভয়ে কুঁকড়ে যেত, ভারী সমরাস্ত্রের শব্দ এবং বিস্ফোরণের আওয়াজে প্রচণ্ড ভয় পেত। স্কুলের কথাও ভুলতে পারছে না ছোট্ট এ শিশু।

নূর তার প্রিয় মানুষদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত। পরিবারেরকে কখন 'শহীদ' হয়ে যাবে, এই ব্যাপারটাই সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে বোমাহামলায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু দেখা নূর।

"আমি চাই পরের বছরটি শুভ হোক। আমি খেতে চাই, পানীয় চাই।

"যুদ্ধের আগে আমি চিপস, চকলেট এবং জুস কিনতে পারতাম। আমি সেগুলো খেতে চাই," নূরের সবচেয়ে প্রিয় পনির দেওয়া আলুর চিপস; কিন্তু এখন আর তা খেতে পারছে না সে।

তবে তার আশা নতুন বছরে সে ঠিক ঠিক পনির-চিপস, চকলেট আর স্ট্রবেরি জুস খেতে পারবে। সেগুলো নিজের বাড়িতে শান্তিতে বসে খেতে চায় সে।

"আর," কাঁপা গলায় বলে উঠল নূর এল-বায়েদ, "আমি চাই তোমরা সবাই বেঁচে থাকো।"

Related Topics

টপ নিউজ

গাজা / হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ / ইসরায়েল / ২০২৪ সাল

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে পে কমিশন গঠন
  • ‘বাংলাদেশে গণহত্যা’ নিয়ে দিল্লিতে অস্তিত্বহীন সংগঠনের ব্যানারে আ.লীগ নেতাদের সংবাদ সম্মেলন শেষ মুহূর্তে স্থগিত
  • নিলামে আরও চড়া দামে ১০ মিলিয়ন ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
  • ৪৯ আরোহী নিয়ে রুশ বিমান বিধ্বস্ত, সবাই নিহতের আশঙ্কা
  • নারী কর্মীদের ‘মার্জিত’ পোশাক পরার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের, ছোট হাতা ও লেগিংস বাদ দিতে বলল
  • মায়ের হাতের শেষ টিফিন মুখে তুলতে পারেনি নুসরাত

Related News

  • গাজায় ত্রাণ নিতে আসা মানুষদের ‘অমানবিকভাবে হত্যায়’ ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা ২৮ দেশের
  • ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো পরীক্ষা দিলেন গাজার শিক্ষার্থীরা
  • ব্যাংক ধ্বংস, এটিএম কাজ করছে না, ধসে পড়েছে অর্থনীতি; গাজাবাসীর ভরসা এখন ‘টাকা মেরামতকারীরা’
  • গাজায় পানি সংগ্রহ করতে আসা শিশুদের হত্যা: ‘ত্রুটি’ স্বীকার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর
  • ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

Most Read

1
বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে পে কমিশন গঠন

2
বাংলাদেশ

‘বাংলাদেশে গণহত্যা’ নিয়ে দিল্লিতে অস্তিত্বহীন সংগঠনের ব্যানারে আ.লীগ নেতাদের সংবাদ সম্মেলন শেষ মুহূর্তে স্থগিত

3
অর্থনীতি

নিলামে আরও চড়া দামে ১০ মিলিয়ন ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

4
আন্তর্জাতিক

৪৯ আরোহী নিয়ে রুশ বিমান বিধ্বস্ত, সবাই নিহতের আশঙ্কা

5
বাংলাদেশ

নারী কর্মীদের ‘মার্জিত’ পোশাক পরার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের, ছোট হাতা ও লেগিংস বাদ দিতে বলল

6
বাংলাদেশ

মায়ের হাতের শেষ টিফিন মুখে তুলতে পারেনি নুসরাত

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net