সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে পে কমিশন গঠন

জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে নতুন এই বেতন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
বর্তমানে ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন–ভাতা পান। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ।
চড়া মূল্যস্ফীতিতে জীবযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় ছিল নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার দাবি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার দাবি আলোচনায় আসে।
জুনে ঘোষিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে ঘোষণা আসার আশায় ছিলেন অনেকেই। তবে তার বদলে বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সুবিধা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার হার আগের ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে গত ৩ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ৫ শতাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ এবং ১ম থেকে ৯ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা মোট ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন।
এর আগে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের জন্য এখন ২০টি বেতন গ্রেড রয়েছে। এ কাঠামোতে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে যোগ দেওয়া একজন চাকরিজীবীর মূল বেতন হয় মাসে ২২ হাজার টাকা।
সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতনের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও যাতায়াত বাবদ আলাদা ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতায় বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৮৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।