কুমিল্লায় ইউটার্ন দুর্ঘটনায় এক পরিবারের ৪ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, ইউটার্ন বন্ধের সিদ্ধান্ত

কুমিল্লার পদুয়ারবাজার ইউটার্নে প্রাইভেটকারকে চাপা দিয়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনসহ সংশ্লিষ্ট লরির অজ্ঞাত চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাশাপাশি সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে পদুয়ারবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় সকল যানবাহনকে সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন দিয়ে ঘুরে আসতে হবে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান।
তিনি জানান, ইউটার্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ ও সওজ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীকাল রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বিত সভায় এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হবে। আপাতত ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।
কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনিসুর রহমান বলেন, 'শুক্রবার দুপুরে পদুয়ারবাজার ইউটার্নে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি লরি প্রাইভেটকারকে চাপা দিলে একই পরিবারের চারজন নিহত হন। নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহন ও লরির চালকসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।'
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ারবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নে সিমেন্টবোঝাই লরির চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫) নিহত হন।
প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম। একই ঘটনায় লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে একটি সিএনজি অটোরিকশার তিন যাত্রী আহত হন। নিহতদের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে।