বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অচলাবস্থা, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সফরের সময় বাড়ছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে, ওয়াশিংটনে তাদের অবস্থানের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন – সফররত ভারতীয় কর্মকর্তারা। ভারতের দুটি সরকারি সূত্রের বরাতে আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় বেশ কিছুদিন ধরেই অগ্রগতি নেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ, স্টিল এবং কৃষিপণ্যের বিষয়ে ভারতের আমদানি শুল্ক নিয়ে মতবিরোধের কারণে আলোচনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে আগামী ৯ জুলাই বাড়তি ট্যারিফ কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হবে। ফলে তখন থেকেই কার্যকর হবে ট্রাম্পের নতুন পারস্পরিক শুল্ক। ফলে দ্রুত একটি সমাধানে আসার চাপেও রয়েছে নয়াদিল্লি।
সূত্র জানায়, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের গত শুক্রবারের মধ্যে আলোচনার কাজ শেষ করার কথা থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিরোধ দূর করতে—অন্তত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা ওয়াশিংটনে অবস্থান করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারতের "কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করার বিষয়ে কিছু মতবিরোধ রয়েছে, যদিও ভারত ৯০ শতাংশ ট্যারিফ লাইনের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করছে," নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেছেন ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা।
আরেক কর্মকর্তা জানান, "আলোচনা চললে প্রতিনিধি দল আরও এক-দুদিন ওয়াশিংটনে থাকতে পারে।"
এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর (ইউএসটিআর) তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে কৃষিখাতে মার্কিন পণ্যকে শুল্ক ছাড় দিতে ভারতের আপত্তি আছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ 'ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কৃষি ও দুগ্ধখাত ভারতের জন্য "অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেড লাইন" বা কঠোর অবস্থানের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, "হ্যাঁ, আমি চাই একটি বড়, ভালো, সুন্দর চুক্তি হোক। কেন নয়? তবে দ্রুত চুক্তি সম্পন্ন হলে সেটা ভারতের জন্য ভালো হবে।"
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে "খুব বড়" বাণিজ্য চুক্তি করতে যাচ্ছে, তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।