সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে পে কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন

জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে আজ রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কমিশন গঠন করে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কমিশনে তিনজন পূর্ণকালীন সদস্য এবং ১৯ জন খণ্ডকালীন সদস্য রাখা হয়েছে। কমিশনের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় বেতন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিশন প্রয়োজনে খণ্ডকালীন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
এছাড়াও কমিশনের কার্যপরিধির বিষয়ে বলা হয়েছে, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিদ্যমান বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে কমিশন নিম্নবর্ণিত বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে-
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন-কাঠামো নির্ধারণ;
- বিশেষায়িত চাকরিধারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ;
- বেতন-ভাতার উপর আরোপযোগ্য আয়কর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরাসরি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো স্থিরীকরণ;
- বেতন বহির্ভূত অন্যান্য সুবিধা যেমন, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যভার, মহার্ঘ ভাতা, উৎসব ভাতা এবং শ্রান্তিবিনোদনসহ অন্যান্য ভাতা নিরূপণ;
- মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ
- যথোপযুক্ত/সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধাদি নির্ধারণ;
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মান মূল্যায়ন করে বেতন-ভাতা কাঠামোয় প্রতিফলন;
- জরুরি সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সংক্রান্ত প্রাধিকারগুলো আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন এবং রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণ করবে।
এছাড়া, উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রম নিরীক্ষাক্রমে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে তা দূর করার সুপারিশ করবে কমিশন।