কোল্ডপ্লে-র কনসার্টে সহকর্মীকে আলিঙ্গনের ভিডিও ভাইরাল: পদত্যাগ করলেন সেই সিইও

যুক্তরাষ্ট্রে কোল্ডপ্লে ব্যান্ডের কনসার্টে আলিঙ্গনরত অবস্থায় ক্যামেরায় দৃশ্যবন্দি হয়েছিলেন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান 'অ্যাস্ট্রোনোমার'-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ডি বায়রন এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা ক্রিস্টিন ক্যাবট। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অবশেষে পদত্যাগ করেছেন তিনি। 'অ্যাস্ট্রোনোমার' শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
লিঙ্কডইনে দেওয়া এক পোস্টে 'অ্যাস্ট্রোনোমার' জানায়, "অ্যান্ডি বায়রন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং বোর্ড তা গ্রহণ করেছে।"
পোস্টে আরও বলা হয়, "প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই অ্যাস্ট্রোনোমার যে মূল্যবোধ আর সংস্কৃতির ওপর দাঁড়িয়ে, আমরা সেই জায়গাগুলোতে দৃঢ়। আমাদের কর্মকর্তাদের আচরণ ও দায়বদ্ধতায় উদাহরণ তৈরি করতে হয়। সম্প্রতি সেই মানদণ্ড রক্ষা হয়নি।"
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ফক্সবোরোতে জিলেট স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। কনসার্ট চলাকালে বায়রন ও ক্যাবটকে একে অপরকে জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বড় স্ক্রিনে মুখ ভেসে উঠতেই দুজনেই হঠাৎ ক্যামেরার আড়ালে চলে যান।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সবাই ধরে নেন—তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে। সেই জল্পনায় ঘি ঢালেন খোদ কোল্ডপ্লের লিড ভোকাল ক্রিস মার্টিন। তিনি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, 'এরা হয়তো পরকীয়া করছেন, অথবা অনেক লাজুক।'
এরপর থেকেই ভিডিওটি টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ে। টিভি অনুষ্ঠানেও তা নিয়ে ঠাট্টা শুরু হয়।
গুঞ্জনের কেন্দ্রে থাকা প্রতিষ্ঠান 'অ্যাস্ট্রোনোমার' ঘটনাটির পরপর শুক্রবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার)–এ জানায়, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রনকে সাময়িকভাবে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
বায়রন ২০২৩ সাল থেকে অ্যাস্ট্রোনোমারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০২৪ সালে কোম্পানির মানবসম্পদ প্রধান হিসেবে যোগ দেন ক্রিস্টিন ক্যাবট। তাকে নিয়োগ দেওয়ার সময় বায়রন বলেছিলেন, "দক্ষতা ব্যবস্থাপনা, কর্মীদের সম্পৃক্ততা এবং কৌশলগত পরিকল্পনায় ক্রিস্টিনের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব আমাদের দ্রুতগতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।"
শনিবারের বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রোনোমার জানায়, তারা এখন ভিডিও ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক থেকে বের হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। বিবৃতিতে বলা হয়, "এই সপ্তাহের আগে পর্যন্ত আমরা ডেটা অপারেশনের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত ছিলাম। আধুনিক অ্যানালিটিকস থেকে শুরু করে প্রোডাকশন পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে ডেটা টিমগুলোকে সহায়তা করে এসেছি।"
তারা আরও বলেন, "ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর হয়তো আমাদের নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে, কিন্তু আমাদের প্রোডাক্ট কিংবা গ্রাহকদের জন্য আমাদের কাজের ধরন বদলায়নি। আমরা আগের মতোই কঠিন ডেটা ও এআই সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধানেই নিয়োজিত আছি।
অনুবাদ- নাফিসা ইসলাম মেঘা